আর কবে ঘুম ভাঙবে আমাদের? সত্যি, কবে?????
সঠিক খাদ্যাভ্যাস সম্বন্ধে যথাযথ জ্ঞান ও দৃষ্টিভঙ্গির অভাব এবং অবাধ বিজ্ঞাপনের প্রসার আমাদের দেশেও সবাইকে উৎসাহিত করছে পাশ্চাত্যের মতো বেশি বেশি ফাস্টফুড খেতে।
উচ্চবিত্ত আর উচ্চ-মধ্যবিত্তই কেবল নয়, সাধারণ পরিবারগুলোর সন্তানেরা এমনকি পরিবারের সব বয়সী সদস্যরাও দ্রুত অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন এসব খাবারে।
যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান পরিস্থিতির দিকে তাকালে এর ভয়াবহ পরিণতি আঁচ করা তেমন কঠিন কিছু নয়।
ফাস্টফুড থেকে সৃষ্ট স্বাস্থ্য-জটিলতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ওরা না হয় নিমেষেই খরচ করতে পারছে হাজার হাজার কোটি ডলার, কিন্তু আমাদের সে সুযোগ কোথায়?
তাই একমাত্র সচেতনতাই পারে এই সম্ভাব্য দুর্গতি থেকে আমাদের মুক্তি দিতে। এজন্যে চাই শুধু আমাদের ইচ্ছা। কারণ, ফাস্টফুডে উপকার বলে কিছু নেই বরং ক্ষতি অনেক।
আমরা নিজেরা এসব না খাওয়া, আপ্যায়নের বেলায় এগুলো বর্জন করা এবং সর্বোপরি পরিবারে সমাজে সবাইকে সচেতন করে তোলাটাই এখন কর্তব্য।
এ প্রসঙ্গে দেশের বিশিষ্ট চিকিৎসক বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ডা. এ কে আজাদ খান তার একটি নিবন্ধে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন-‘আমাদের ভবিষ্যত বংশধরদের এই ক্ষতিকর অবস্থা থেকে বাঁচাতে এখনই সচেতন হওয়া দরকার।
এজন্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে এই বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। ভবিষ্যতে একটি সুস্থ জাতি উপহার দিতে হলে আমাদের এখন থেকেই উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।’
তথ্যসূত্র : মার্কিন সাংবাদিক এ