ঘটনাবলি
১৭৭৫ : স্যার জেমস জে অদৃশ্য কালি আবিষ্কার করেন।
১৮৩৯ : গৌরীশঙ্কর তর্কবাগীশের সম্পাদনায় সাপ্তাহিক ‘সম্বাদ রসরাজ’ প্রকাশিত হয়।
১৯১০ : ট্রাফিক বাতি প্যাটেন্ট হয়।
জন্ম
১৯০১ : মিলড্রেড হ্যারিস, মার্কিন নির্বাক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।
১৯৩৬ : শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়, ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন অভিনেতা।
মৃত্যু
১৮১২ : ভারতীয় বাঙালি মুসলমান শিক্ষাব্রতী ও সমাজসেবী দানবীর হাজী মুহাম্মদ মুহসীন।
১৯৪৯ : রস-সাহিত্যিক কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯৫১ : ভারতের একজন বিখ্যাত অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্য লেখক প্রমথেশ চন্দ্র বড়ুয়া।
১৯৮৭ : বাংলা ভাষা আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী এবং রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ তোয়াহা।
১৯৯৩ : ভারতের অগ্রগণ্য শিল্পপতি জাহাঙ্গীর রতনজী দাদাভাই টাটা।
২০০১ : বিংশ শতাব্দীর অত্যন্ত প্রতিভাবান একজন জনপ্রিয় গায়ক ও গিটারিস্ট জর্জ হ্যারিসন।
জর্জ হ্যারিসন
জর্জ হ্যারিসন ছিলেন একজন ব্রিটিশ সঙ্গীতশিল্পী এবং গীতিকার, যিনি লিড গিটারিস্ট হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। রক মিউজিকের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাবশালী ব্যান্ড বিটলস এর চার সদস্যের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। ‘শান্ত বিটল’ নামে পরিচিত এই মানুষটির নাম বাংলাদেশের সাথেও মিশে আছে। অন্য সব বিদেশি সঙ্গীতশিল্পীদের তুলনায় তাঁর প্রতি বাংলাদেশিদের শ্রদ্ধা, সম্মান রয়েছে অনন্য উচ্চতায়। তিনি বাংলাদেশের বন্ধু নামেও পরিচিত। এর পেছনের কারণ ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’।
জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যে। সঙ্গীত পরিচালনা, রেকর্ড প্রযোজনা এবং চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রায় সবক্ষেত্রে সমান দক্ষতার ছাপ রেখেছেন তিনি। মূলত লিড গিটারিস্ট হলেও বিটলসের প্রতিটি অ্যালবামেই জর্জ হ্যারিসনের নিজের লেখা ও সুর দেয়া দুয়েকটি একক গান থাকতো; যা ছিল তার প্রতিভার পরিচায়ক।
বিটলস-এর হয়ে সে সময়ের গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- ইফ আই নিডেড সামওয়ান, ট্যাক্সম্যান, হোয়াইল মাই গিটার জেন্টলি উইপস্, হেয়ার কামস্ দ্য সান, সামথিং ইত্যাদি।
বিটলস ভেঙে যাওয়ার পরও তার জনপ্রিয়তা কমেনি। ৭০-পরবর্তী সময়ে তার অনেক গান ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিল। এ সময়কালের গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- মাই সুইট লর্ড, গিভ মি পিস অন আর্থ, অল দোজ ইয়ার্স এগো, গট মাই মাইন্ড সেট অন ইউ ইত্যাদি।
১৯৭১ সালের কথা। বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলছে। পাক-হানাদার বাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞের দৃশ্য জর্জ হ্যারিসনকে বেদনাতুর করে তোলে। পপ সঙ্গীতের জনপ্রিয় ইংল্যান্ডের এই শিল্পী ভারতীয় পন্ডিত রবি শংকরের সঙ্গে দুটি দাতব্য সঙ্গীতানুষ্ঠান আয়োজন করেন। ১৯৭১ সালের ১ আগস্ট নিউইয়র্ক শহরের ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে এক বেনিফিট সঙ্গীত অনুষ্ঠানের (কনসার্ট ফর বাংলাদেশ) আয়োজন করেন। এই কনসার্ট থেকে সংগৃহীত প্রায় আড়াই লাখ মার্কিন ডলার বাংলাদেশের উদ্বাস্তুদের জন্যে দেয়া হয়েছিল। কনসার্টে জর্জ হ্যারিসন তার নিজের লেখা বিখ্যাত সেই মর্মস্পর্শী ‘বাংলাদেশ’ গান পরিবেশন করেন। কনসার্টের টিকেট, ক্যাসেট থেকে প্রাপ্ত সমস্ত অর্থ ইউনিসেফের ফান্ডে জমা করা হয়।
জর্জ হ্যারিসন ২০০১ সালে ২৯ নভেম্বর ৫৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র: সংগৃহীত