1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন

ইতিহাসের পাতায় ৯ ফেব্রুয়ারি

  • সময় সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ৮৭ বার দেখা হয়েছে

গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ৪০তম দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।

ঘটনাবলি
১৮৯৫ : উইলিয়াম জি. মরগ্যান ভলিবল খেলার প্রচলন করেন।
১৯০০ : ডেভিস কাপ টেনিস টুর্নামেন্ট শুরু হয়।
১৯৬৯ : প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক উড্ডয়নে যায় বোয়িং-৭৪৭ বিমান।
১৯৭২ : বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় কিউবা।

জন্ম
১৭৩৭ : টমাস পেইন, ইংরেজ-মার্কিন দার্শনিক, লেখক এবং কর্মী।
১৯০২ : মণীশ ঘটক, বাঙালি গল্পকার, কবি এবং ঔপন্যাসিক।
১৯০৯ : শৈল চক্রবর্তী, বিশিষ্ট কার্টুনিস্ট ও চিত্রশিল্পী।
১৯২৩ : কবীর চৌধুরী, বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক এবং অনুবাদক।
১৯৩০ : সুভাষ দত্ত, বাংলাদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং অভিনেতা।
১৯৩৫ : শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৪৩ : জোসেফ ই স্টিগলিজ, অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ।
১৯৪৫ : ইয়োশিনোরি ওসুমি, জাপানিজ কোষ জীবতত্ত্ববিদ, চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেলবিজয়ী।

মৃত্যু
১৮৮১ : বিখ্যাত রুশ সাহিত্যিক ফিওদোর দস্তয়েভস্কি।
১৯৬৫ : বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ।
১৯৭৪ : বাঙালি শিল্প সমালোচক এবং অধ্যাপক অর্ধেন্দুকুমার গঙ্গোপাধ্যায়।
১৯৭৯ : বাঙালি সাহিত্যিক বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়।

খান বাহাদুর আহছানউল্লা
খান বাহাদুর আহছানউল্লা ছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, শিক্ষা সংস্কারক, সমাজহিতৈষী। তিনি একাধারে ছিলেন সাহিত্যিক, ধর্মবেত্তা, দেশবরেণ্য সমাজসেবক, মানবতাবাদী চেতনায় উজ্জীবিত সর্বজন শ্রদ্ধেয় সুফি সাধক। তিনি ছিলেন মুক্তবুদ্ধি ও অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনার ধারক। ইংরেজ শাসনাধীন ভারতে মুসলমানদের ক্ষয়িষ্ণু অবস্থান, দৃষ্টিভঙ্গির পশ্চাৎপদতা, সাংস্কৃতিক অবক্ষয়ে তিনি নতুন জীবনদৃষ্টি ও বিশ্ববীক্ষা নির্মাণে পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেন।

জন্মগ্রহণ করেন ১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দে সাতক্ষীরা জেলায়। বাবা মুন্সী মোহাম্মদ মুফিজ উদ্দীন এবং মায়ের নাম মোছাম্মাৎ আমিনা বেগম। ১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দে কৃতিত্বের সাথে এন্ট্রান্স, হুগলী কলেজ থেকে ১৮৯২ খ্রিষ্টাব্দে এফ.এ এবং কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৮৯৪ খ্রিষ্টাব্দে বিএ পাস করেন। এরপর ১৮৯৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন শাস্ত্রে এমএ সম্পন্ন করেন।

কর্মজীবনে ১৮৯৬ খ্রিষ্টাব্দে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে সুপারনিউমারি টিচার হিসেবে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন। অল্প কিছুকালের মধ্যেই তিনি উচ্চতর বেতনে ফরিদপুরের অতিরিক্ত ডেপুটি ইন্সপেক্টর হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। ১৮৯৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বাখেরগঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ পান। ১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদে নিযুক্ত হন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় তাঁর কর্মদক্ষতার স্বীকৃতি হিসেবে ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে চট্টগ্রাম বিভাগের ডিভিশনাল ইন্সপেক্টর পদে উন্নীত হয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর যাবত চট্টগ্রাম অঞ্চলে শিক্ষার প্রভূত উন্নতি সাধন করেন। এরপর ‘বঙ্গদেশের মোছলেম শিক্ষার সহকারী ডিরেক্টর‘ হিসেবে তিনি পদোন্নতি লাভ করেন এবং ৫ বছর এ পদে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে কলকাতায় স্থানান্তরিত হওয়ার পর নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তিনি কিছুদিন অবিভক্ত বাংলা ও আসামের শিক্ষা বিভাগের ডিরেক্টর পদে দায়িত্ব পালন শেষে ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে ৫৫ বছর বয়সে সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। চেতনায় তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক। সে সময় বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে ফারসি, উর্দু ও ইংরেজি ভাষা শেখার প্রবণতা ছিল বেশি। আহছানউল্লা ব্যাপকভাবে বাংলা ভাষা শিক্ষায় তাদের উদ্বুদ্ধ করেন। বিখ্যাত জনহিতকর প্রতিষ্ঠান ‘আহছানিয়া মিশন’ তাঁরই উল্লেখযোগ্য কীর্তি। শিক্ষার সার্বিক উন্নয়নে প্রগতিশীল ভূমিকার জন্য তাঁকে ‘খান বাহাদুর’ উপাধি দেওয়া হয়। তাঁর রচিত গ্রন্থসমূহের মধ্যে ‘বঙ্গভাষা ও মুসলমান সাহিত্য’, ‘হিস্ট্রি অব দ্য মুসলিম ওয়ার্ল্ড’, ‘আমার জীবনধারা’, ‘ছুফি ও সৃষ্টিতত্ত্ব’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

খান বাহাদুর আহছানউল্লা ১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দের ৯ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।

সূত্র: সংগৃহীত

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com