1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন

ইতিহাসের পাতায় ৭ সেপ্টেম্বর

  • সময় শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৪৬ বার দেখা হয়েছে

গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ২৫০তম (অধিবর্ষে ২৫১তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।

ঘটনাবলি
১৯০৪ : দালাই লামার সঙ্গে ব্রিটেনের চুক্তি হয়।
১৯১১ : ফরাসি কবি গিলাউম আপোলিনিয়ার লুভ্যর জাদুঘর থেকে মোনালিসা চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে বন্দী হন।
১৯১৯ : মহাত্মা গান্ধীর সম্পাদনায় প্রথম ‘নবজীবন’ গুজরাটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়।
১৯২৩ : আন্তর্জাতিক অপরাধী পুলিশ সংস্থা (ইন্টারপোল) গঠিত হয়।

জন্ম
১৮৭০ : আলেকসান্দর কুপ্রিন, রুশ কথাসাহিত্যিক।
১৮৮৭ : গোপীনাথ কবিরাজ, বাঙালি সংস্কৃত-তন্ত্র পণ্ডিত ও দার্শনিক।
১৮৯২ : কুমুদশঙ্কর রায়, প্রখ্যাত চিকিৎসাবিজ্ঞানী।
১৯১২ : ডেভিড প্যাকার্ড, টেকজায়ান্ট হিউলেট প্যাকার্ডের (এইচপি) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।
১৯১৭ : জন কর্নফোর্থ, নোবেলজয়ী অস্ট্রেলীয় জৈবরসায়নবিদ।
১৯৩৪ : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গের একজন জনপ্রিয় বাঙালি লেখক ও কবি।
১৯৫৪ : শাইখ সিরাজ, বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নকর্মী ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।

মৃত্যু
১৯০৭ : প্রথম সাহিত্যে নোবেলজয়ী ফরাসি কবি সুলি প্রুদহোম।
১৯৩২ : বিশিষ্ট বাঙালি সাংবাদিক, দেশপ্রেমিক ও বক্তা শ্যামসুন্দর চক্রবর্তী।
১৯৭৬ : স্বাধীনতা সংগ্রামী ও যুগান্তর দলের অন্যতম কাণ্ডারি সুরেন্দ্রমোহন ঘোষ।
১৯৯৯ : প্রথিতযশা ভারতীয় বাঙালি গীতিকার ও সুরকার পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০১০ : আমেরিকান লেখক বারবারা হল্যান্ড।

কুমুদশঙ্কর রায়
কুমুদশঙ্কর রায় ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের চিকিৎসাশাস্ত্রে যক্ষ্মা গবেষণা ও নিরাময়ে অসামান্য অবদানের এক সুপরিচিত নাম। তিনি ছিলেন বিশিষ্ট অগ্রণী বাঙালি চিকিৎসক।

জন্মগ্রহণ করেন ১৮৯২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা জেলার তেঁওতা গ্রামে। বাবা পার্বতীশঙ্কর রায় চৌধুরীর কনিষ্ঠ পুত্র ছিলেন কুমুদশঙ্কর।

প্রাথমিক পড়ালেখা তেঁওতা একাডেমিতে। পরবর্তীতে কলকাতার হিন্দু স্কুল ও প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াশুনা করেন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাশাস্ত্রে অধ্যয়নের পর উচ্চশিক্ষার্থে স্কটল্যান্ডে যান ১৯১১ সালে। এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাশাস্ত্র অধ্যয়নের পর স্যার রবার্ট ফিলিপের পরামর্শে যক্ষ্মা চিকিৎসায় বিশেষ জ্ঞানার্জনে স্কটল্যান্ড ওকিল হিল স্যানাটোরিয়ামে যোগ দেন এবং বেশ কিছুদিন সেখানে সহকারী সুপারিনটেন্ডন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতায় ফিরে কারমাইকেল মেডিক্যাল কলেজের প্রাণিতত্ত্বের অধ্যাপক হন। দেশবন্ধু প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। ১৯১৮ সালে চিকিৎসাবিদ্যার ছাত্ৰ প্ৰভাস ঘোষ যক্ষ্মারোগে মৃত্যুর সময় নিজের দুই লক্ষ টাকা যক্ষ্মা হাসপাতাল নির্মাণের জন্যে ট্রাস্টিকে দিয়ে যান। ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে হাসপাতাল স্থাপিত হয়। তিনি ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে এই ট্রাস্টি কর্তৃক নিয়োজিত হয়ে সম্পাদক ও সংগঠক হিসেবে যাদবপুর যক্ষ্মা হাসপাতালে আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। অস্পৃশ্যতার কারণে যক্ষ্মা রোগীদের সাহায্যে অনেকে এগিয়ে আসত না; সেজন্যে কুমুদশঙ্কর রায় নিজে রোগীদের রান্না ও পরিবেশনের কাজও করতেন। কালক্রমে সেই যক্ষ্মা হাসপাতাল এশিয়ার সর্ববৃহৎ হাসপাতালে পরিণত হয়।

১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দে জাতীয় মেডিক্যাল আন্দোলনে প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। বারো বছর তিনি এর সম্পাদক ও বেশ কয়েক বছর সভাপতি পদেও ছিলেন। ড. নীলরতন সরকারের প্রয়াণের পর তিনি আই.এম.এ জার্নালেরও দ্বিতীয় সম্পাদক হন।

সকলের উপহাসে ‘উন্মাদ’ আখ্যা পাওয়া এই মানুষটি ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৪ অক্টোবর তামিলনাড়ুর ভেলোরে মৃত্যুবরণ করেন।

সূত্র: সংগৃহীত

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com