1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন

ইতিহাসের পাতায় ১ সেপ্টেম্বর

  • সময় রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৪৩ বার দেখা হয়েছে

গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ২৪৪তম (অধিবর্ষে ২৪৫তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।

ঘটনাবলি
১৮৫৩ : উত্তমাশা অন্তরীপ থেকে পৃথিবীর প্রথম ত্রিকোণ ডাকটিকিট ইস্যু করা হয়।
১৯৮৫ : ১৯১২ সালে ডুবে যাওয়া টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার।
১৯৯১ : উজবেকিস্তান সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে।

জন্ম
১৮৫৬ : সার্গেই উইনোগার্ডস্কি, রুশ অণুজীব বিজ্ঞানী।
১৮৭৭ : ফ্র্যান্সিস অ্যাস্টন, নোবেলজয়ী ইংরেজ রসায়নবিদ।
১৯১৪ : মৈত্রেয়ী দেবী, সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত বাঙালি কবি, লেখক ও ঔপন্যাসিক।
১৯১৮ : মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক।
১৯৩৫ : ড. সরোজ ঘোষ, বাঙালি সংগ্রহালয় সংস্থাপক ও বিজ্ঞানকে জনসাধারণ্যে লোকায়িতকরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব।
১৯৩৫ : মুস্তাফা মনোয়ার, বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী।
১৯৬২ : কফিল আহমেদ, বাংলাদেশি কবি, গায়ক এবং চিত্রশিল্পী।
১৯৬৫ : নচিকেতা চক্রবর্তী, ভারতীয় গায়ক, গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক।

মৃত্যু
১৫৫৭ : ফরাসি অভিযাত্রী জ্যাকস কার্টিয়ার, যাকে কানাডার অন্যতম আবিষ্কারক মনে করা হয়।
১৯৩০ : বাঙালি, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী জীবন ঘোষাল।
১৯৭৫ : প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি কণ্ঠশিল্পী সঙ্গীতাচার্য তারাপদ চক্রবর্তী।

মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী
মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন। যিনি জেনারেল এম এ জি ওসমানী নামে অধিক পরিচিত। পাকিস্তানিরা তাকে ডাকতো পাপা টাইগার! তার নাম শুনলে ত্রাস সৃষ্টি হতো পাকিস্তানি ক্যান্টনমেন্টে। তিনি ছিলেন তিনটি দেশের সেনাবাহিনীর অফিসার। ১৯৪২ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ মেজর ছিলেন। মাত্র ২৩ বছর বয়সে তিনি হয়েছিলেন একটি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক।

জন্মগ্রহণ করেন ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জে। বাবা খান বাহাদুর মফিজুর রহমান। বাবার বাড়ি সিলেট জেলার বালাগঞ্জ থানার (বর্তমানে ওসমানীনগর থানা) দয়ামীরে। মায়ের নাম জোবেদা খাতুন।

বাবার চাকরির সূত্রে শৈশব-কৈশোর কেটেছে বিভিন্ন জায়গায়। সুনামগঞ্জ থেকে গোহাটিতে গেলে সেখানেই প্রাথমিক শিক্ষার শুরু। ১৯২৩ সালে `কটনস্ স্কুল অব আসাম`-এ ভর্তি হন। লেখাপড়ায় খুবই মনোযোগী ও মেধাবী ছিলেন। ১৯৩২ সালে ভর্তি হন সিলেট গভর্নমেন্ট পাইলট হাই স্কুলে। তখনকার সময়ে সিলেটের এই স্কুলটি `ক্যালকাটা ইউনিভর্সিটির` অধীনে ছিল। ১৯৩৪ সালে সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে ম্যাট্রিক পাস করেন। সমগ্র ব্রিটিশ ভারতে তিনি প্রথম স্থান লাভ করেন। অসাধারণ এই কৃতিত্বের জন্যে ব্রিটিশ সরকার এম এ জি ওসমানীকে প্রাইওটোরিয়া পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে সম্মানিত করে। আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৩৮ সালে তিনি স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

আমাদের দেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ওসমানী সীমান্ত পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত হয় মুজিবনগর সরকার, ওসমানীকে করা হয় মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি।

এম এ জি ওসমানীর নির্দেশনা অনুযায়ী সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। প্রতিটি সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার হিসেবে এক একজন সেনাবাহিনীর অফিসারকে নিয়োগ দেয়া হয়। বিভিন্ন সেক্টর ও বাহিনীর মাঝে সমন্বয় করা, রাজনৈতিক নেতৃত্বের সাথে যোগাযোগ রাখা, অস্ত্রের যোগান নিশ্চিত করা, গেরিলা বাহিনীর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা- প্রভৃতি কাজ সাফল্যের সাথে পালন করেন ওসমানী। ১২ এপ্রিল থেকে এম এ জি ওসমানী মন্ত্রীর সমমর্যাদায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

অসাধারণ মেধা, যোগ্যতা, নিখাঁদ দেশপ্রেম, দূরদর্শিতা, বাস্তবসম্মত কার্যকরী সমরকৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে তুলনামূলকভাবে বহুগুণে শক্তিশালী শত্রু বাহিনীকে পরাস্ত করে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ফলাফল অনুকূলে নিয়ে আসেন, যা কল্পনাকেও হার মানায়।

মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর স্মরণে ঢাকায় ‘ওসমানী উদ্যান’ গড়ে উঠেছে ও বাংলাদেশ সচিবালয়ের বিপরীতে ‘ওসমানী মেমোরিয়াল হল’ স্থাপিত হয়েছে। এছাড়া তাঁর সিলেটস্থ বাসভবনকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়েছে। সরকারি উদ্যোগে সিলেট শহরে তার নামে একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের এই প্রধান সেনাপতি ১৯৮৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে মৃত্যুবরণ করেন।

সূত্র: সংগৃহীত

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com