ঘটনাবলি
১৬৪২ : আবেল তাসম্যান তাসমানিয়া আবিষ্কার করেন।
১৭১৫ : টেমস নদীর পানি জমে বরফ হয়ে গিয়েছিল।
১৮৩১ : বিখ্যাত ব্রিটিশ পদার্থ-বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডে বৈদ্যুতিক আবেশ আবিষ্কার করেন।
১৯৩৩ : বঙ্কিমচন্দ্র সেনের সম্পাদনায় বিখ্যাত সাহিত্য-সাপ্তাহিক ‘দেশ’ প্রথম প্রকাশিত হয়।
জন্ম
১৭৮৪ : জ্যাকারি টেইলর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বাদশ রাষ্ট্রপতি।
১৮৬০ : কালীপদ বসু, বাঙালি গণিতশাস্ত্রবিদ ও বিজ্ঞানশিক্ষক।
১৯২৬ : সুং দাও লি, নোবেলজয়ী চীনা-মার্কিন পদার্থবিদ।
১৯৩১ : রবি ঘোষ, বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেতা।
মৃত্যু
১৮৮৪ : বাংলা নাটকের প্রথম যুগের নাট্যকার হরচন্দ্র ঘোষ।
১৯৪৯ : ভারতীয় সমাজ বিজ্ঞানী বিনয় কুমার সরকার।
২০১৭ : সাধক সঙ্গীতশিল্পী ও নন্দিত বংশীবাদক বারী সিদ্দিকী।
গণিতজ্ঞ কালীপদ বসু
কালীপদ বসু ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাঙালি গণিতশাস্ত্রবিদ ও বিজ্ঞানশিক্ষক। তিনি কে.পি বসু নামেও পরিচিত। কে.পি বসু পাবলিশিং কোম্পানির তিনি প্রতিষ্ঠাতা।
জন্মগ্রহণ করেন ১৮৬০ সালের ২৪ নভেম্বর ঝিনাইদহ জেলার হরিশংকরপুর গ্রামে। বাবা মহিমাচরণ বসু। ছোটবেলা থেকেই তিনি মেধাবী ছিলেন। পড়াশুনা করেন গ্রামের স্কুলে। লর্ড রিপন কলেজ থেকে এন্ট্রান্স পাস করেন। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত শাস্ত্রে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৮৯২ সালে ঢাকা কলেজে গণিতের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এবং এখানেই তিনি আমৃত্যু কর্মরত ছিলেন।
দীর্ঘদিনের শ্রমসাধ্য গবেষণায় তিনি বীজগণিতের বহু বিচিত্র ও জটিল নিয়মকে সহজ প্রণালিতে পরিণত করেন। প্রচলিত বহু সূত্র উদ্ভাবন করেন এই গণিতজ্ঞ। শুধু সূত্র আবিষ্কারই নয়; অসংখ্য নতুন অঙ্ক উদ্ভাবন করে তিনি গণিতশাস্ত্রের কলেবর বৃদ্ধি ও উৎকর্ষ সাধন করেছেন। তাঁর রচিত বীজগণিতের বই যথেষ্ট জনপ্রিয়।
কালীপদ বসু বেশ কিছু গণিতশাস্ত্রের পাঠ্যপুস্তক রচনা করেন। অ্যালজাবরা মেড ইজি, মডার্ন জিওমেট্রি, ইন্টারমিডিয়েট সলিড জিওমেট্রির মতো বই লেখার পাশাপাশি প্রকাশনা শিল্পের প্রতিও তার মনোযোগ আকৃষ্ট হয়েছিল। সে আমলে মুদ্রণ শিল্প তেমন উন্নত ছিল না। এ অভাব পূরণের জন্যেই তিনি কলকাতায় কে.পি বসু পাবলিশিং কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
কালীপদ বসু তাঁর মেধা, অধ্যবসায় ও পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা অর্জন ও প্রভূত অর্থের মালিক হয়েছিলেন। কর্মরত অবস্থায় প্রবাসে থেকেও তিনি নিজ গ্রামের উন্নয়নে উদ্যোগী হন। গ্রামের দরিদ্র জনসাধারণকে অন্ন, বস্ত্র ও অর্থ বিতরণ করতেন। ১৯০৭ সালে নিজ গ্রামে প্রাসাদোপম এক ভবন নির্মাণ করেন।
১৯১৪ সালে ম্যালেরিয়া জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মরদেহ ঝিনাইদহে পৌঁছলে শোকাভিভূত হাজার হাজার মানুষ তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। ঝিনাইদহ শহরে তার নামে একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে।
সূত্র: সংগৃহীত