1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৪৬ অপরাহ্ন

ইতিহাসের পাতায় ২৪ ডিসেম্বর

  • সময় মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৪৫ বার দেখা হয়েছে

গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ৩৫৮তম (অধিবর্ষে ৩৫৯তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।

ঘটনাবলি
১৯৫১ : লিবিয়া ২৪ ডিসেম্বর স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৫৩ : দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম প্রকাশ।

জন্ম
১৮৮১ : জুয়ান রামন জিমানাস, নোবেলজয়ী স্প্যানিশ কবি।
১৮৯০ : ডা. রফিউদ্দিন আহমেদ, ভারতে প্রথম ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা।
১৮৯১ : প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ, ভারতীয় রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা সংগ্রাম, পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী।
১৯২৪ : মোহাম্মদ রফি, ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী।
১৯৫২ : আলাউদ্দিন আলী, আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী বাংলাদেশি গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক।

মৃত্যু
১৫২৪ : পর্তুগীজ নাবিক ও পর্যটক ভাস্কো-দা-গামা।
১৯৪৩ : বিখ্যাত বাঙালি গীতিকার অজয় ভট্টাচার্য।
২০১৮ : প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি সুরকার ও সঙ্গীত শিল্পী, রবীন্দ্র সংগীতে অকাদেমি পুরস্কার বিজয়ী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়।

ভাস্কো দা গামা
ভাস্কো দা গামা ছিলেন বিখ্যাত পর্তুগিজ নাবিক, অনুসন্ধানকারী ও পর্যটক। পঞ্চদশ শতাব্দীতে তিনি প্রথম ইউরোপিয়ান নাগরিক হিসেবে সমাদৃত; যিনি সম্পূর্ণভাবে সাগর পথ পাড়ি দিয়ে ভারতে এসে উপস্থিত হন।

জন্মগ্রহণ করেন পর্তুগালের সিনেস শহরে। বাবা এস্তেভাঁও দা গামা ও মা ইসাবেল সোন্ড্রের পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। ইভরা শহরে তিনি পড়াশোনা করেন গণিত ও জাহাজ চালনা বিদ্যায়। এক পর্যায়ে নৌ কর্মকর্তা পদে যোগ দেন।

ভাস্কো দা গামা প্রথম পঞ্চদশ শতাব্দীতে সমুদ্রপথে ইউরোপ থেকে ভারতে আসেন। তিনি পর্তুগালের বর্তমান রাজধানী লিসবন থেকে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে আফ্রিকা মহাদেশে এসে পৌঁছান এবং সমগ্র আফ্রিকা মহাদেশ ঘুরে তিনি ১৪৯৮ সালে নৌবহরসহ দক্ষিণ ভারতের কালিকটের নিকটবর্তী কাপ্পাডুতে আসেন। তাঁর এই ভ্রমণের মাধ্যমে এশিয়া ও ইউরোপ পানিপথে সংযুক্ত হয়। পাশাপাশি আটলান্টিক মহাসাগর ও ভারত মহাসাগরকে সংযোগ করে। ফলে ইউরোপীয় সংস্কৃতির সঙ্গে ভারতীয় সংস্কৃতির সেতুবন্ধ গড়ে ওঠে। ইতিহাসে ভাস্কো দা গামার সফরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা সে সময় চীন ও ভারতসহ দূরপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে ইউরোপের বাণিজ্য পরিচালিত হতো একমাত্র স্থলপথে। ইউরোপ থেকে এশিয়ায় পৌঁছানোর জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে সে সময় ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের শাসকরা ইউরোপীয় বণিকদের কাছ থেকে শুল্ক আদায় করতেন। ইউরোপিয়ান বণিকরা এই শুল্ক প্রদানে তেমন একটা আগ্রহী ছিলেন না। ১৮৬৯ সালে সিনাই উপদ্বীপে সুয়েজ খাল খননের আগ পর্যন্ত নাবিকরা ইউরোপ থেকে এশিয়ায় পৌঁছানোর জন্যে ভাস্কো দা গামার দেখানো জলপথই অনুসরণ করতেন।

১৪৯৯ সালে পর্তুগালের রাজা ম্যানুয়েল সিনেস শহরটি ভাস্কো দা গামাকে পুরস্কার হিসেবে প্রদান করেন। পর্তুগাল রাজা তৃতীয় জন ভাস্কো দা গামাকে ভারতের ‘ভাইসরয়’ উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। তা ছাড়া ভারতের পশ্চিম উপকূলের কলোনিগুলোর শাসনকর্তাও ছিলেন তিনি।

ভাস্কো দা গামা ১৫২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

সূত্র: সংগৃহীত

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com