নোবেল বিজয়ী জার্মান বংশোদ্ভূত সুইজারল্যান্ডীয় ঔপন্যাসিক, কবি, গল্পকার ও চিত্রকর হেরমান হেস এর মৃত্যুদিন
গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ২২১তম (অধিবর্ষে ২২২তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।
১১৭৩ : পিসার টাওয়ার নির্মাণ শুরু হয়।
১৮৩১ : প্রথম বাষ্পীয় রেল ইঞ্জিন চলাচল শুরু হয়।
১৯১০ : আলভা ফিসার বৈদ্যুতিক ওয়াশিং মেশিনের প্যাটেন্ট লাভ করেন।
১৯৪২ : এই দিনে মহাত্মা গান্ধীর আহ্বানে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল।
১৯৬৫ : সিঙ্গাপুর-এর মালয়েশিয়া থেকে পৃথক হয়ে স্বাধীনতা লাভ।
১৯১১ : উইলিয়াম আলফ্রেড ফাওলার, নোবেল বিজয়ী মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী।
১৯২৭ : মার্ভিন লী মিন্সকি, আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ।
১৯৪৭ : ফরহাদ মজহার, বাংলাদেশি কবি, কলামিস্ট, লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
১৯১৯ : ইতালীয় সুরকার ও শিক্ষাবিদ রুগেরো লেওনকাভালো।
১৯৩২ : কানাডীয় গণিতবিদ, ফিল্ডস পদকের প্রতিষ্ঠাতা জন চার্লস ফিল্ডস।
১৯৬২ : নোবেল বিজয়ী জার্মান বংশোদ্ভূত সুইজারল্যান্ডীয় ঔপন্যাসিক, কবি, গল্পকার ও চিত্রকর হেরমান হেস।
১৯৬৯ : নোবেল বিজয়ী ইংরেজ পদার্থবিদ সেসিল ফ্র্যাংক পাওয়েল।
২০০০ : নোবেলজয়ী হাঙ্গেরীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন অর্থনীতিবিদ জন হারসানয়ী।
২০২০ : আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী বাংলাদেশি গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী।
আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস ৷
জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস, বাংলাদেশ।
হেরমান হেস ছিলেন একজন জার্মান ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, কবি ও চিত্রকর। জার্মানিতে জন্ম নিলেও পরবর্তীতে তিনি সুইজারল্যান্ডীয় নাগরিক হন। তার সবচেয়ে বিখ্যাত সাহিত্যকর্মগুলোর মধ্যে রয়েছে- স্টেপেনউলফ, সিদ্ধার্থ এবং দ্য গ্লাস বিড গেম (যেটি ম্যাজিস্টার লুডি নামেও পরিচিত)। তিনি ১৯৪৬ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
জন্মগ্রহণ করেন ১৮৭৭ সালের ২ জুলাই জার্মানির ভুর্টেমবার্গের কাল্ভের ব্ল্যাক ফরেস্ট শহরে। মা মারি গুন্ডার্ট এবং বাবা ছিলেন ইয়োহানেস হেস। শৈশবে হেস জার্মানির গ্যোপিঙেনের ল্যাটিন স্কুলে লেখাপড়া করেন। পরে ১৮৯১ সালে মলব্রোন অ্যাবের ইভাঞ্জেলিকাল থিওলজিকাল সেমিনারিতে ভর্তি হন। জার্মানির সবচেয়ে সুন্দর এবং সুপ্রতিষ্ঠিত স্কুল অ্যাবেতে শিক্ষার্থীরা সপ্তাহব্যাপী ৪১ ঘণ্টা ক্লাস করত তখন। যদিও প্রথম মাসগুলোতে হেসে ভালো করেছিলেন। সে সময়ে তিনি প্রবন্ধ লেখা এবং ধ্রুপদী গ্রীক পদ্যসমূহ জার্মান ভাষায় অনুবাদ করতে পছন্দ করতেন। পরে মলব্রোনে তিনি কিছু সঙ্কট পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যান। পরবর্তীতে সময়ে তিনি সুইজারল্যান্ডের নাগরিক হন।
হেরমান হেসের সাহিত্যকর্মগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হচ্ছে- স্টেপেনউলফ, সিদ্ধার্থ, এবং দ্য গ্লাস বিড গেম। যদিও দ্য গ্লাস বিড গেম ছদ্মনামে লিখেছিলেন এবং তিনি ম্যাজিস্টার লুডি নামেও পরিচিত ছিলেন।
সাহিত্যকর্মের জন্যে তিনি জার্মানির বিখ্যাত বুক ট্রেডের শান্তি পুরস্কারসহ ভিয়েনার দ্য স্কিলার ফাউন্ডেশনের মাজস্ট্রিক-প্রেইস, বুয়ের্নফেল্ড-প্রেইস, গটফ্রিড-কেলার-প্রেইস ইত্যাদি পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি ১৯৪৬ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান।
হেরমান হেস ১৯৬২ সালের ৯ আগস্ট সুইজারল্যান্ডে মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র: সংগৃহীত