ঘটনাবলি
১৫২০ : প্রথম ইউরোপীয়ান নাবিক হিসেবে ফার্ডিনান্ড ম্যাগেলান আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে প্রবেশ করেন।
১৮১৪ : লন্ডনের টাইমস পত্রিকা প্রথম স্বয়ংক্রিয় মেশিনে ছাপা হয়।
জন্ম
১৭৫৭ : উইলিয়াম ব্লেক, ইংরেজ কবি ও চিত্রকর।
১৭৯৩ : কার্ল জোনাস লাভ আল্মকভিস্ট, সুইডিশ কবি, সুরকার ও সমালোচক।
১৮২০ : ফ্রেডরিখ এঙ্গেলস, সমাজতাত্ত্বিক।
১৯০৭ : আলবার্তো মোরাভিয়া, ইতালীয় সাংবাদিক ও লেখক।
১৯৩১ : গোলাম রহমান, বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।
১৯৪৩ : রফিকুন নবী, বাংলাদেশি চিত্রকর ও কার্টুনিস্ট।
১৯৫০ : রাসেল অ্যালান হাল্স, নোবেলজয়ী মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী।
মৃত্যু
১৮৫৯ : মার্কিন ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, জীবনীকার, ইতিহাসবেত্তা ও কূটনীতিক ওয়াশিংটন আরভিং।
১৯৬০ : আমেরিকান বংশোদ্ভূত ফরাসি লেখক ও কবি রিচার্ড রাইট।
১৯৬২ : সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার কৃষ্ণচন্দ্র দে।
১৯৮৯ : বাংলাদেশের প্রথম এটর্নি জেনারেল ফকির শাহাবুদ্দীন।
১৯৯৯ : বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী জ্ঞানতাপস জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক।
অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক
অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক ছিলেন একজন দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী। রাষ্ট্র, অর্থনীতি, ইতিহাস, রাজনীতি, শিক্ষা প্রভৃতি বিষয়ে ছিল তাঁর অসাধারণ পাণ্ডিত্য। জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক জীবনের বেশির ভাগ সময় অতিবাহিত করেছেন জ্ঞানার্জনে। তাকে শিক্ষকদেরও শিক্ষক বলে অভিহিত করা হয়।
জন্মগ্রহণ করেন ১৯১৪ সালে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার পাড়াগ্রামে। বাবা মৌলভী আব্দুল আলী ব্রিটিশ ভারতের পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর ছিলেন। মায়ের নাম নান্নু বিবি।
বাবার চাকরির সুবাদে বদলিজনিত কারণে তিনি ছেলেবেলায় নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ানো ও পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছেন।
ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। ১৯৩১ সালে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক অর্থনীতি বিভাগে। ১৯৩৬ সালে তিনি প্রথম শ্রেণিতে স্নাতকোত্তর পাস করেন। তিনি লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্সে অধ্যাপক হ্যারল্ড লাস্কির অধীনে পিএইচডি করার জন্যে লন্ডনে যান; তবে লাস্কির মৃত্যুর পর তাঁর থিসিস মূল্যায়ন করার মতো কেউ নেই- এই বিবেচনায় তিনি থিসিস জমা না–দিয়েই অর্থাৎ কোনো ডিগ্রি ছাড়াই দেশে চলে আসেন।
দেশে ফিরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক পদে যোগ দেন। পরবর্তীতে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপনা করেন। অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিজীবী তাঁর অনুগামী ছিলেন। আবদুর রাজ্জাক ছিলেন ‘শিক্ষকের শিক্ষক’।
প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক অল্প কিছু প্রবন্ধ ছাড়া কিছুই রচনা না করলেও তার অসাধারণ জ্ঞান ও প্রজ্ঞার কারণে কিংবদন্তির খ্যাতি অর্জন করেন। আহমদ ছফা তাকে নিয়ে ‘যদ্যপি আমার গুরু’ নামে একটি বই রচনা করেছেন। এছাড়া সরদার ফজলুল করিম তার সাথে আলাপচারিতার ওপর ভিত্তি করে একটি বই লিখেছেন।
অধ্যাপক রাজ্জাকের পাণ্ডিত্যের জন্যে দেশ বিদেশের নানা গুণীজন তার দিকে আকৃষ্ট হয়েছিলেন। ডিক উইলসন তাঁকে বই উৎসর্গ করেছিলেন, খুশবন্ত সিং তাঁকে নিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসে লিখেছেন এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে দিয়েছিল সম্মানসূচক ডি লিট ডিগ্রি। ১৯৭৩ সালে ভারতের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় তাকে পিএইচডি প্রদান করে। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে সম্মানিত করে।
অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক ১৯৯৯ সালের ২৮ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র: সংগৃহীত