ইতিহাসের পাতায় ১১ সেপ্টেম্বর
গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ২৫৪তম (অধিবর্ষে ২৫৫তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।
ঘটনাবলি
১৮৫৩ : প্রথম বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফ চালু হয়।
১৮৭৫ : সংবাদপত্রে প্রথম কার্টুন স্ট্রিপ প্রকাশিত হয়।
১৮৯৩ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে প্রথম বিশ্ব মহাধর্ম সম্মেলনে ভারতবর্ষের প্রতিনিধি হয়ে স্বামী বিবেকানন্দ তার ঐতিহাসিক বক্তৃতাটি দিয়েছিলেন।
১৯০৯ : ম্যাক্স উলফ হ্যালির ধূমকেতু নতুন করে আবিষ্কার করেন।
২০০৭ : প্রথম টুয়েন্টি ২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকায় শুরু হয়।
জন্ম
১৮৬২ : ও হেনরি, প্রখ্যাত মার্কিন ছোট গল্পকার।
১৮৭৭ : জেমস জিনস, প্রখ্যাত ইংরেজ প্রাবন্ধিক ও বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখক।
১৮৮৫ : ডি.এইচ লরেন্স, ইংরেজ সাহিত্যিক।
১৮৯৫ : বিনোবা ভাবে, ভারতে অহিংসা ও মানবাধিকারের প্রবক্তা ও সমর্থক।
১৯০৭ : কবি সুফী মোতাহার হোসেন।
১৯০৮ : বিনয় বসু, ব্রিটিশ বিরোধী বাঙালি বিপ্লবী।
১৯২৪ : তাপস সেন, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভারতীয় বাঙালি আলোকসম্পাত শিল্পী।
১৯৫০ : শাহাবুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী।
১৯৫৩ : শহীদুল জহির, বাংলাদেশি গল্পকার ও ঔপন্যাসিক।
১৯৬৯ : কনকচাঁপা, বাংলাদেশি কণ্ঠশিল্পী।
১৯৭০ : কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ভারতীয় বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লোকসঙ্গীত গবেষক।
মৃত্যু
১৯৪৮ : পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা ও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান মুসলিম নেতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
১৯৫৮ : বিখ্যাত কানাডীয় কবি রবার্ট সার্ভিস।
১৯৮৭ : প্রখ্যাত হিন্দি ভাষার কবি মহাদেবী বর্মা।
চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ
শাহাবুদ্দিন আহমেদ বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে আবির্ভূত একজন বিখ্যাত বাঙালি চিত্রশিল্পী।আধুনিক ঘরানার প্যারিস-প্রবাসী ফরাসি-বাঙালি এই শিল্পীর খ্যাতি ইউরোপেও ছড়িয়ে পড়েছে।
জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫০ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকায়। পৈতৃক নিবাস নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার আলগী গ্রামে। বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা তায়েবউদ্দীন আহমেদ তার বাবা। মায়ের নাম সাইফুন নেসা।
১৯৭৩ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে বিএফএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ওই সময় তিনি ছাত্রসংসদের সহ-সভাপতি ছিলেন। পরে বৃত্তি লাভ করে ফ্রান্সের ইকোল দে বোজার্ট চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ে চারুকলা বিষয়ে পড়াশোনা করেন ১৯৭৪-১৯৮১ সাল পর্যন্ত। তখন থেকে প্যারিসে বসবাস করছেন।
শিল্পী শাহাবুদ্দিনের ছবির বৈশিষ্ট্য হলো গতি। বারবার তাঁর ক্যানভাসে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। দেশ-বিদেশের অনেক গ্যালারিতে বহুবার তার একক চিত্রপ্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি। গেরিলা বাহিনীর ১৭নং প্লাটুনের কমান্ডার ছিলেন। সম্মুখযুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেছেন।
শিল্পী জীবনে পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। ১৯৯২ সালে মাস্টার পেইন্টার্স অব কনটেম্পোরারি আর্টসের পঞ্চাশজনের একজন হিসেবে বার্সেলোনায় অলিম্পিয়াড অব আর্ট পদকে ভূষিত হন। ২০০০ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে। এছাড়া ২০১৪ সালে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘নাইট’ উপাধি পেয়েছেন।
শাহাবুদ্দিন আহমেদের বিভিন্ন চিত্রকর্ম বাংলাদেশসহ বুলগেরিয়া, তাইওয়ান, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, ফ্রান্সের বিভিন্ন প্রখ্যাত গ্যালারি, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষিত রয়েছে।
সূত্র: সংগৃহীত