ঘটনাবলি
১৬৪২ : পর্তুগিজ নাবিক আবেল তাসমান নিউজিল্যান্ড আবিষ্কার করেন।
১৮৮৯ : বেলজিয়াম নারী ও শিশু শ্রম বিষয়ে আইন জারি করে।
২০০১ : ২৯তম অলিম্পকস ক্রীড়া সংস্থার কমিটি পেইচিংয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়।
জন্ম
১৯১১ : ট্রাইগভে হা্ভেল্ম, নোবেলজয়ী নরওয়েজিয়ান অর্থনীতিবিদ ও গণিতবিদ।
১৯২৩ : ফিলিপ ওয়ারেন অ্যান্ডারসন, নোবেলবিজয়ী আমেরিকান পদার্থবিদ ও একাডেমিক।
১৯৩৪ : জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, কিংবদন্তি বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার।
১৯৮৯ : টেইলর অ্যালিসন সুইফট, আমেরিকান গায়ক-গীতিকার, রেকর্ড প্রযোজক ও অভিনেত্রী।
মৃত্যু
১০৪৮ : বিশ্বখ্যাত ফার্সি পণ্ডিত, আরবীয় শিক্ষাবিদ ও গবেষক আবু রায়হান মোহাম্মদ ইবনে আহমদ আল বিরুনি।
১৯৩০ : ব্রিটিশ বিরোধী বাঙালি বিপ্লবী বিনয় বসু।
১৯৩৫ : নোবেলজয়ী ফরাসি রসায়নবিদ ভিক্টর গ্রিগনারড।
১৯৫৫ : নোবেলবিজয়ী পর্তুগিজ সাইকোলজিস্ট ও নিউরো সার্জন এগাস মনিয।
১৯৯২ : ভারতীয় বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী সতীনাথ মুখোপাধ্যায়।
২০১১ : বাংলাদেশি প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, জাতীয় অধ্যাপক, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক কবীর চৌধুরী।
আল বিরুনি
পুরো নাম আবু রায়হান মোহাম্মদ ইবনে আহমদ আল বিরুনি। আল বিরুনি নামেই তিনি পরিচিত। তিনি ছিলেন একাধারে গণিতজ্ঞ, জ্যোতির্বিদ, পদার্থবিজ্ঞানী, ভূগোলবিদ, ঐতিহাসিক, পঞ্জিকাবিদ, দার্শনিক, চিকিৎসক, ভাষাতত্ত্ববিদ ও ধর্মতত্ত্বের নিরপেক্ষ বিশ্লেষক। নির্ভীক সমালোচক ও সঠিক মতামতের জন্যে তিনি যুগশ্রেষ্ঠ হিসেবে স্বীকৃত। তিনি অত্যন্ত মৌলিক ও গভীর চিন্তধারার অধিকারী ছিলেন।
জন্মগ্রহণ করেন ৯৭৩ সালে সেপ্টেম্বর মাসে খাওয়ারিজমের শহরতলিতে সাধারণ এক ইরানি পারিবারে। হিজরি চতুর্থ শতাব্দীর শেষার্ধ ও পঞ্চম শতাব্দীর প্রথমার্ধকে আল বেরুনির কাল বলে উল্লেখ করা হয়। তিনিই সর্বপ্রথম প্রাচ্যের জ্ঞানবিজ্ঞান, বিশেষ করে ভারতের জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রতি মুসলিম মনীষীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। শুধু মুসলিম বিশ্বেরই নন, বরং তিনি ছিলেন সমগ্র বিশ্বের শ্রেষ্ঠ জ্ঞানীদের একজন। ইউরোপীয় পন্ডিতদের মতে, আল বিরুনি ছিলেন স্বয়ং বিশ্বকোষ। তার প্রত্যেকটি গ্রন্থ জ্ঞানের আধার। ভারতীয় পন্ডিতরা আল বিরুনিকে জ্ঞানের সমুদ্র নামে ডেকেছেন। ১১৪টি গ্রন্থের রচয়িতা ছিলেন তিনি। আমাদের দেশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর নামে একটি হলের নামকরণ করা রয়েছে।
আল বিরুনি ১০৪৮ সালের ১৩ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র: সংগৃহীত