ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ৪ দিনের মাথায় ওড়িশাতেই ফের দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে আরও একটি ট্রেন। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে ভারিতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওড়িশার বারগড় জেলায় লাইনচ্যুত হয়েছে ট্রেনের একাধিক কামরা। রেললাইনের পাশে ছিটকে পড়েছে ট্রেনের পাঁচটি বগি। নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে এই ঘটনায়। তবে সবশেষ এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, চুনাপাথর নিয়ে যাচ্ছিল মালগাড়িটি। কী কারণে সেটি লাইনচ্যুত হল, তাৎক্ষণিকভাবে সেটা জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। ডুংরি চুনাপাথর খনি এবং বারগড়ে একটি সিমেন্ট কারখানার মধ্যে ন্যারো গেজ লাইন রয়েছে। সেটিতেই লাইনচ্যুত হয়েছে মালগাড়িটি। তবে ওই রেলপথের সঙ্গে ভারতের জাতীয় রেল যুক্ত নয় বলে জানা গেছে।
ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, চুনাপাথর বোঝাই দুর্ঘটনাগ্রস্ত মালগাড়িটি একটি সংকীর্ণ রুট দিয়ে খনি এলাকা থেকে সিমেন্ট ফ্যাক্টরির পথে যাচ্ছিল। বারগড় জেলায় মেন্ধাপলি স্টেশনের কাছে একটি লাইনচ্যুত হয়। তবে এই রেললাইন ভারতীয় রেলের আওতায় পড়ে না। বেসরকারি সিমেন্ট সংস্থার তরফে এই নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব। যেহেতু এই সংকীর্ণ রেললাইন, রোলিং স্টক, ইঞ্জিন, ওয়াগন এবং ট্রেন ট্র্যাক পুরোটাই সিমেন্ট সংস্থার নিয়ন্ত্রণাধীন। এখানে ভারতীয় রেলের কোনও ভূমিকা নেই।
এদিকে, বালেশ্বরের বাহাঙ্গাবাজার এলাকায় করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার ৫১ ঘণ্টা পর স্থানীয় সময় রবিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ওই লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। প্রথমে ডাউন লাইন দিয়ে একটি মালগাড়ি চালানো হয়। পরে রাত ১২টা ৫ মিনিটে আপ লাইন দিয়ে চালানো হয় আরও একটি ট্রেন।
এর আগে গত শুক্রবার ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে বাহাঙ্গা বাজারে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে দ্রুত গতির করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেন। ওই দুর্ঘটনায় প্রায় ৩০০ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছে আরও ১১ শতাধিক।