ইতিহাসে আগস্ট ৭ -সাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন
- সময় শনিবার, ৭ আগস্ট, ২০২১
- ১০২৬ বার দেখা হয়েছে
গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ২১৯তম (অধিবর্ষে ২২০তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।
জন্ম
১৮৬৮ : প্রমথ চৌধুরী, বাঙালি প্রাবন্ধিক, কবি ও লেখক।
১৮৭১ : অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ভারতীয় চিত্রশিল্পী এবং লেখক।
১৯৫৯ : কোনরাড এলস্ট, বেলজিয়াম প্রাচ্যবিদ এবং লেখক।
মৃত্যু
১৮১৩ : বাংলা গদ্যসাহিত্যের আদি লেখকদের একজন রামরাম বসু।
সাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরী
প্রমথ চৌধুরী ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রাবন্ধিক, কবি, সাহিত্যিক ও লেখক।
তিনি বাংলা গদ্যে চলিতরীতির প্রবর্তক। গল্পকার ও সনেটকার হিসেবেও তার অবদান রয়েছে। তিনি ‘সবুজপত্র’ এবং ‘বিশ্বভারতী’ পত্রিকা সম্পাদনা করেন। বাংলা সাহিত্যে তার অবদান অনস্বীকার্য। তিনি বাংলা সাহিত্যের গতিপথ ঘুরিয়ে দিয়ে নতুনত্ব এনেছিলেন। তার সাহিত্য রচনার সুনিপুণতা, সৃষ্টিশীলতা, গাম্ভীর্য, যুক্তিনিষ্ঠা সাহিত্যের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে। তাকে বলা হতো বাংলা সাহিত্যের বীরবল।
জন্মগ্রহণ করেন ১৮৬৮ সালের ৭ আগস্ট যশোর জেলায়। তার পৈতৃক নিবাস ছিল পাবনা জেলার হরিপুর গ্রামে। বাবা দূর্গাদাস চৌধুরী ছিলেন জমিদার। মায়ের নাম মগ্নময়ী দেবী।
প্রমথ চৌধুরীর শিক্ষাজীবন ছিল অসাধারণ কৃতিত্বপূর্ণ। কলকাতার হেয়ার স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাস করেন। তারপর প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে দর্শনে অনার্সসহ বিএ পাস করেন। ১৮৯০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে প্রথম শ্রেণিতে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন এবং পরে ব্যারিস্টারি পড়ার জন্যে বিলেতে যান। সেখান থেকে ফিরে এসে ব্যারিস্টারি পেশায় যোগদান না করে তিনি কিছুকাল ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যাপনা করেন এবং পরে সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করেন। প্রমথ চৌধুরী ১৮৯৯ সালে সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কন্যা ইন্দিরা দেবীকে বিবাহ করেন।
সাহিত্য ক্ষেত্রে প্রমথ চৌধুরীর প্রধান খ্যাতি মননশীল প্রবন্ধ লেখক হিসেবে। তবে তিনি উচ্চমানের গল্প ও কবিতাও রচনা করেছেন। বাংলা সাহিত্যে তিনিই প্রথম বিদ্রূপাত্মক প্রবন্ধ রচনা করেন। বুদ্ধিদীপ্ত তির্যকভঙ্গি তার গদ্য-পদ্য সব রচনার প্রধান বৈশিষ্ট্য। শাণিত যুক্তি ও আলঙ্কারিক ভাষা প্রয়োগেও তিনি দক্ষ ছিলেন। তিনি ইংরেজি ও ফরাসি সাহিত্যে সুপণ্ডিত ছিলেন। ফরাসি সনেটরীতি ট্রিয়লেট, তের্জারিমা ইত্যাদি বিদেশি কাব্যবন্ধ বাংলা কাব্যে তিনিই প্রবর্তন করেন।
উল্লেখযোগ্য রচনাবলির মধ্যে রয়েছে- তেল-নুন-লাকড়ি , সনেট পঞ্চাশৎ, চার-ইয়ারি কথা, বীরবলের হালখাতা, The Story of Bengali Literature, পদচারণ, রায়তের কথা, নীললোহিত, আত্মকথা ইত্যাদি।
প্রমথ চৌধুরী ১৯৩৭ সালে কৃষ্ণনগরে অনুষ্ঠিত একবিংশ বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। ১৯৪৪ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিরিশচন্দ্র ঘোষ-বক্তারূপে বঙ্গ সাহিত্যের পরিচয় তুলে ধরেন। ১৯৪১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ‘জগত্তারিণী’ স্বর্ণপদকে ভূষিত হন।
প্রমথ চৌধুরী ১৯৪৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র : সংগৃহীত
নতুন মন্তব্য