ঘটনাবলি
১৬১০ : গ্যালিলিও গ্যালিলি প্রথম তার আবিষ্কৃত চারটি চাঁদকে পর্যবেক্ষণ করেন।
১৭৮২ : আমেরিকার প্রথম কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘ব্যাংক অব নর্থ আমেরিকা’ চালু।
১৭৮৯ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
১৯২৪ : আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন প্রতিষ্ঠা হয়।
১৯২৭ : প্রথম ট্রান্সআটলান্টিক টেলিফোন সার্ভিস প্রতিষ্ঠিত।
জন্ম
১৮০০ : মিলার্ড ফিল্মোর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ত্রয়োদশ রাষ্ট্রপতি।
১৮৫১ : জর্জ আব্রাহাম গিয়ার্সন, প্রাচ্যতত্ত্ববিদ ও ভাষাতাত্ত্বিক।
১৯০০ : বিমানবিহারী মজুমদার, ভাগবতরত্ন, বাঙালি সাহিত্যিক ও গবেষক।
১৯৬৭ : ইরফান খান, বলিউড তারকা অভিনেতা।
১৯৭৯ : বিপাসা বসু, বলিউডের অভিনেত্রী।
মৃত্যু
১৯৪৩ : বিখ্যাত সার্বিয়-মার্কিন আবিষ্কারক, পদার্থবিজ্ঞানী, প্রকৌশলী নিকোলা টেসলা।
১৯৫১ : নন্দনতত্ত্বের শৈল্পিক রূপকার ঔপন্যাসিক নিরূপমা দেবী।
১৯৭২ : প্রাবন্ধিক ও গবেষক যোগেশচন্দ্র বাগল।
১৯৮৯ : জাপান সম্রাট হিরোহিতো।
১৯৯৮ : মার্কিন গণিতবিদ ও কম্পিউটার বিজ্ঞানী রিচার্ড হ্যামিং।
যোগেশচন্দ্র বাগল
যোগেশচন্দ্র বাগল ছিলেন একজন গবেষক, সাংবাদিক ও লেখক। বহু মনীষীর আত্মজীবনী ও বহু প্রাচীন প্রতিষ্ঠানের পরিচয় পুনরুদ্ধারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। ভারতের মুক্তিসন্ধানী গ্রন্থটি গ্রন্থটি প্রকাশিত হলে তিনি সুধীমহলে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। হিন্দুমেলার ইতিবৃত্ত গ্রন্থটিও তাঁকে বিপুল খ্যাতি এনে দেয়।
জন্মগ্রহণ করেন ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ মে পিরোজপুর জেলার কুমিরমারা গ্রামে মাতুলালয়ে। পৈতৃক নিবাস ছিল একই জেলারই চলিশাগ্রামে। রামচরণ দে’র পাঠশালায় প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠগ্রহণ শেষে তিনি কদমতলা জর্জ উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি বাগেরহাট কলেজ (বর্তমান প্রফুল্লচন্দ্র কলেজ) থেকে ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে আইএ পাস করেন। ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতার সিটি কলেজ থেকে বিএ পাস করে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএ শ্রেণিতে ভর্তি হন কিন্তু আর্থিক কারণে লেখাপড়া সমাপ্ত করতে পারেননি।
যোগেশচন্দ্র ছাত্রজীবনেই অশ্বিনীকুমার দত্ত, কামাখ্যাচরণ নাগ প্রমুখের সংস্পর্শে এসে স্বদেশি চিন্তায় প্রভাবিত হন। প্রবাসী ও মডার্ন রিভিউ পত্রিকার প্রুফরিডার হিসেবে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। পরে এর সহসম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। সে সময়ে ব্রজেন্দ্রনাথ দাস, রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়, সজনীকান্ত দাস ও নীরদচন্দ্র চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা হয়। ১৯৩৫ থেকে ১৯৪১ পর্যন্ত তিনি দেশ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
গেশচন্দ্র বাগল মূলত জাতীয় ও সমসাময়িক বিষয়ে লিখতেন। ১৯৬১ সালে দৃষ্টিহীন হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি গবেষণা ও লেখালেখির কাজে নিযুক্ত ছিলেন। তাঁর রচিত বাংলা গ্রন্থ সংখ্যা ২১টি এবং ইংরেজি ৪টি। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো গবেষণামূলক গ্রন্থ: ঊনবিংশ শতাব্দীর বাংলা, রাধাকান্ত দেব, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয়তার নবমন্ত্র বা হিন্দুমেলার ইতিবৃত্ত, রাজনারায়ণ বসু, ভারতের মুক্তি সন্ধানী, বাংলার জনশিক্ষা, জাতীয় আন্দোলনে বাঙ্গালী, বিদ্যাসাগর পরিচয়, জাগৃতি ও জাতীয়তা, মুক্তির সন্ধানে ভারত ইত্যাদি। শিশুসাহিত্যের মধ্যে সাহসীর জয়যাত্রা, জগৎ কোন্ পথে, জাতির বরণীয় যাঁরা, মার্কিন জাতির কর্মবীর, বীরত্বের রাজটীকা, সংকল্প ও সাধনা, বিদ্যার্থী মনীষী যাঁরা ইত্যাদি। সম্পাদিত গ্রন্থ: ভারতবর্ষের স্বাধীনতা ও অন্যান্য, বঙ্কিম রচনাবলী, রমেশ রচনাবলী ইত্যাদি।
তাঁর কর্মময় জীবনের প্রতিটি ক্ষণের পরিবর্তন, সুখ-দুঃখের আবর্তনের বাস্তব স্মৃতিকথা ‘জীবন নদীর বাকে বাকে’। সাহিত্য রাচনায় বিশেষ অবদানের জন্যে তিনি বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ কর্তৃক রামপ্রাণ গুপ্ত পুরস্কার, সরোজনী বোস স্মৃতি পুরস্কার, শিশির কুমার পুরস্কারসহ বহু সম্মাননা লাভ করেন।
যোগেশচন্দ্র বাগল ১৯৭২ সালের ৭ জানুয়ারি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র: সংগৃহীত