গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ২৪৩তম (অধিবর্ষে ২৪৪তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।
ঘটনাবলি
১৯৫৭ : মালয়েশিয়া স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৬২ : লাতিন আমেরিকার দেশ ত্রিনিদাদ ও টোবাগো ব্রিটিশ উপনিবেশবাদীদের কবল থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৬৮ : ভারতে তৈরি উপগ্রহ ‘রোহিনী’ আকাশপথে যাত্রা করে।
১৯৭৫ : বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে গণচীন।
১৯৯১ : সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রজাতন্ত্র কিরগিজিস্তান স্বাধীনতা লাভ করে।
জন্ম
১৯১৩ : বার্নার্ড লভেল, ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী।
১৮৭০ : মারিয়া মন্টেসরি, ইতালীয় চিকিৎসক এবং শিক্ষাবিদ, নিজের নামে প্রতিষ্ঠা করা শিক্ষা দর্শন- ‘মন্টেসরি শিক্ষাপদ্ধতি’র জন্যে সুপরিচিত।
১৯১৯ : অমৃতা প্রীতম, পাকিস্তানে জন্ম নেয়া ভারতীয় কবি ও লেখক।
১৯৬৩ : ঋতুপর্ণ ঘোষ, বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র নির্মাতা।
মৃত্যু
১৮৬৭ : ফরাসি কবি শার্ল বোদলেয়ার।
১৯২০ : জার্মান চিকিৎসক, মনোবৈজ্ঞানিক ও দার্শনিক উইলহেম উন্ট।
১৯৪১ : রাশিয়ান কবি ও লেখক মারিনা টসভেটাভা।
১৯৬৩ : ফরাসি চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর জর্জেজ ব্রাক।
১৯৭১ : ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নিহত গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা, বীর বিক্রম, ক্রিকেটার আবদুল হালিম চৌধুরী জুয়েল।
১৯৮৫ : নোবেলজয়ী জীববিজ্ঞানী ফ্রাঙ্ক ম্যাকফারলেন বার্নেট।
১৯৯৭ : যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন যুবরাজ্ঞী প্রিন্সেস ডায়ানা।
২০০২ : নোবেলজয়ী ইংরেজ রসায়নবিদ জর্জ পোর্টার।
২০০৫ : নোবেলজয়ী পোলিশ বংশোদ্ভূত ইংরেজ পদার্থবিদ জোসেফ রটব্লাট।
২০২০ : ভারতের প্রথম বাঙালি ও ত্রয়োদশ রাষ্ট্রপতি মহামান্য প্রণব মুখোপাধ্যায়।
মালয়েশিয়ার স্বাধীনতা দিবস
তেরোটি রাজ্য এবং তিনটি ঐক্যবদ্ধ প্রদেশ নিয়ে গঠিত দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার একটি দেশ মালয়েশিয়া। দেশটির স্বাধীনতা দিবস ৩১ আগস্ট। মালয়েশিয়ার ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম গৌরব ও অহঙ্কারের দিন এটি। ১৯৫৭ সালের এই দিনে ব্রিটিশদের কাছ থেকে রক্তপাতহীন প্রক্রিয়ায় স্বাধীনতা অর্জন করে দেশটি।
নানা লড়াই-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতার পর প্রায় ছয় দশকের মধ্যে মালয়েশিয়া পৌঁছায় নিজস্ব অনন্য উচ্চতায়। এই লড়াইয়ের অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে পুরো মালয়েশিয়ান জাতির কাছে শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে আছেন ১৯৮১ সাল থেকে ২০০৩ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী ড. মাহাথির মোহাম্মদ। তার গৃহীত ‘ভিশন ২০২০’ বাস্তবায়নেই বিশ্ব দরবারে সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে দাঁড়িয়ে যায় দেশটি।
মালয়েশিয়ার সরকারি ভাষা মালয়। এখানে ইংরেজি ভাষা সার্বজনীন ভাষা বা লিঙ্গুয়া ফ্রাংকা হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। মালয়েশিয়ায় প্রচলিত ভাষাগুলোর মধ্যে চীনা ভাষার বিভিন্ন উপভাষা, বুগিনীয় ভাষা, দায়াক ভাষা, জাভানীয় ভাষা এবং তামিল ভাষা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মালয়েশিয়ার মুদ্রা রিঙ্গিত।
রাষ্ট্রীয় ধর্ম ইসলাম। তবে বৌদ্ধ, তাও, হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য উপজাতীয় ও সংখ্যালঘু ধর্ম স্বাধীনভাবে পালিত হয়।
উল্লেখ্য, মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়াই সর্ব প্রথম ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
সূত্র: সংগৃহীত