1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০৬:৩০ অপরাহ্ন

ইতিহাসের পাতায় ৮ অক্টোবর

  • সময় বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১৫৮ বার দেখা হয়েছে

গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ২৮১ তম (অধিবর্ষে ২৮২ তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।

ঘটনাবলি
১৭৩৫ : ব্যাপক গবেষণার পর পৃথিবীর বিষুব রেখা ও দুই মেরুর ভেতরের দিকে চেপে থাকার বিষয়টি আবিষ্কৃত হয়।
১৯৩২ : রয়্যাল ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স প্রতিষ্ঠিত হয়।

জন্ম
১৮২২ : রাদারফোর্ড বি হেইজ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৯তম রাষ্ট্রপতি।
১৮৬২ : ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, বাঙালি সেতার ও সানাই বাদক।
১৮৮৩ : ওটো ভারবুর্গ নোবেলজয়ী জার্মান জীবরসায়নবিদ।
১৮৯২ : ভূপেন্দ্র কুমার দত্ত, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী এবং বিপ্লবী।
১৯১৭ : রডনি পোর্টার, নোবেলজয়ী ব্রিটিশ চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী।
১৯৬৫ : জগলুল হায়দার, আধুনিক বাংলা অণুকাব্য ও বিজ্ঞান ছড়া রচয়িতা।

মৃত্যু
১৮৬৯ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্দশ রাষ্ট্রপতি ফ্রাংক্‌লিন পিয়ের্স।
১৯৩৬ : আধুনিক হিন্দি এবং উর্দু ভাষার লেখক মুন্সি প্রেমচাঁদ।
২০১২ : বাংলাদেশি বাউল গায়ক ও সুরকার বিদিত লাল দাস।
২০১৪ : ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিন।
২০২০ : বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ ও সমুদ্রবিজ্ঞানী আনন্দদেব মুখোপাধ্যায়।

বিদিত লাল দাস
বিদিত লাল দাস ছিলেন বিশিষ্ট লোকসঙ্গীতশিল্পী, সুরকার, লোকগবেষক এবং সঙ্গীত পরিচালক তথা সংগঠক। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি। বাংলা লোকগানের কিংবদন্তি এই সুরকার হাছন রাজা, রাধারমণ দত্ত, শীতালং ফকির ও গিয়াস উদ্দিনসহ অনেক গীতিকবিদের গানে সুর করেছেন। তার সুরকৃত গানগুলোর মধ্যে ‘মরিলে কান্দিসনে আমার দায়’, ‘সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী’, ‘প্রাণ কান্দে মন কান্দে রে’, ‘কারে দেখাবো মনের দুঃখ গো’, ‘বিনোদিনী গো তর বৃন্দাবন কারে দিয়ে যাবি’, ‘আমি কেমন করে পত্র লিখি’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৮ সালের ১৫ জুন সিলেটের এক জমিদার পরিবারে। বাউল ধারার এই গায়ক সুরের মানুষ হিসেবে ভুবনজোড়া খ্যাতি পেলেও তাঁকে সিলেটবাসী ‘পটল বাবু’ নামে চিনত। ছোটবেলায় তাঁর বাবা আদর করে তাঁর এই নাম রেখেছিলেন।

মাত্র সাত বছর বয়স থেকে সঙ্গীতের সাথে সখ্যতা। সেই থেকে সঙ্গীতই তাঁর আজীবনের ধ্যান-জ্ঞানে পরিণত হয়। ১৯৪৬ সালে তিনি ভারতের আসামে চলে যান। সেখানে তাঁর শিক্ষা শুরু হয়। কিন্তু ১৯৫৯ সালে বাবার অসুস্থতার কারণে সিলেটে ফিরে আসেন। সেই থেকে সিলেটে তাঁর স্থায়ী বাস। তাঁর সঙ্গীত শেখার গুরু ছিলেন ওস্তাদ ফুল মোহাম্মদ।

১৯৭২ সালে একটি গানের দল গঠন করেন তিনি। তাঁর দল বিশ্বের অনেক দেশে গান পরিবেশন করেছে। ২০০৪ সালে সিলেটের শেখঘাট এলাকায় তাঁর নিজের বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করেন ‘নীলম্ব লোকসঙ্গীতালয়’ নামে একটি সঙ্গীত বিদ্যালয়। সিলেটে হাসন রাজার ওপর একটি কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় এবং মরমি কবিদের নিয়ে একটি সংগ্রহশালা প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন বুনতেন।

‘সিরাজউদ্দৌলা’, ‘দ্বীপান্তর’, ‘তপসী’, ‘প্রদীপশিখা’, ‘বিসর্জন’ ও ‘সুরমার বাঁকে বাঁকে’ নাটকেও তিনি সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন। সিলেট অঞ্চলের গান নিয়ে তাঁর রচিত বইয়ের নাম ‘সুরমা পারের গান’। এটি একটি সমাজ গবেষণামূলক গানের ওপর বই।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি গুণীজন পুরস্কার, কলকাতায় ভারতীয় লোক সংবর্ধনা, সিলেট লোকসঙ্গীত পরিষদ পুরস্কার, নজরুল একাডেমি পুরস্কার, রাগীব রাবেয়া ফাউন্ডেশন একুশে পদক, বাংলাদেশ শিল্পকলাএকাডেমি গুনীজন সংবর্ধনা, জাতীয় রাধারমণ দত্ত পদক (মরণোত্তর), হাসন রাজা পদক (মরণোত্তর), একুশে পদক ২০২৪ (মরণোত্তর)-সহ নানা পুরস্কারে ভূষিত হন মরমি এই শিল্পী।

বিদিত লাল দাস ২০১২ সালের ৮ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন।

সূত্র: সংগৃহীত

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com