1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:১০ অপরাহ্ন

ইতিহাসের পাতায় ২৬ ডিসেম্বর

  • সময় বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৭২ বার দেখা হয়েছে

গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ৩৬০তম (অধিবর্ষে ৩৬১তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।

ঘটনাবলি
১৮০৫ : ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়া শান্তিচুক্তি করে।
১৮৯৮ : পিয়ের ও মারি কুরি রেডিয়াম আবিষ্কার করেন।
১৯০৬ : অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বিশ্বের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ছায়াছবি ‘দি স্টোরি অব দ্য কেলি গ্যাং’ প্রথম প্রদর্শিত হয়।
১৯৬২ : বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজ আদায়ের মাধ্যমে প্রথম নামাজ পড়া শুরু।

জন্ম
১৭৯১ : চার্লস ব্যাবেজ, ইংরেজ গণিতবিদ; যাকে কম্পিউটারের জনক হিসেবে অভিহিত করা হয়।
১৮২২ : রামনারায়ণ তর্করত্ন, বাংলার প্রথম মৌলিক নাট্যকার ও হরিনাভি বঙ্গনাট্য সমাজের প্রতিষ্ঠাতা।
১৮৫০ : স্যার কৈলাসচন্দ্র বসু, ভারতের চিকিৎসাশাস্ত্রে সবচেয়ে সম্মানিত ও প্রথম স্যার উপাধিপ্রাপ্ত চিকিৎসক।
১৮৯৩ : মাও সে তুং, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা।
১৯৩৮ : আলমগীর কবির, বাংলাদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতা।

মৃত্যু
১৫৩০ : ভারত উপ-মহাদেশে মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর।
১৮৩১ : ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও।
১৯৪৩ : বাঙালি কবি মানকুমারী বসু।
১৯৭২ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩তম রাষ্ট্রপতি হ্যারি এস. ট্রুম্যান।
১৯৮৭ : বাঙালি কথাসাহিত্যিক মনোজ বসু।
২০২০ : বাংলাদেশি অভিনেতা আব্দুল কাদের।

মাও সে তুং
মাও সে তুং ছিলেন আধুনিক সমাজতন্ত্রী চীনের রূপকার, প্রতিষ্ঠাতা ও গণমানুষের মুক্তির মহান নেতা। চীনা সমাজ ও সংস্কৃতিতে অবদানের জন্যে তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন। জন্মগ্রহণ করেন ১৮৯৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর চীনের হুনান প্রদেশের শাং তান জেলার শাউ শাং চুং গ্রামের এক কৃষক পরিবারে। বাবা শুন শেং দরিদ্র কৃষক হলেও কয়েক বছর সেনাবাহিনীতে চাকরি করে জমিজমা ক্রয় করে অবস্থার উন্নতি করেন এবং কাঁচামালের ব্যবসা করে রীতিমতো মধ্যবিত্ত গৃহস্থ হয়ে ওঠেন। মাওয়ের অন্য দুই ভাইয়ের নাম ছিল সে সেন ও সে তান। সাত বছর বয়সে মাও ক্ষেতখামারের কাজ শুরু করেন। ১৯০১ সালে আট বছর বয়সে গ্রামের পাঠশালায় ভর্তি হন। ১৯০৬ সালে মাওয়ের গ্রামের পড়াশোনা শেষ হয়।

ছাত্রজীবন থেকেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে ২৪ বছর বয়সে রাজধানী পিকিংয়ে গমন এবং মার্কস তত্ত্বের আলোকে কমিউনিস্ট আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে তিনি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জন্ম নয়, কর্মটাই মুখ্য। কর্মের কারণেই জন্মের র্সাথকতা বা তার র্ব্যথতা। কিছু কিছু জন্ম র্সাথক হয়ে গড়ে ওঠে এমন এক সত্তা, যা তার মৃত্যুকেও ছাপিয়ে তার ব্যাপ্তিকে পৌঁছে দেয় এক নতুন উচ্চতায়। আজীবন বিপ্লবী, মানব মুক্তির সংগ্রামে সদা জীবন্ত এক সত্তা মাও সে তুং। সমর কৌশল এবং তাঁর কমিউনিজমের নীতি এখন একত্রে মাওবাদ নামে পরিচিত। অনেকগুলো বইয়ের লেখক ও কবি হিসেবেও তার খ্যাতি রয়েছে।

১৯২৭ সালে মাও সেতুং এর নেতৃত্বে চীনে সশস্ত্র সংগ্রামের সূচনা হয়েছিল। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে চীন কিং রাজতন্ত্রের দুঃশাসনে বুঁদ ছিল। জনসাধারণ রাজতন্ত্রে অতিষ্ঠ হয়ে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলে। সেই আন্দোলনের অন্যতম নেতা সান ইয়াত সেনের সঙ্গে যোগ দেন মাও সে তুং। গণআন্দোলন সফল হন। চীন মুক্তি পায় কিং রাজতন্ত্রের দুঃশাসন থেকে। দুর্দান্ত প্রতাপের সাথে মাও সে তুং সংগ্রাম পরিচালনা করে বিজয়ের মাধ্যমে চীনকে তিনি নিয়ে যেতে সক্ষম হন আধুনিক দেশের কাতারে। ১৯৪৯ সালে সমাজতন্ত্রী চীনের প্রতিষ্ঠার পর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি চীন শাসন করেন। কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করা সত্ত্বেও নিজ প্রচেষ্টায় তিনি চীনা কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যানের শীর্ষ পদে পৌঁছাতে পেরেছিলেন এবং সফলভাবে গণপ্রজাতান্ত্রিক চীনের রাষ্ট্রনায়ক হয়েছিলেন।

পৃথিবী কাঁপানো বিপ্লবী এই মহান নেতা ১৯৭৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। আজও তিনি সারা বিশ্বের শোষিত মানুষের সংগ্রামের মূর্ত প্রতীক হয়ে বেঁচে আছেন।

সূত্র: সংগৃহীত

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com