আলফাডাঙ্গা(ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় জমিজমা কে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের বিরোধে মাননীয় আদালতের ১৪৪ ধারাকে উপেক্ষা করে রাতের আধারে জোর পূর্বক ঘর উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গোপালপুর গ্রামে মৃত তকবীর আহমেদ এর পুত্র মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও প্রতিবেশী মৃত শওকত আলী খানের ছেলে মশিউর রহমানের মধ্যে বাড়ির জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছি
ল। এ বিষয়ে হাবিবুর রহমান ১ মার্চ বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ফরিদপুর ১৪৪ ধারায় মামলা করেন, আলফাডাঙ্গা থানার পিটিশন মামলা নং ১৬৪/২৩, উক্ত মামলায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ সরজমিনে গিয়ে উভয় পক্ষকে বিরোধমান জমিতে কোন প্রকার কার্যক্রম করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
সেটিকে উপেক্ষা করে ৮ মার্চ মঙ্গলবার (শবেবরাতের)গভীর রাতে মশিউর রহমান গং ৪০/৫০ জনের একটি সংবদ্ধ চক্র দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জোর পূর্বক বিরোধমান জমিতে ৩টি ছাপড়া ঘর ও ১ টি টয়লেট উত্তোলন করে। এ বিষয়ে বাদী মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ২৮ নং মৌজা গোপালপুর, যাহার সিএস খতিয়ান নং ৩১৬, দাগ নং ৯৩৩, জমির পরিমাণ ৩১ শতাংশ। সিএস রেকর্ডের মালিক আমার দাদা আব্দুল বারিক, উক্ত জমি নিয়ে বিজ্ঞ আলফাডাঙ্গা সহকারী জর্জ আদালত ফরিদপুর আমার বাবা তকবীর আহমেদ বাদী হয়ে ৫৩/৯২ নং দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন।
এই মামলায় বারিকের পুত্র তকবীর আহমেদ মাননীয় আদালতে ১৩/৫/১৯৯৩ ইং তারিখে ডিগ্রী লাভ করেন। এখানে উল্লেখ থাকে যে, তকবীর আহমেদ এর পুত্র মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান দীর্ঘ ২৯ বছর যাবৎ এই জমিতে আমরা শান্তি পূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছিল এমতাবস্থায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে ঔ জায়গায় নতুন বিল্ডিং তৈরী করার সিদ্ধান্ত নিলে প্রতিপক্ষ মশিউর রহমান বাধা প্রদান করেন। এ বিষয়ে বিবাদী মশিউর রহমান বলেন, এই ৩১ শতাংশ জমি আমার বাবা শওকত আলী খান ৬/২/১৯৯১ সালে ক্রয় করেছিলেন,এটি আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি। জমিতে জোর পূর্বক ঘর উত্তোলনের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
উক্ত বিরোধ নিরশনের জন্য বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের সম্মতিতে ১১ মার্চ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে এক শালিস বিচারের মাধ্যমে বাদী হাবিবুর রহমানের গংদের পক্ষে জমির সঠিক দলিল পর্চা থাকায় তাদের পক্ষে বিচারের রায় প্রদান করেন বিজ্ঞ শালিসী বোর্ড।
রায়ের সিদ্ধান্তে জমিতে জোর পূর্বক যে ছাপড়া ঘরগুলি উত্তোলন করা হয়েছিল সেগুলি বিবাদী ভেঙ্গে নিয়ে যাবে এবং বিবাদী মশিউর রহমান শালিসী বোর্ডের নিকট ২ শতাংশ জমির দাবী করায় শালিসী বোর্ড সেটি দিতে বাদী হাবিবুর রহমান কে অনুরোধ করলে তিনি সেটি দিতে সম্মতি হন।
কিন্তু উক্ত শালিসী বোর্ডের সিদ্ধান্ত কে ও উপেক্ষা করে বিবাদী মশিউর রহমান এলাকায় শান্তি ভঙ্গের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন বলে বাদী হাবিবুর রহমান বলেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।