(পর্ব-০১)_
_________________
আধ্যাত্মিক সাধনায় এর গুরুত্ব বলে শেষ করা সম্ভব নয়। দেহের সব খবর এই শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমেই একজন সাধক জানতে পারে। তাই লালন সাঁইজি বলেছেন “ধর চোর হাওয়ার ঘরে ফাঁদ পেতে”। শ্বাস-প্রশ্বাসের খবর জানতে পারলেই দেহের মধ্যে সংঘটিত সকল কার্যের অগ্রীম সংবাদ পাওয়া যায়, এমন কি মৃত্যুর সংবাদ পর্যন্ত বলে দেওয়া যায় মৃত্যুর অনেক পূর্বেই। এসব শুধু সেইসব সাধকদের জন্য, যাদের সাথে প্রভুর বন্ধুত্ব স্থাপন হয়েছে। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমেই ছেলে সন্তান বা কন্যা সন্তান লাভ করা যায়, তবে যারা তাবিজ বা মন্ত্রের মাধ্যমে ছেলে সন্তান লাভের কথা বলে, তাদের কাছ থেকে দূরে থাকুন, কারন তারা বিজ্ঞান সম্পর্কে অজ্ঞ। সেসব ভন্ড ফকিরদের কাছ থেকে দূরে থাকুন। কারন সন্তান জন্মের বিষয়টা ছেলেদের বীর্যের সাথে সম্পর্কিত। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে মানুষকে বশেও আনা যায় ইত্যাদি আরো কত কি গুনাগুন ও কার্য আছে এই শ্বাস-প্রশ্বাস সম্পর্কিত তা বলে শেষ করা যাবে না। গুরুত্বপূর্ণ কিছু তত্ত্ব তুলে ধরা হল।
দিবারাত্রি ২৪ ঘন্টায় ২১৬০০ বার শ্বাস-প্রশ্বাস আসা-যাওয়া করে। মানুষ যখন চুপচাপ বসে থাকে, অর্থাৎ স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে , তখন শ্বাস বায়ু ১২ আঙুলী পরিমিত দূরে আসে, আর ভিতরে যায় ১০ আঙুল। খাওয়া দাওয়া ও কথা বলার সময় ১৮ আঙুল, হাটাহাটি করার সময় ২৪, দৌড়া দৌড়ী করলে ৩৪, মৈথুনকালে ৬৫ এবং নিদ্রাকালে ১০০ আঙুলী দূরে আসে। কিন্তু ভিতরে যায় মাত্র ১০ আঙুল।
যত পরিশ্রম কাজ করা হবে শ্বাসবায়ু তত বেশি পরিমানে ঘাটতি হয়। দুই আঙুল ঘাটতিতেই প্রতিদিন ৪৩২০০ আঙুল পরিমিত শ্বাসবায়ু ঘাটতি হয়। আগামী এই বিষয়ে মানুষের চাহিদা ও আগ্রহ অনুযায়ী পোস্ট করার ইচ্ছা আছে। তবে বিস্তারিত গুরুর কাছ থেকেই জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবেন । তিনি চাইলে মুহুর্তেই আপনাকে সকল জ্ঞান দান করতে পারেন।
# দমের খবর (পর্ব- ০২)
____________________
দমের ঘরে নিগুম খেলা
খেলছেন প্রভু দয়াময়,
করিলে সেই দমের সাধন
ত্রিভুবন তার অধীন হয়।।
আল্লাহ-আদম-রাসূল আসে আর যায়
তিনজনা মিলে সুলতান নাছিরায়,
উজান, ভাটা, পূর্ণিমা হয়,
হয় অমবস্যার উদয়।।
দম’কে রুদ্ধ করে ব্রহ্মদ্বারে
সাধক ভাটির চন্দ্র উজান করে,
তখন শত নারী ভোগ করে
তবুও রতি তাহার অটল রয়।।ঐ
দমের খবর যে জেনেছে
আশানুরূপ সন্তান সে পেয়েছে
তখন পুত্র-কন্যা যা চেয়েছে
গুরু কৃপায় সে সেটাই পায়।।
ভূত-ভবিষ্যৎ আর যা গোপন
সব যায় জানা করে দম সাধন,
সাধক সাধনায় দম করে নিরূপণ
আগুম-নিগুম করতে নির্নয়।।ঐ
সাধক দমের ঘরে ডুব দিয়ে
আপন দয়ালকে সে সঙ্গে নিয়ে
ফকিরি সে করছে জমিয়ে,
তখন তাহার দমে কথা কয়।।
মৃত্যুর আগাম খবর যায়রে জানা
করে এই মহা দমের সাধনা।
দেওয়ান রাহাতের হয় এসব জানা
দয়াল হান্নান শাহ্’র কৃপায়।।ঐ
বিঃদ্রঃ অনেকেই একটা বিষয় ভুল বুঝেছে, সেটা হল ‘শত নারী ভোগ’। এটা মূলত সাধকের যৌন ক্ষমতা বুঝানোর জন্য বলা হয়েছে। প্রকৃত ভাবে কোনো সাধক শতাধিক নারী ত দূরের কথা একজন নারীও অনেক সাধক গ্রহন করেন না। কারন তখন তারা দুনিয়ার এই কাম বাসনার উর্ধ্বে চলে যায়।
# দমের খবর (পর্ব -০৩)
_______________________
পূর্বে দম সাধনার সামান্য ধারনা ও দম সাধনার মাধ্যমে সাধক কি কি মহাশক্তি অর্জন করতে পারে সেব্যাপারে ধারনে দিয়েছি। এবার বলতে চাই কিভাবে দমের ঘরে সাধক তালা মারে ও শত নারী ভোগ করার ক্ষমতা অর্জন করে।
আমাদের দৈনিক ২১ হাজার ৬ শত বার দম তথা শ্বাস-প্রশ্বাস যাওয়া আসা করে। এক্ষেত্রে যারা পরিশ্রম অনেক বেশি করে তাদের আরো বেশিবার যাওয়া আসা করে। সাধকগন দম সাধনার মাধ্যমে এই শ্বাস-প্রশ্বাসের মাত্রা কমিয়ে আনে। তারা চেষ্টা কর যত কম দম বের করা নেওয়া যায়। ২১৬০০ বার এর থেকে কমিয়ে এনে তারা ১০ হাজার বার করার চেষ্টা করে। আর যখন এই দম এর ব্যবহার কমিয়ে আনা হয়, তখন সাধকের বীর্য গাঢ় থেকে আরো গাঢ় বা ঘন হতে থাকে। যখন এই বীর্য গাঢ় হয় এবং শ্বাস-প্রশ্বাস কম গতিতে চলতে থাকে, অর্থা দম নেওয়া ও আসার মধ্যকার সময়সীমা সাধারন ভাবে সাধারন মানুষের সর্বোচ্চ সেকেন্ড এর মত হবে (আমার হিসেবে, আপনিও চেক করে দেখতে পারেন)। কিন্তু সাধক গন চেষ্টা করেন এটাকে ১০ সেকেন্ড এরমত করার জন্য, আর সাধনার সময় ত প্রায় ৩০ সেকেন্ড প্রথম পর্যায়ে, এবং আস্তে আস্তে ১ মিনিটের চেয়ে বেশি সময় নেয়। যখন দম এরকম কন্ট্রোল এ আসে দম সাধনার মাধ্যমে তখন সাধকের যৌন মিলন ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এভাবে অনেক দীর্ঘ সময় মিলনের পরেও তার বীর্য নির্গত হয় না। কিন্তু এক সময় সাধকের বীর্য নির্গত হয়ে যায়। কিন্তু দমের সাধনা ভাল মত জানতে পারলে ও করতে পারলে সাধক মিলনের ভাটার চন্দ্রকে (নিন্মমুখী বীর্য) উজান করে নিতে পারেন (উপরের দিকে তুলে নিতে পারেন)। তখন সাধক দমকে ব্রহ্মদ্বারে রুদ্ধ করে রাখার ফলে বীর্য তার ইচ্ছার বাইরে নির্গত হতে পারে না তার দেহ থেকে। আর এভাবেই সাধক শত শত এমনকি সহস্র নারী ভোগ করার পরেও অটল ও অক্ষয় থাকে (এটা ক্ষমতা, মূলত সাধকরা নারী ভোগই করে না, কারন তারা জাগতিক কামনা বাসনার উর্ধ্বে থাকেন)। তার রতি কখনো টলে না তার ইচ্ছার বাইরে। তখন সাধক পুত্র কন্যা চাইলে পুত্র সন্তান ও কন্যা সন্তান চাইলে কন্যা সন্তান অর্থাৎ আশানুরূপ সন্তান লাভ করতে সক্ষম হয়।
ভাটার সময় চন্দ্রকে উজানে টানা তেমন কোনো কষ্টের সাধনা নয়, যদি গুরু কৃপা করে আপনাকে সে ভেব জানায়। তবে সামান্য কিছুদিন সাধনা করলেই আপনি নিন্মমুখী বীর্যকে বাইরে পরার আগেই উর্দ্ধ মুখী করতে পারবেন। তবে দেহ অটল রাখার সাধনা অনেকটা কষ্টের, তবে গুরু কৃপা করলে তিনি সহজ পন্থা বাতিয়ে দিতে পারেন তার ভক্তকে।
আর আশানুরূপ সন্তান অর্থাৎ পুত্র চাইলে পুত্র ও কন্যা চাইলে কন্যা সন্তান লাভ করার বিষয় টা অনেক সহজ। এর জন্য আপনাকে আলাদা ভাবে সাধনা করতে হবে না। গুরু কৃপা করে দমের এই মহাভেব টা জানিয়ে দিলেই আপনি মিলনের সময় বিষয় টা একটু খেয়লা রাখলেই আশানুরূপ সন্তান লাভ করতে সক্ষম হবেন। কারন XX, XY, YY ক্রোমোজোম কখন নির্গত হবে সেটা আপনার শ্বাস-প্রশ্বাসের উপর নির্ভর করে।
# দমের খবর (পর্ব-০৪)
_____________________
আপন দেহের মাঝেই পঞ্চতত্ত্বের উদয় হইতেছে প্রতি ঘন্টায় ক্রমান্বয়ে এক তত্ত্বের পর অন্য তত্ত্ব। তত্ত্ব গুলো হল নূর, বাদ, আতস, আব ও খাক তথা আকাশ, বায়ু, অগ্নি, জল ও পৃথিবী তত্ত্ব। অনেকেই শুধু জানেন যে এই পঞ্চ তত্ত্ব দিয়ে দেহ গঠন করা হইয়াছে। কিন্তু ইহা অধিকাংশ মানুষই জানে না যে, এই দেহের মাঝেই প্রতি ঘন্টায় এই পঞ্চ তত্ত্বের উদয় হইতেছে। দম সাধনা করিতে হইলে আপনাকে অবশ্যই আগে তত্ত্ব উদয় সম্পর্কে জানিতে হইবে। জানিতে হইবে কোন তত্ত্ব কতক্ষন উদিত থাকে, কোন তত্ত্বের পর কোন তত্ত্বের উদয় হয় ইত্যাদি। ইহা না জানিলে দম সাধনা করা সম্ভব নয়।
কুম্ভুক রেচক পেরক যোগ সাধনা করিয়া আপনি হয়তো দেহের অনেক উন্নতি করিতে পারিবেন, কিন্তু ভূত ভবিষ্যৎ তথা আগুম নিগুন নির্নয়, ইচ্ছানুযায়ী পুত্র বা কন্যা সন্তান লাভ, মরার আগে মরার খবর জানিতে পারিবেন না। সাধককে আগে নির্নয় করিতে হইবে যে তাহার দেহে এই মূহুর্তে কোন তত্ত্বের উদয় হইয়াছে। তত্ত্ব নির্নয় না করিতে পারিলে সে কখনো দমের সাধক হইতে পারিবে না। হয়তো বড় জোর একজন যোগ সাধক হইতে পারিবে।
তত্ত্ব নির্নয়ের অনেক সহজ সহজ পদ্ধতি রইয়াছে। সাধক গন এমনিতেই তত্ত্ব নির্নয় করিতে পারেন। তবে আপনারা যারা দম সাধনা সম্পর্কে অজ্ঞ তাহারাই যাতে তত্ত্ব নির্নয় করিতে পারেন, তাই সাধক গন তত্ত্ব নির্নয়ের বিভিন্ন পদ্ধতি জানিয়ে গেছেন জগতের কল্যানের জন্য। যে পদ্ধতি অবলম্বন করিয়া যে কোনো মানুষ নিজের তত্ত্ব নির্নয় করতে পারবে।
# দমের খবর (পর্ব -০৫)
_____________________
পূর্বের একটি (পর্ব-০৪) পোস্টে তত্ত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেছিলাম। শর্তানুযায়ী তত্ত্বের উদয় ও সময়সীমা সম্পর্কে আলোচনা করব এই পর্বে।
প্রতি ঘন্টায় আমাদের দেহে নূর, বাদ, আতস, আব, খাক এই পঞ্চের তত্ত্বের উদয় হচ্ছে। এক নাসিকায় শ্বাস প্রবাহিত হওয়ার সময় প্রথমেই বাদ তথা বায়ু তত্ত্বের উদয় হয়। বায়ু তত্ত্ব উদয় হয়ে ২০ পল সময় পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। বায়ু তত্ত্বের অস্তমিত হওয়ার পর আতস তথা অগ্নি তত্ত্বের উদয় হয়ে ৪০ পল পর্যন্ত সময় স্থায়ীত্ব থাকে। তারপরেই খাক তথা পৃথিবী তত্ত্বের উদয় হয়। পৃথিবী তত্ত্বের সময়সীমা ৫০ পল। পৃথিবী তত্ত্বের আব তথা জল তত্ত্বের উদয় হয়ে ৬০ পল সময় পর্যন্ত উদিত থাকে। জল তত্ত্বের অস্ত্র যাবার পর সর্বশ্রেষ্ঠ নূর বা ছাফা তথা আকাশ তত্ত্বের উদয় হয়। এটার সময়সীম মাত্র ১০ পল।এই সময় সাধনা ব্যতীত অন্য যে কোনো কাজ করিলেই তা ধ্বংস হবে বা কৃতকার্য হবে না। আর এটাই সাধনার সর্বোত্তম সময়। এই সময় সাধনা করলেই দ্রুত অগ্রগামী হওয়া যায়।
যেই সময় যে নাকে বাতাস প্রবাহিত হবে তখন সেই নাকে উপরে উল্লেখিত পঞ্চ তত্ত্বের উদয় হয়ে সমস্ত দেহে বিরাজ করবে নির্দিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত, এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। কোনো কারনে এটার তারতম্য ঘটতেও পারে।
এই তত্ত্ব নির্নয়ের মাধ্যমেই সাধক আগুম নিগুম অর্থাৎ ভবিষ্যতের কোনো কার্যের সফলতা বা অন্য কিছু তা ঘটার আগেই বলতে পারেন। আর এটা নির্নয়ের মাধ্যমেই পুত্র বা কন্যা সন্তান লাভ করা যায় ইচ্ছানুযায়ী। এমনকি কাউকে ভালবেসে কোনো পুরুষ যে কোনো নারীকে বা কোনো নারী যেকোনো পুরুষকে তাঁর বশে আনতে পারবেন (অর্থাৎ প্রেম সফল হবে)। এমনকি মৃত্যুর আগাম বার্তাও এখান থেকেই নির্নয় করতে হয়।
এই ভেদ গুলো গুরুর কাছ থেকেই জানতে হবে আপনাকে। আমাকে প্রশ্ন করে লাভ নাই :)। তবে আমার লিস্টে অনেককেই দেখেছি দম সাধনা নিয়ে ভালই মন্তব্য করে, তারা অনেক সময় আপনাকে জ্ঞান দেওয়ার জন্য আপনার ফোন নাম্বার নিয়ে জোর করে আপনাকে জ্ঞান দানও করে tongue emoticon ( এদেরকে দেখলে লজ্জা লাগে, জ্ঞান কারো কাছে যায় না, সবাই জ্ঞানের কাছেই আসে, তাও আবার বিনয়ের সাথে)।
আগামী পর্ব গুলোতে তত্ত্ব নির্নয়ের পদ্ধতি ও রঙ এবং স্বাদ সম্পর্কে আলোচনা করব এই পোস্টের উপর ভিত্তি করে। কারন অনেকের বাকা দৃষ্টির মন্তব্য আমাকে হতাশ করে মাঝে মাঝে।
বিঃদ্রঃ ১০ পল = বর্তমান ৪ মিনিট :)। দম সাধকগন মূলত আধুনিক হিসাব নয়, বরং আদি হিসাব দ্বারাই গননা করে থাকেন এইসব বিষয়। আপনাদের বুঝার জন্য আমি পরিষ্কার করে দিলাম বিষয়টা।
# দমের খবর (পর্ব -০৬)
_____________________
পঞ্চ তত্ত্বের আলাদা আলাদা রঙ রয়েছে। যার মাধ্যমে আপনি তত্ত্ব নির্নয় করতে পারবেন। আগামী পোস্টে আমি তত্ত্ব নির্নয়ের পদ্ধতি উল্লেখ করব অথবা তত্ত্বের লজ্জত বা স্বাদ প্রকাশ করব। যেটা আপনাদের জানা থাকতেই হবে নিজে নিজে দেহের তত্ত্ব নির্নয়ের ক্ষেত্রে। নিন্মে তত্ত্বের রঙ গুলো উপস্থাপন করা হল।
#আকাশ তত্ত্বের রঙ হল রঙহীন বা বিভিন্ন বর্ণ একত্রে।
#বায়ু তত্ত্বের রং হল সবুজ।
#অগ্নি তত্ত্বের রঙ হল কালো।
#জল তত্ত্বের রঙ হল লাল।
#পৃথিবী তত্ত্বের রঙ হল হলুদ।
আপনি দেহের মাঝেই এই রঙ দেখতে পারবেন তত্ত্ব নির্নয়ের পদ্ধতির মাধ্যমে। পদ্ধতিগুলো আমি আগামী পোস্ট গুলোতে দেওয়ার চেষ্টা করব। এগুলো আপনার মাঝে হচ্ছে, কিন্তু জানা না থাকার কারনে আপনি বুঝতে পারছেন না।
বিঃদ্রঃ রং গুলো আমাদের ৪০ শে তালিম থেকে নেওয়া, অন্য শাস্ত্রে ভিন্নভাবে আছে। যে যেটা জানেন, সেই রঙ উদয় হওয়া নির্নয় করলেই হবে।।
ভিন্ন মতঃ
আকাশ= ধূম্র বর্ন। বায়ু= শ্যামল বর্ণ। অগ্নি= ভষ্ম বর্ণ। জল= গৌর বর্ণ এবং পৃথিবী =শুভ্র বর্ণ বা রঙ।
# দমের খবর (পর্ব- ০৭)
_____________________
পূর্বের পোস্ট গুলোতে দমের ঘরের অনেক বিষয় জানিয়েছে এবং তত্ত্ব সম্পর্কেও যথেষ্ট ধারনা দিয়েছি। আমার অঙ্গীকার অনুযায়ী আজ আমি তত্ত্ব নির্নয় করার পদ্ধতি জানাবো সবাই, যাতে নিজে নিজেই গুরু ছাড়া তত্ত্ব নির্নয় করতে পারেন। তত্ত্ব নির্নয়ের অনেক পদ্ধতি আছে, আমি একটি উল্লেখ করতেছি, মূলত সাধকদের এভাবে তত্ত্ব নির্নয় করতে হয় না। তারা এমনিতেই বুঝতে পারে সাধনা সাধনা করতে করতে।
একটি দর্পন তথা আয়না নাকের নিন্মে ধরে দম অর্থাৎ নিশ্বাস ত্যাগ করবে, তখন আয়নার উপর নাকের বাষ্প পতিত হবে, এখন শীতকাল তাই বেশি সহজেই বুঝতে পারবেন আশাকরি। সেই বাষ্পের দিকে মনোযোগ দিন। দেখবেন বাষ্প কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আবার হাওয়ায় মিশে যাচ্ছে। এই মিশে যাওয়ার সময় যদি চার কোনা হয়ে মিশে যায়, তাহলে খাক তত্ত্ব উদয় হয়েছে বুঝতে হবে। এভাবে যথাক্রমে যদি অর্ধ চন্দ্র আকারে, মিশে যায় তাহলে আব তত্ত্ব, তিন কোনা হয়ে বিলীন হলে আতস তত্ত্ব, আর যদি গোলাকার হয়ে মিশে যায় তবে বাদ তত্ত্ব উদয় হয়েছে বুঝবেন। আর যদি বিন্দু বিন্দু হয়ে মিশে যায় তবে আকাশ তত্ত্বের উদয় হয়েছে বুঝে নিবেন।
আমি পরিষ্কার ভাবে বলে দিয়েছি, এতো সহজ ভাবে কোনো পীররাও তত্ত্ব নির্নয়ের কথা ভক্তদের জানায় কি না সন্দেহ :)। এটা একদম সহজ, যে কেউ এটা এখনই পরীক্ষা করে দেখতে পারবেন :)। আশা করি সবারই ভাল লাগবে, এরকম কিছু যে আছে দেহের এই দমের মাঝে এইভাবে এতো সহজে পরীক্ষা করার মত পদ্ধতি আপনাকে আর কেউ জানাবে বলে আমার মনে হয় না :)। না বুঝতে পারলে এটা আপনার ভাগ্য।
তবে আরো পদ্ধতি আছে, এটা যদি না বুঝেন বা না পারেন, তাহলে সেটা জানাবো। এটা পরীক্ষা করে সবাই জানাবেন এখানে, যাতে আমি আমারও একটা পরীক্ষা হয়ে যায় এতোদিনে দম সাধনা নিয়ে :)।
আর হ্যা, এই তত্ত্ব নির্নয় করেই কার্য করতে হয়। কোন তত্ত্বে কোন কার্য করলে সিদ্ধি লাভ করা যায়, তা গুরুর কাছ থেকে জেনে নিবেন, আমাকে জিজ্ঞাস করে লাভ নাই, কারন আমার বলার অনুমতি নাই :)।
এই তত্ত্ব নির্নয় করে যদি কোনো ছেলে কোনো মেয়েকে প্রপোজ করে, সেই মেয়ে রাজি না হয়ে পারবে না :P। একটু রস দিলাম, মজা হলেও সত্যি। আরো গুনাগুন পূর্বের পোস্ট গুলোতে আলোচনা করেছি। কেউ মাইন্ড করবেন না প্লিজ। প্রেম কিন্তু খারাপ কিছু নয়, ইহা মহা পবিত্র :)।
বিঃদ্রঃ আয়না টি নাকের থেকে চার আঙুল পরিমান নিচে রাখবেন, যাতে আপনি ভাল মত বাষ্পীয় অবস্থা ও বিলীন হয়ে যাওয়ার চিত্রটা দেখতে পারেন।
# নারী বশীকরণ (দমের খবর পর্ব-০৮)
____________________
দম সাধনার যেত গুলো উপকার আছে, তার মধ্যে এটা একটি। অর্থাৎ দমের সাধকদের প্রতি নারীরা আকৃষ্ট থাকে এবং সাধিকাদের প্রতি পুরুষরা আকৃষ্ট থাকে। তবে সাধক সাধিকারা কারো প্রতি আকৃষ্ট হয় না।
দমের সাধনা না করেও জন্মগত ভাবেই অনেক ছেলে মেয়ের শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রনে থাকে তাদের অজ্ঞাতসারে। এরকম অনেক লোক আছে যাদের শ্বাস বায়ু জন্মগতভাবেই ধীরে চলে। আমরা প্রায়ই দেখে থাকি যে, অনেক একটা কুৎসিত ছেলের জন্য অনেক সুন্দরী মেয়েরাই প্রেমে পাগল থাকে আবার এর বিপরীত অর্থাৎ অনেক কুৎসিত মেয়ের প্রেমেও অনেক সুদর্শন ছেলে পাগল থাকে। শুধু একজন নয়, দেখে যায় সেই মেয়ের সাথে যে ছেলে সাক্ষাতে কথা বলে বা সেই ছেলের সাথে যেই মেয়ে সাক্ষাতে কথা বলে, সেই সব মেয়েরা বা ছেলেরাই তাদের প্রেমে পরে যায় (ফোনে কথা বললেও, তবে এটা কি দমের কারনে কি না, তা আমি জানি না)।
এজন্য আমরা অনেকেই বলে থাকি যে সেই ছেলে বা মেয়েটা কন্যারাশি। কিন্তু এটা ভুল ধারনা। রাশিফল ইত্যাদি এই সবে আমি বিশ্বাসী নই।কারন এর কোনো ভিত্তি আছে বলে আমার মনে হয় না, তবে জ্যোতিষ শাস্ত্রের ব্যপার গুলো বিশ্বাস করি। যা ই হোক এরকম হওয়ার কারন হল সেসব ছেলে মেয়েদের শ্বাস প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রিত অর্থা ধীর স্থির। এসব ছেলে মেয়েরা যদি দম সাধনা করে তাহলে অন্যদের তুলনায় অধিক দ্রুত সিদ্ধি লাভ করতে পারবে।
এখন আসল কথায় আসি, পূর্বেই পঞ্চ তত্ত্ব উদয় ও নাসিকার শ্বাস প্রবাহিত নিয়ে যথেষ্ট ধারনা দিয়েছি। এই শ্বাস প্রশ্বাসের তত্ত্ব ও দিক নির্নয় করে যদি ঠিক সময় মত কোনো ছেলে বা কোনো মেয়েকে কেউ প্রপোজ বা প্রেমের প্রস্তাব দেয়, তাহলে সে কখনোই তা প্রত্যাখ্যান করতে পারবে না। হয়তো দুই একবার সংকোচ করবে, কিন্তু বাজে ব্যবহার করবে না, এক পর্যায়ে সাফল্য অর্জন করবে প্রেমে। তবে ফোনে কথা বলেও এরূপ তত্ত্ব নির্নয় করে প্রেমে সফল হওয়া যায় কি না তা আমি জানি না। তবে আমার মনে হয় যাবে। এক্ষত্রে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।
এই বিষয় গুলো সাধুরা মূলত আপন স্ত্রীকে বশে এনে সংসারে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচার করেছেন একান্ত ভক্তদের কাছে। কিন্তু এইটা প্রেমের ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করতে হয় :)। অনেকে যাদু মন্ত্র তন্ত্র ইত্যাদি দিয়েও নারী পাগল করে :)। এসব নিয়ে আমার ইন্টারেস্ট নাই :)। কারন মন্ত্র তন্ত্র অনেক নাড়া চাড়া করলেও জীবনে পরীক্ষা করে দেখার অনুমতি পাই নাই frown emoticon আর এসব আমার পছন্দও না…এসব কাজ তারাই করে যারা ভাতের অভাবে ফইক্করামী করে বেড়ায়। মূলত ফকীরি ত আলাদা বস্তু। আল্লাহ বলেন আমি ফকীরের ভেদ, আর ফকীর আমার ভেদ। যেমন ফকীর ছিলেন লালন সাইজি। উনি এরকম আজ কাল ফকিরদের মত ঝারফুক করছেন বলে আমার জানা নেই।
এখন কেউ হয়তো বলবেন ‘আপনি কি কাউকে বশে আনছেন কি না এইভাবে?” আমার জবাব হল তাদের জন্য… লাইফে মেয়েদের সাথে সঙ্গ করার সময় আর সুযোগ পাই নাই। আর হাই স্কুল লেভেল থেকে আমার ক্লাসেও কোনো মেয়ে সহপাঠী ছিল না। তবে এর মাঝে যত মেয়ের সাথে কথা হইছে সাক্ষাতে, তাতে আমার কখনো মনে হয় নাই যে, কাউকে প্রপোজ করলে সে আমাকে রিজেক্ট করবে। হতে পারে এইটাও দম সাধনার ফল :P। আর ফেইসবুকে দম সাধনা কাজে লাগে কি না সেটাও জানি না। পরীক্ষা করে দেখা উচিত আমার tongue emoticon তবে জানি না, কারন আমি কখনো পরীক্ষা করি নাই, আর করবও না ইনশাল্লাহ।
পোস্ট টা মূলত সবাইকে আনন্দ দেওয়ার জন্যই ছিল। দম সাধনার মাধ্যমে যে এমন কিছুও করা সম্ভব, এটা হয়তো অনেকেই জানেন না। তাই জানাইলাম এই মজার বিষয়টা। আমি আমার কোনো বন্ধুকেও নারী বশীকরন শিখাই নাই, আর শিখাবোও না। দয়া করে কেউ আমাকে জিজ্ঞাস করবেন না। আবারও বলছি দম সাধনার মাঝে যে এরকম মজার মজার কিছু বিষয়ও লুকিয়ে আছে, সেটা জানানোর জন্যই আমার এই পোস্ট টা।
বিঃদ্রঃ শুধু নারী নয়, যে কোনো ব্যক্তিকেই বশে আনা যায় এইভাবে। যেমন নিজের অফিসের বসকে। আর কোনো মানুষই কুৎসিত নয়। কারন মানুষের ছুরতই আহছান ছুরত।
# দমের খবর (পর্ব-০৯)
_____________________
হুঁশ রাখো দমে দমে
এই দম রয়েছে আদমে,
দৈনিক দিবা রাত২৪ ঘন্টায়
দম চলে একেক নাসিকায়।
একুশ হাজার ছয়শ বারে
আসে-যায় ১২ বার করে।
ডান তথা দক্ষিনে বারো
বামে চলে ১২ আবারো।
প্রতি ঘন্টায় একবার করে
দম ঘুরে যায় অন্য ঘরে।
এই বদলানোর মাঝে কিছু সময়
দম একত্রে চলে দুই নাসিকায়।
অমাবস্যার তখন হয় উদয়।
তখন নারী সঙ্গ নাহি কর
শুধুই গুরু ধ্যান কর।
করিলে তখন নারী সঙ্গ
দেহ তরী হনে ভঙ্গ।
দক্ষিনে কর বাহ্য আর ভোজন
বামে করতে হয় মূত্র আর পান।
দক্ষিনের সময় রাখিয়া দক্ষিনে
করিলে নারী আলাপন গোপনে
সে নারী আসিবে আপন বশে
যদি সত্যি কেউ তাকে ভালবাসে।
দমকে রুদ্ধ করে ব্রহ্মদারে
সাধক ভাটির চন্দ্র উজান করে
তখন একাধিক স্ত্রী ভোগ করে
তবুও রতি তাহার টলে নারে।
শুভ অশুভ আগুম নিগুম
জানিতে নির্নয় কর দম।
ডান-বায়ের এই দম করে নির্নয়
মৃত্যুর আগাম সংবাদ জানা যায়।
দমের ঘরের মোয়াক্কেল যারা
এই ফকিরী ভেদ জানাবে তারা
কুদরতী এই দমের ঘরে
তিন মোয়াক্কেল বিরাজ করে
দমের সাধন যারাই করে
তারাই শুধু দেখতে পারে।
সাধক ডুব দিলে দম সাধনায়
তাহার দমে এসব জানায় ।
দেওয়ান রাহাত সব জানতে পায়,
দয়াল হান্নান শাহ্’র এর কৃপায়।
এখানে দমের হিসাব দেওয়া হল পুনরায়,, স্ত্রী সংগম, খাওয়া দাওয়া পান করা ও বাহ্য ত্যাগ করা তখান মল ত্যাগ করা এবং মুত্র ত্যাগ করার সময়ও জানানো হল। নারী বশে আনার বিষয়টাও ক্লিয়ার করলাম। বুঝে নিয়ে ট্রাই করে দেখতে পারেন আজই। যারা বুঝেন নাই এখান থেকে, তাদের জন্য আমার কিছুই করার নেই, পরিষ্কার ভাবে বলা সম্ভব না। তবে বাকী বিষয় গুলো আগামী পোস্ট গুলোতে আলচনার চেষ্টা করব।
# দমের খবর (পর্ব ১০)
_____________________
পঞ্চ তত্ত্ব (নূর, বাদ, আতস, আব, খাক তথা আকাশ, বায়ু, অগ্নি, জল, পৃথিবী তত্ত্ব) নির্নয় করার পদ্ধতিটা ৯ নং পর্বে দিয়েছিলাম। অনেকেই বুঝেন নাই। আসলে।প্রতি ঘন্টায় পাঁচ তত্ত্বের উদয় হয় একটার পর একটা। আমি হয়তো বুঝাতে পারিনি আপনাদের, এটা আমার ব্যর্থতা।আর অনেকেই বলেছেন আয়নাতে বাষ্প গোল হয়ে মিশে যায়, কিন্তু আবার অনেক্ষন পর পরীক্ষা করে দেখলে বাকী চার রকম চিত্রও দেখা যাবে। তবে হবুহু চার কোনা বা ত্রিকোনা হবে বা অর্ধ চাঁদের মত হবে এমনটা নয়, কিছুটা এরকম হবে। আপনাকে বার বার করার মাধ্যমে বুঝে নিতে হবে। তাহলেই আপনি পঞ্চ তত্ত্বের পঞ্চরকম পরিবর্তন দেখতে পাবেন শ্বাস প্রশ্বাস হতে নির্গত বাষ্পের মাঝে। যারা ৯নং পর্ব দেখে পারেন নি, তাদের জন্য এই বিকল্প পদ্ধতি নিন্মে দেওয়া হল।
পদ্মাসন বা যোগাসনে বসে.. দুই বৃদ্ধাঙ্গুলি দ্বারা দুই কানের ছিদ্র বন্ধ করুন। তারপর দুই হাতের তর্জনী ও মধ্যমা আঙুল দ্বারা দুই চোখ বন্ধ করে চেপে ধরুন। তারপর অনামিকা আঙ্গুল দ্বারা দুই নাকের দুই ছিদ্র বন্ধ করে রাখুন। এখন আখফা তথা দুই চোখের মধ্যবর্তী স্থানে কপালে নিজের মন লাগান বা লক্ষ দিন। এখন অতি মনোযোগের সাথে দেখুন আপনি কোন রঙ দেখতে পারচ্ছেন। অনেকেই হয়তো বলতে পারেন শুধু অন্ধকার দেখা যায়। কিন্তু না, এই অন্ধকারের মাঝেও আপনি অন্য কোনো রং দেখতে পাবেন। যখন যেই রঙ দেখতে পাবেন, সেটা ভাল ভাবে নির্নয় করার চেষ্টা করুন। সেই রঙ যে তত্ত্বের রঙের সাথে মিলে যাবে, তখন সেই তত্ত্বের উদয় হয়েছে বলে জানবেন।
তত্ত্বের রঙ সম্পর্কে ‘পর্ব-০৬’এ আলোচনা করা হয়েছে। আর ‘পর্ব-০৭’ এ আয়নার মাধ্যমে তত্ত্ব নির্নয়ের ব্যপারে আলোচনা করা হয়েছে। এই পোস্ট বুঝতে আপনাকে ০৬-০৭ নং পর্ব পড়তে হতে পারে। ধন্যবাদ।
বিঃদ্রঃ আজ প্রথম থেকে ১০ পর্ব একসাথে দিলাম। আর আগামীতে পোস্ট দিতে থাকি, পরে আবার ১০ পর্ব একসাথে দিব।
(মহান সূফীসাধক শাহ্ সূফী হযরত ছায়েদ হোসেন চিস্তি রহঃ এর রওজা মোবারক। যিনি ছিলেন এই দম সাধন তত্ত্বের জ্ঞানের দরিয়া। ছবিতে আরও দেখা যাচ্ছে জামালচর দরবারের মাহফিল এর চিত্র।)
কালেমাটি হলো ৫টি ভাগে ভাগ করা। যথা- ‘লা’ ‘ইলাহা’ ‘ইল্লা’ ‘আল্লা’ ‘হু’। কালেমাকে এই ৫ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যাহা সৃষ্টির আদিতে এক মহাশক্তি হইতে পঞ্চশক্তিতে বিভাগ হয়েছিল। তাই কালেমাকেও আল্লাহ্পাক নিজ কুদরতে পাঁচ ভাগে ভাগ করে গড়েছেন। আবার এই পঞ্চ মহাশক্তির এক একটি শক্তি হতে আরও ১৭টি শক্তির আবির্ভাব ঘটাইলেন। অর্থাৎ পঞ্চ মহাশক্তির একটি মহাশক্তি থেকে আরো ১৭টি শক্তির সৃজন রুপে প্রকাশ ঘটাইলেন। সেই এক শক্তি (১+১৭)=১৮ শক্তিতে পরিণত হয়ে গেল। এব্যপারে পূর্বেই আলোচনা করা হইয়াছে। কালেমার প্রথমেই ‘লা’ পঞ্চ মহাশক্তির মধ্য শক্তি। ইহার নুর দ্বারা যাহা কিছু প্রকাশ হয়েছে, তাহা নিন্মে উল্লেখ করা হইল….
১। কালেমার প্রথম অংশ “লা”।
২। পঞ্চ অনাছের এক অনাছ আতস বা আগুন।
৩। উহার পাঁচ গুণের প্রথম গুণ ভোগ বা ক্ষুধা।
৪। উহার পাঁচ গুণের দ্বিতীয় গুণ পিয়াস।
৫। উহার পাঁচ গুনের তৃতীয় গুণ সুস্থী বা ক্লান্তি
৬। উহার পাঁচ গুণের চতুর্ত গুণ নিন্দ বা ঘুম।
৭। উহার পাঁচ গুণের পঞ্চম গুণ হজম।
৮। ঐ মহাশক্তির রং ছিয়া বা কালো (অন্য মতে ‘ভষ্ম’)।
৯। ঐ মহাশক্তির লজ্জত করুয়া বা তিতা ।
১০। ঐ মহাশক্তির মোয়াক্কেল আজাজিল।
১১। ঐ মহাশক্তির ঈমান বেল গায়েব একীন।
১২। ঐ মহাশক্তির অজুদ মোমকেনাল।
১৩। ঐ মহাশক্তির রুহ হায়ানী।
১৪। ঐ মহাশক্তির নফ্স আম্মারা।
১৫। ওয়াক্তের নামাজ (আছর) রুহি।
১৬। পাক পাঞ্জতনের নাম মা ফাতেমা (আঃ)।
১৭। ঐ মহাশক্তির মোকাম কাব-কাউছীন।
১৮। ঐ মহাশক্তির মঞ্জিল নাছুত।
আমি এই কিতাবের মাঝে কালেমার “লা” নূর হইতে যাহা সৃষ্টিরূপে প্রকাশ হয়েছে আমি উহা তাহ্কিক করিয়া বুঝাইয়া দিলাম। বাকী কালেমার চার ভাগ দ্বারা দয়াময় প্রভু কি কি সৃষ্টি রূপে প্রকাশ করেছেন, উহা যার যার মুর্শিদের নিকট হইতে তাহাকিক করিয়া বুঝিবার চেষ্টা করিবেন। এক মহাশক্তি হইতে আরও ১৭টি শক্তিতে পরিণত হওয়ায় (১+১৭)=১৮টি নাম ধারন করিয়া ১৮টি বস্তু রূপে প্রকাশ হয়েছে। এই হইল (৫১৮)=‘৯০তালিম’। ইহা কালেমার মূল রহস্য এবং ইহাই আত্মজ্ঞানের প্রধান জ্ঞান।
=============