প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুবসমাজ আমাদের একটা বড় শক্তি। পৃথিবীর অনেক দেশ এখন বয়োবৃদ্ধদের দেশে পরিণত হয়েছে। আমরা সেটা হতে চাই না। কাজেই আমাদের এ যুবসমাজই পারবে দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করতে।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) ‘শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০২২’ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে উন্নত বাংলাদেশ গড়া। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কর্মসূচি প্রণয়ন করেছি। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম-আয়ের দেশ করার কথা বলেছি। আজ আমরা উন্নয়শীল দেশের মর্যদা পেয়েছি। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের গ্রাজুয়েশন হয়েছে। এটা যেন আর পিছিয়ে না যায়।
তিনি বলেন, এটা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আজকে আমাদের তরুণ সমাজই হবে সেই ৪১-এর কারিগর। তারা দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে। প্রত্যেক মানুষ যেন সুন্দর জীবন পায়, আমরা সে পথে এগিয়ে যাব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকারে আসার পর আমাদের লক্ষ্যই ছিল দেশের যুবসমাজকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করা। তখনকার যুগে কেউ কম্পিউটার শিখত না, কম্পিউটার ছিলই না। দু-চারটা অফিসে হয়তো ডেস্কটপ সাজানো থাকত, কিন্তু কেউ ব্যবহার করত না।
তিনি বলেন, আমিই উদ্যোগ নিয়েছিলাম যে, প্রথমেই প্রযুক্তি শিক্ষা দিতে হবে। কারণ, সে সময় আমাদের বিজ্ঞান শিক্ষা বা কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে মাত্র সাত শতাংশ ছেলেমেয়ে সম্পৃক্ত ছিল। যে কারণে আমি ১২টা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নিই। কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিই।