ঘটনাবলি
১৮৯৫ : বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল তার সমুদয় সম্পত্তি উইল করে নোবেল পুরস্কার প্রদানের জন্যে তহবিল গঠন করেন।
১৯১৪ : ব্রিটেনে প্রথম মহিলা পুলিশ নিয়োগ দেওয়া হয়।
জন্ম
১৮৫৭ : চার্লস স্কট শেরিংটন, নোবেলজয়ী ইংরেজ শারীরবিজ্ঞানী, জীবাণুবিদ ও প্যাথলজিস্ট।
১৮৭৮ : যতীন্দ্রমোহন বাগচী, বাংলা ভাষার কবি।
১৮৮৮ : কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি কৃষিবিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ ও লেখক।
১৯০৩ : লার্স অনসেজার, নোবেলবিজয়ী নরওয়েজিয়ান বংশোদ্ভূত আমেরিকান রসায়নবিদ ও পদার্থবিজ্ঞানী।
১৯২৫ : মুনীর চৌধুরী, বাংলাদেশি ভাষাবিজ্ঞানী এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী।
১৯২৫ : আবদুস সালাম (ভাষা শহীদ), ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের একজন শহীদ।
১৯৪০ : ব্রুস লি, চীনা মার্শাল আর্টশিল্পী, শিক্ষক, অভিনেতা।
১৯৫২ : বাপ্পী লাহিড়ী, ভারতীয় উপমহাদেশের সঙ্গীত পরিচালক।
মৃত্যু
১৯৫৩ : নোবেলজয়ী আমেরিকান নাট্যকার ইউজিন ও’নিল।
১৯৮৪ : বাঙালি অভিনেতা ও গায়ক অসিতবরণ মুখোপাধ্যায়।
১৯৯৮ : বাংলা উচ্চারণ গবেষক ও লেখক নরেন বিশ্বাস।
২০২০ : বাংলাদেশি অভিনেতা, ব্যবসায়ী ও কলামিস্ট আলী যাকের।
নরেন বিশ্বাস
পুরো নাম নরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। তিনি ছিলেন বাংলাদেশি লেখক, গবেষক, আবৃত্তিশিল্পী, বাংলা উচ্চারণ সংস্কারে উদ্যোগী, বাচিক শিল্প বিশেষজ্ঞ এবং একজন জনপ্রিয় অধ্যাপক। বাংলা উচ্চারণ গবেষণায় তার অবদান অবিস্মরণীয়। জীবনব্যাপী প্রমিত উচ্চারণে কথা বলার জন্যে কাজ করে গেছেন। এ জন্যে তাঁকে ‘বাকশিল্পাচার্য’ বলা হয়ে থাকে।
জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৫ সালের ১৬ নভেম্বর গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার মাঝিগাতি গ্রামে। বাবা নগেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও মা হরিদাসী বিশ্বাস। কাশিয়ানীর ওড়াকান্দি মিড হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক ও রামদিয়া শ্রীকৃষ্ণ কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে ১৯৬৫ সালে অনার্স এবং ১৯৬৬ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।
মাদারীপুর নাজিমউদ্দিন কলেজে অধ্যাপনা করেন কয়েক বছর। ১৯৭৬ সাল থেকে আমৃত্যু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
নরেন বিশ্বাসের লিখিত বইয়ের অধিকাংশই ছিল ভাষা ও উচ্চারণকেন্দ্রিক। উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে ‘বাংলা উচ্চারণ অভিধান’, ‘প্রসঙ্গ বাংলাভাষা’, ‘প্রসঙ্গ সাহিত্য সংস্কৃতি’, ‘ভারতীয় কাব্যতত্ত্ব’, ‘কাব্যতত্ত্ব অন্বেষা’, ‘অলঙ্কায় অন্বেষা’, ‘বাংলা উচ্চারণ সূত্র’, ‘বাংলা উচ্চারণ তত্ত্ব ও প্রয়োগবিধি তত্ত্ব’ ইত্যাদি। নরেন বিশ্বাস রচিত নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘নিহত কুশীলব’; ‘রৌদ্রদিন’, ‘ক্রুশবিদ্ধ যীশু’, ‘তমসীর ফাঁসি’ ইত্যাদি। এছাড়া বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক তাঁর ক্যাসেট প্রকাশিত হয়েছে ২০টি। এছাড়া ‘প্রিয় পংক্তিমালা’ ও ‘উচ্চারণ শিক্ষা বিষয়ক তাঁর বক্তৃতামালা ক্যাসেট দুটিও উল্লেখযোগ্য।
‘ঐতিহ্যের অঙ্গীকার’ শিরোনামে ১৩টি ক্যাসেটগুচ্ছের জন্যে তিনি ১৯৯৪ সালে কলকাতার ‘আনন্দ পুরস্কার’- এ ভূষিত হন। নরেন বিশ্বাস স্মরণে ১৯৯৯ সাল থেকে আবৃত্তি সংগঠন কণ্ঠশীলন ‘নরেন বিশ্বাস পদক’ চালু করে।
গুণী এই মানুষটি ১৯৯৮ সালের ২৭ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র: সংগৃহীত