ঘটনাবলি
১৯০৮ : সর্বপ্রথম সবচেয়ে দূরবর্তী রেডিও বার্তা পাঠানো হয়েছিল আইফেল টাওয়ার থেকে।
১৯৩৪ : বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্যসেনের ফাঁসি হয়।
১৯৭২ : পোল্যান্ড এবং বুলগেরিয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
১৯৯৮ : মানব ক্লোনিং নিষিদ্ধ করে ১৯টি ইউরোপীয় দেশের চুক্তি স্বাক্ষর।
২০০৪ : বৃহৎ সামুদ্রিক জাহাজ আরএমএস কুইন মেরি-২ প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু করে।
জন্ম
১৮৬৩ : স্বামী বিবেকানন্দ, নব্যযুগে বেদান্ত দর্শনের গুরু।
১৯১৩ : ধীরেন্দ্রলাল ধর, খ্যাতনামা বাঙালি সাহিত্যিক।
১৯২১ : আবদুল গনি হাজারী, বাঙালি কবি ও সাংবাদিক।
১৯৩৬ : ক্যাপ্টেন নুরুল হক, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রথম নৌপ্রধান।
১৯৪২ : এ টি এম হায়দার, বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধা, বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত সেক্টর কমান্ডার।
মৃত্যু
১৮৯৭ : শর্টহ্যান্ড লিপির উদ্ভাবক স্যার আইজাক পিটম্যান।
১৯৩৪ : ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্যসেন।
১৯৩৪ : ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদার।
১৯৭২ : বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক ও সাংবাদিক গোলাম রহমান।
১৯৭৬ : রহস্য সাহিত্যের বিখ্যাত লেখিকা আগাথা কৃষ্টি।
মাস্টারদা সূর্য সেন
সূর্য সেন ছিলেন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী মহানায়ক। ‘যুগান্তর’ দলের চট্টগ্রাম শাখার প্রধান এবং ১৯৩০ সালের চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের প্রধান সংগঠক। পুরো নাম ছিল সূর্যকুমার সেন। ডাক নাম কালু।
জন্মগ্রহণ করেন ১৮৯৪ সালের ২২ মার্চ চট্টগ্রামের রাউজান থানার নোয়াপাড়া গ্রামে। বাবা রাজমনি সেন এবং মা শশীবালা দেবী। স্থানীয় দয়াময়ী বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষার পর নোয়াপাড়া উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করেন এবং ১৯১২ সালে চট্টগ্রাম ন্যাশনাল হাই স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হন। ১৯১৮ সালে তিনি মুর্শিদাবাদের বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। বিএ পড়ার সময়েই তিনি তাঁর এক শিক্ষক সতীশ চন্দ্র চক্রবর্তী কর্তৃক বৈপ্লবিক আদর্শে দীক্ষিত হন।
অধ্যাপক সতীশ চন্দ্র চক্রবর্তী যুগান্তর নামে বিপ্লবী দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সূর্য সেন ১৯১৮ সালে চট্টগ্রামে ফিরে বিপ্লবী যুগান্তর দলকে পুনরুজ্জীবিত করেন। পরিচয় গোপন রাখার কৌশল হিসেবে তিনি ন্যাশনাল স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। শিক্ষকতা করার কারণে তিনি পরিচিত মহলে ‘মাস্টারদা’ আখ্যা পান। চট্টগ্রামে তখন বিপ্লবী দলে অম্বিকা চক্রবর্তী, অনুরূপ সেন, নগেন সেন (জুলু সেন), চারুবিকাশ দত্তসহ আরো অনেকে কাজ করতেন।
অসহযোগ আন্দোলনে নিজেকে সম্পৃক্ত করার জন্যে তিনি তাঁর শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে দেন এবং দেওয়ানবাজার এলাকায় তাঁর প্রতিষ্ঠিত ছাত্রাবাস থেকে চট্টগ্রাম কংগ্রেসের বিপ্লবী ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেন। ১৯৩০ সালে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের অভিযানের সময় একটি ভয়ংকর যুদ্ধে ৮০ জনেরও বেশি ব্রিটিশ ভারতীয় সেনা নিহত হয়। পরে বিদ্রোহীরা জালালাবাদ পাহাড়ে অবস্থান নেয়। এ সময় ইংরেজ সেনাদের হঠাৎ আক্রমণে ১২ জন বিপ্লবী শহীদ হন। পরবর্তীকালে পুলিশের আক্রমণে আরো দুজন বিপ্লবী শহীদ হন।
এ ঘটনার পর থেকে সূর্য সেন ও তাঁর দল পলাতক থাকে। একসময় বিপ্লবী সূর্য সেন এক বন্ধুর বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন। ১৯৩৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি আত্মগোপনে থাকা সূর্য সেনকে ব্রিটিশ শাসকরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। বিচারে সূর্য সেনের ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। ১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি তারকেশ্বর দস্তিদার নামের আরেক বিপ্লবীর সঙ্গে অগ্নিদিনের বীর সন্তান সূর্য সেনের ফাঁসি হয়।
সূত্র: সংগৃহীত