করোনা সংক্রমণ রোধে দেওয়া সাত দিনের কঠোর লকডাউনের মধ্যেও রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম চলছে। কিন্তু কারখানায় আসা-যাওয়ার পথে ভোগান্তির মুখে পড়েছেন অনেক শ্রমিক। কয়েকটি জায়গায় শ্রমিকদের বহনকারী বাস আটকে দেয় পুলিশ। কারখানার মধ্যম সারির কর্মকর্তাদের বহনকারী যানও মামলার মুখে পড়েছে।
বিধিনিষেধের মধ্যে রিকশা ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন সড়কে চলাচল করছে না। সে জন্য কারখানা থেকে দূরবর্তী এলাকায় থাকা শ্রমিকেরা বেশি ভোগান্তিতে পড়েন। কারণ, অল্প কিছু ভালো কারখানা শ্রমিকদের যাতায়াতের জন্য বাসের ব্যবস্থা করলেও বেশির ভাগই তা করেনি। অন্যদিকে কারখানাগুলোর মধ্যম সারির কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা ঢাকা থেকে প্রতিদিন গাজীপুর বা নারায়ণগঞ্জের কারখানায় আসা–যাওয়া করতেন, তাঁদের জন্য আশপাশের হোটেল, রিসোর্ট বা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকার ব্যবস্থা করছে অনেক প্রতিষ্ঠান।
২৮ জুন থেকে সীমিত পরিসরে লকডাউন শুরু হয়েছে। এর আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য উৎপাদনমুখী শিল্পকারখানা চালু রাখার সিদ্ধান্ত হয়। পরে কঠোর লকডাউনেও সেটি বলবৎ থাকে।
নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, কিছু শ্রমিককে কারখানায় দিকে যেতে দেওয়া হয়নি। শ্রমিকদের বাস আটকে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। তবে অধিকাংশ শ্রমিকই কারখানায় যেতে পেরেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ সকাল সাতটা থেকে নয়টা ও সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত শ্রমিকদের আসা–যাওয়ার সময় সহযোগিতা করুন। ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের কর্মী বা তাঁদের প্রতিনিধিদের কারখানায় যেতে দিতে হবে।’