ঘটনাবলি
১৬৩৯ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান গৃহীত হয়।
১৯৯৮ : যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা তাদের এক গবেষণায় প্রমাণ করেন, একটি এনজাইম কোষের মৃত্যু এবং বয়সবৃদ্ধির গতি মন্থর করে।
২০০৫ : শনি গ্রহের চাঁদ টাইটানে হুইজেন্স প্রোবের অবতরণ।
২০০৮ : নাসার পাঠানো ম্যাসেঞ্জার নামের মহাকাশযান প্রথম বুধ গ্রহের অদেখা গোলার্ধের ছবি তুলতে সক্ষম হয়।
জন্ম
১৫৫১ : মুঘল যুগের শ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক আবুল ফজল জন্মগ্রহণ করেন।
১৮৭৫ : ফরাসি খ্যাতিমান চিকিৎসক এবং সঙ্গীতবিদ আলবার্ট সোয়েৎজার জন্মগ্রহণ করেন।
১৯০৩ : ইতিহাসবিদ ড. নীহাররঞ্জন রায় জন্মগ্রহণ করেন।
১৯১৯ : কাইফি আজমি ভারতীয় প্রথিতযশা উর্দুভাষী কবি ও সাহিত্যিক এবং বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব।
১৯২৫ : জাপানি ঔপন্যাসিক ও নাট্যকার ইউকিও মিশিমার জন্ম।
১৯২৬ : মহাশ্বেতা দেবী, ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক ও মানবাধিকার আন্দোলনকর্মী।
১৯২৯ : শ্যামল মিত্র, ভারতীয় বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার।
মৃত্যু
১৭৪২ : এডমুন্ড হ্যালি, ইংরেজ জ্যোতির্বিদ ও গণিতজ্ঞ।
১৭৫৩ : জর্জ বার্কলে, আইরিশ দার্শনিক।
১৮৯৮ : লুইস ক্যারল, হাস্যরস শিল্পী ও শিশুসাহিত্যিক।
২০০৮ : সেলিম আল দীন, বাংলাদেশি নাট্যকার।
নীহাররঞ্জন রায়
নীহাররঞ্জন রায় ছিলেন বরেণ্য ইতিহাসবিদ, সাহিত্য সমালোচক ও শিল্পকলা গবেষক বাঙালি পণ্ডিত। ড. নীহাররঞ্জনের পাণ্ডিত্য বহু ক্ষেত্রে বিচরণশীল ছিল।
জন্মগ্রহণ করেন ১৯০৩ সালের ১৪ জানুয়ারি তৎকালীন ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জে। বাবা মহেন্দ্রচন্দ্র রায় ছিলেন স্থানীয় ন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষক। নীহাররঞ্জন প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন স্থানীয় ন্যাশনাল স্কুলে। এরপর সিলেটের মুরারীচাঁদ কলেজ থেকে ইতিহাসে স্নাতক এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভারতের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে এমএ পাস করেন। কিছুদিন গবেষণায় নিযুক্ত থাকার পর বৃত্তি নিয়ে ইউরোপে যান এবং হল্যান্ডের লাইডেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি এবং লন্ডন থেকে গ্রন্থাগার বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি নেন। কয়েক বছর তিনি বার্মায় গিয়ে বার্মিজ মন্দির ও স্থাপত্যের ওপর গবেষণা করেন।
কর্মজীবনে বিবিধ পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নীহাররঞ্জন রায়। ৩৫ বছরের বেশি সময় তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ ফেলো, প্রভাষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপত্রের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক, মুখ্য গ্রন্থাগারিক, রিডার ও প্রফেসর ছিলেন। তিনি সুভাষ বসু পরিচালিত ইংরেজি দৈনিক লিবার্টিতে সাহিত্য সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
নীহাররঞ্জনের ইংরেজিতে লেখা ৭০টির বেশি ও বাংলায় লেখা ৩০টি প্রবন্ধ, নিবন্ধ, ভাষণ এবং ইংরেজিতে ১৫টি ও বাংলায় সাতটি গ্রন্থের বিষয়বস্তু ছিল ইতিহাস, চারুকলা, স্থাপত্য, নৃবিদ্যা, লিপিতত্ত্ব, ধর্ম, সাহিত্য, সমসাময়িক রাজনীতি, গান্ধী, নেহরু, সুভাষচন্দ্র বসু ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যকর্ম।
উল্লেখযোগ্য বইগুলোর মধ্যে রয়েছে—বাঙ্গালীর ইতিহাস: আদি পর্ব, রবীন্দ্রসাহিত্যের ভূমিকা, কৃষ্টি কালচার সংস্কৃতি, বাংলার নদ-নদী, বাঙালী হিন্দুর বর্ণভেদ, প্রাচীন বাংলার দৈনন্দিন জীবন, মুঘল কোর্ট পেইন্টিং, দ্য শিখ গুরুস অ্যান্ড দ্য শিখ সোসাইটি, ডাচ অ্যাকটিভিটিস ইন দ্য ইস্ট (সম্পাদিত), অ্যান অ্যাপ্রোচ টু ইন্ডিয়ান আর্ট ইত্যাদি।
কর্মকুশলতা ও সাংস্কৃতিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ বৃত্তি, মোয়াট স্বর্ণপদক, রবীন্দ্র পুরস্কার, সরোজিনী স্বর্ণপদক, সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তিনি কলকাতা এশিয়াটিক সোসাইটির বিমলাচরণ লাহা স্বর্ণপদক, প্রফুল্লকুমার সরকার (আনন্দ) পুরস্কারও লাভ করেন। ১৯৬৯ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মভূষণ উপাধিতে ভূষিত করে।
নীহাররঞ্জন রায় ১৯৮১ সালের ৩০ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র: সংগৃহীত