1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৩০ অপরাহ্ন

ইতিহাসের পাতায় ৪ ডিসেম্বর

  • সময় বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১০১ বার দেখা হয়েছে

গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ৩৩৮তম (অধিবর্ষে ৩৩৯তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।

ঘটনাবলি
১৭৯১ : বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন বরিবাসরীয় ব্রিটেনে ‘দি অবজারভার’ পত্রিকা প্রকাশিত হয়।
১৮২১ : ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তারাচরণ দত্তের সম্পাদনায় সাপ্তাহিক ‘সম্বাদ কৌমুদী’ প্রথম প্রকাশিত হয়।
১৮২৯ : লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক আইন করে সতীদাহ প্রথা বন্ধ করে দেন।
১৮৯৯ : প্রথমবারের মতো টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধের জন্যে এই জ্বরের ভ্যাকসিন মানবদেহে ব্যবহার করা হয়।
১৯২৪ : মুম্বইয়ে ‘গেটওয়ে অব ইন্ডিয়া’র উদ্বোধন।

জন্ম
১৮৭৫ : রাইনার মারিয়া রিলক, জার্মান কবি।
১৮৮৮ : রমেশচন্দ্র মজুমদার, ভারতের বাঙালি অধ্যাপক ও ইতিহাসবিদ।
১৮৯৩ : দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, ভারতের প্রখ্যাত বাঙালি অভিনেতা।
১৯৩৫ : কাজী আবদুল বাসেত, বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী এবং চারুকলা বিষয়ের শিক্ষক।

মৃত্যু
১১৩১ : ফারসি কাব্য সাহিত্যের অবিস্মরণীয় কবি ওমর খৈয়াম।
২০১৭ : প্রথিতযশা রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী পূরবী মুখোপাধ্যায়।
২০১৯ : সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক, কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার ও তিন দশক ধরে ধারাভাষ্যকার বব উইলিস।

কাজী আবদুল বাসেত
কাজী আবদুল বাসেত ছিলেন একজন বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী এবং চারুকলা বিষয়ের শিক্ষক। তিনি মূর্ত ও বিমূর্ত দুই ধারাতেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। নিরীক্ষামূলক ‘ফিশ ওম্যান’ শীর্ষক চিত্রকর্মের জন্যে তিনি প্রসিদ্ধ। চারুকলায় অবদানের জন্যে বাংলাদেশ সরকার তাকে ১৯৯১ সালে একুশে পদকে ভূষিত করে।

জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৫ সালের ৪ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকায়। বাবা আবদুল জলিল। মায়ের নাম নূরজাহান বেগম। তার পৈতৃক নিবাস ছিল মুন্সিগঞ্জ জেলার রামপাল গ্রামে।

ঢাকার সরকারি মুসলিম হাইস্কুল থেকে প্রবেশিকা এবং ঢাকা সরকারি আর্ট ইনস্টিটিউট থেকে চারুকলায় স্নাতক কোর্স শেষ করে ঢাকার নবাবপুর সরকারি হাইস্কুলে ড্রয়িং শিক্ষক এবং পরে ঢাকা সরকারি আর্ট ইনস্টিটিউটে লেকচারার পদে যোগ দেন এবং এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার সময়ে (১৯৬৩-৬৪) তিনি ফুলব্রাইট ফেলোশিপের অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্ট ইনস্টিটিউট থেকে চিত্রশিল্পে উচ্চতর শিক্ষা লাভ করেন।

এর পর ঢাকা সরকারি আর্ট ইনস্টিটিউটে ড্রয়িং ও পেইন্টিং বিভাগের প্রধান হন। ১৯৯১-৯৪ সালে তিনি চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি ঢাকা সরকারি আর্ট ইনস্টিটিউট থেকে তিনি অবসর নেন।

কাজী আবদুল বাসেতের পুরো জীবনই কেটেছে শিক্ষকতা আর শিল্পের সজীব কল্পনার জগতে। শিল্পী জীবনের শুরুতে তিনি অ্যাকাডেমিক রীতি অনুসরণ করে অবয়বধর্মী কাজে দক্ষতা অর্জন করেন। এ পর্যায়ে তার কাজে ইমপ্রেশনিজম ও কিউবিজমের প্রভাবও লক্ষণীয়। তার কিশোরকালে দেখা প্রকৃতি ও গ্রামীণ জীবনের আবহ তার চিত্রকে সমৃদ্ধ করেছে। এছাড়া তার জীবনের একটা বড় সময় কাটে পুরনো ঢাকায়। সেখানকার অধিবাসীদের জীবন-বৈশিষ্ট্য, কৌতুকপ্রিয়তা ও রসবোধ তাকে স্বাভাবিকভাবে আকৃষ্ট করে। এসব কিছু তার চিত্রের জমিনকে রসপুষ্ট করেছে। তিনি জলরঙ, তেলরঙ, প্যাস্টেল প্রভৃতি মাধ্যমে আঁকাআঁকি করেছেন। এছাড়াও ছাপচিত্র এবং রেখাচিত্রেও বিশেষ পারদর্শিতা দেখান। বিমূর্ত প্রকাশবাদী শিল্পধারাকেও তিনি নানাভাবে সমৃদ্ধ করছিলেন। বাংলাদেশে বিমূর্ত প্রকাশবাদী ধারার শিল্প রচনায় যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, কাজী আবদুল বাসেত তাদের অন্যতম।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে ১৯৬৩ সালে এবং ঢাকায় শিল্পকলা একাডেমীতে ১৯৮৩ সালে কাজী আবদুল বাসেতের দুটি একক চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া দেশে-বিদেশে বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ প্রদর্শনীতে তিনি অংশগ্রহণ করেন।

শিল্পচর্চার জন্যে কাজী আবদুল বাসেত বিভিন্ন সময়ে বেশ কিছু পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ১৯৫৪ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত নিখিল পাকিস্তান চারুকলা প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করে পুরস্কার পান এবং ১৯৫৭ সালে করাচিতে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী থেকে লাভ করেন দ্বিতীয় পুরস্কার। ১৯৮২ সালে তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী পুরস্কার, ১৯৮৭ সালে শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক, ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্প সংসদ সম্মাননা এবং ১৯৯১ সালে ‘একুশে পদক’ লাভ করেন।

কাজী আবদুল বাসেত ২০০২ সালের ২৩ মে মৃত্যুবরণ করেন।

সূত্র: সংগৃহীত

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com