ঘটনাবলি
১৮০৫ : ফসিল জ্বালানি হিসেবে পাথুরে কয়লার তীব্র তাপশক্তি উৎপাদনের ক্ষমতার বিষয়টি আবিষ্কৃত হয়।
১৯৪৬ : আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) জাতিসংঘের সহায়ক সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
১৯৭১ : মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দেশীয় দোসররা বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।
১৯৯৫ : প্যারিসে বসনীয় শান্তিচুক্তি (ডেইটন চুক্তি) আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরিত হয়।
জন্ম
১৫০৩ : নসট্রাদামুস, ফরাসি ভবিষ্যদ্বোক্তা, জ্যোতিষী, লেখক এবং ঔষধ প্রস্তুতকারক ও চিকিৎসা সামগ্রী বিক্রেতা।
১৮৭৮ : হরিহর শেঠ, সাহিত্যিক ও ইতিহাসবেত্তা।
১৯১২ : হেমাঙ্গ বিশ্বাস, সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার।
১৯২২ : নিকোলাই বাসভ, নোবেলজয়ী সোভিয়েত পদার্থবিজ্ঞানী এবং শিক্ষাবিদ।
১৯৪৬ : এন্টোনি জেমস বিভোর্, ইংরেজ ঐতিহাসিক।
১৯৫৪ : মাকসুদুল আলম, বাংলাদেশি জিনতত্ত্ববিদ, পেঁপে, রাবার, পাট এবং ছত্রাক জিনোম উদ্ভাবক।
মৃত্যু
১৭৯৯ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি জর্জ ওয়াশিংটন।
১৯৭০ : বাঙালি কবি ও শিক্ষাবিদ কুমুদরঞ্জন মল্লিক।
১৯৭১ : বীরশ্রেষ্ঠ, মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর।
১৯৮৪ : ধীর আলী মিয়া, বাংলাদেশি যন্ত্রবাদক, সঙ্গীত পরিচালক, ও সুরকার।
২০১৮ : আমজাদ হোসেন, বাংলাদেশি অভিনেতা, লেখক এবং চলচ্চিত্রকার।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস (বাংলাদেশ)
আজ ১৪ ডিসেম্বর। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাংলাদেশে প্রতিবছরই এই দিনটিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ১৯৭১ সালের এ দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। বুদ্ধিজীবী হত্যার ঠিক দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসররা দেশের অসংখ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে তাঁদের নির্যাতনের পর হত্যা করে। বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাযজ্ঞ সংগঠিত হয়। পরবর্তীতে ঢাকার মিরপুর, রায়ের বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে গণকবরে তাঁদের মৃতদেহ পাওয়া যায়। ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর নিকটাত্মীয়রা মিরপুর ও রাজারবাগ বধ্যভূমিতে স্বজনের মৃতদেহ শনাক্ত করেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে অধ্যাপক মুনির চৌধুরী, ডা.আলিম চৌধুরী, অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান, ড. ফজলে রাব্বী, সিরাজ উদ্দিন হোসেন, শহীদুল্লাহ কায়সার, অধ্যাপক জিসি দেব, জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক রশীদুল হাসান, ড. আবুল খায়ের, ড.মুর্তজা, সাংবাদিক খন্দকার আবু তাহের, নিজামউদ্দিন আহমেদ, এসএ মান্নান (লাডু ভাই), এ এন এম গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক, সেলিনা পারভিনসহ আরও অনেকেই রয়েছেন।
দিবসটি উপলক্ষে দেশব্যাপী আলোচনা, শোকসভাসহ থাকে নানা আয়োজন। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি টিভি চ্যানেল দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করে। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
সূত্র: সংগৃহীত