1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৬ পূর্বাহ্ন

ইতিহাসে জুলাই ১৪ -রসায়নের গোড়াপত্তনকারী পুলিনবিহারী সরকার এর মৃত্যুদিন

  • সময় বুধবার, ১৪ জুলাই, ২০২১
  • ১০৬৪ বার দেখা হয়েছে

ভারতীয় রসায়নবিদ, বিশ্লেষক অজৈব রসায়নের গোড়াপত্তনকারী পুলিনবিহারী সরকার এর মৃত্যুদিন

গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ১৯৫তম (অধিবর্ষে ১৯৬তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।

ঘটনাবলি

১৯৭৮ : সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতাযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়।

জন্ম

১৮৫৪ : মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত, শ্রীরামকৃষ্ণের অন্যতম শিষ্য ও ‘শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত’ রচয়িতা।
১৯১৩ : জেরাল্ড ফোর্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৮তম রাষ্ট্রপতি।

মৃত্যু

১৯৭১ : পুলিনবিহারী সরকার, ভারতীয় রসায়নবিদ, বিশ্লেষক অজৈব রসায়নের গোড়াপত্তনকারী।
১৯৯৭ : আবু তাহের, বাংলাদেশি সুরকার।
২০১৯ : হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি, সাবেক সেনাপ্রধান ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।

পুলিনবিহারী সরকার

পুলিনবিহারী সরকার ছিলেন ভারতের একজন বিশ্লেষণী অজৈব রসায়ন-এর গোড়াপত্তনকারী বিজ্ঞানী। বাবা ছিলেন বিখ্যাত আইনজীবী বসন্তকুমার সরকার। তৎকালীন যাদবপুর ও সোনারপুর অঞ্চলের বিশাল জমিদার যাদব নারায়ণ সরকার ছিলেন তার প্রপিতামহ। তার নামেই কলকাতায় নামাঙ্কিত বর্তমানের যাদবপুর।

পুলিনবিহারী জন্মগ্রহণ করেন ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দের ২২ নভেম্বর কলকাতার ঝামাপুকুরে মাতুলালয়ে। মা সরোজিনী দেবী তাকে জমিদারির আবহ থেকে দূরে রাখতে চাইতেন। বাবার কর্মক্ষেত্র ছিল মেদিনীপুরের তমলুকে। সেখানেই তারা স্থায়ীভাবে বাস শুরু করেন। সেখানেই কাটে বাল্য ও কৈশোর কাল। হ্যামিলটন স্কুল থেকে ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে বৃত্তিসহ এন্ট্রান্স পাস করে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে আইএসসি ক্লাসে ভর্তি হন। সেখানে তার সহপাঠী ছিলেন জ্ঞানেন্দ্র চন্দ্র ঘোষ, জ্ঞানেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, মানিকলাল দে, সত্যেন্দ্রনাথ বসু প্রমুখ। ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে বিএসসি ও ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে রসায়নে এমএসসি পাস করেন।

পুলিনবিহারী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে লেকচারার নিযুক্ত হন ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে। ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে ‘ঘোষ ট্রাভেলিং ফেলোশিপ’ নিয়ে প্যারিসে অধ্যাপক উরবাঁর ল্যাবরেটরিতে গবেষণা করতে যান। সেখানে স্ক্যাডিয়াম, গ্যাডোলিনিয়াম এবং ইউরেনিয়াম নিয়ে অভূতপূর্ব কাজের উপর তার ফরাসি ভাষায় লেখা গবেষণাকর্মের জন্যে সেখানকার জ্ঞান-বিজ্ঞান জগতের বিশেষ সম্মান ‘স্টেট ডক্টরেট অব ফ্রান্স’ লাভ করেন।

১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে দেশে ফিরে পুরনো পদে যোগ দেন এবং কলেজে এক ল্যাবরেটরি তৈরি করে গবেষক ছাত্রদের নিয়ে বর্ণালি বিশ্লেষণভিত্তিক রসায়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ শুরু করেন। এ বিষয়ে অসামান্য অবদানের জন্যে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় স্বর্ণপদক লাভ করেন। তিনিই প্রথম ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে বিহারের গয়া থেকে ‘কলামবাইট’ ( Columnbite) নামের এক আকরিক পদার্থ আবিষ্কার করেন এবং এই আকরিক থেকেই তিনি ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে রেনিয়াম (Rhenium) নিষ্কাশন করেছিলেন। ভারতে খনিজ দ্রব্য থেকে তার রেনিয়াম নিষ্কাশন এই প্রথম। তাছাড়া পান্নাজাতীয় ভারতীয় পাথরগুলো তিনি পর্যালোচনা করে তাদের বিচিত্র রঙের ব্যাখ্যা করেন। খনিজ পদার্থে দ্রুত ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের পরিমাণ নির্ণয়ের সহজ পথ আবিষ্কার করেন। এমনকি সাধারণ জিনিস যেমন- চাল, মুসুর ডাল, উচ্ছে, করলা কিংবা পান- ইত্যাদির মধ্যে কী কী ধাতু কত পরিমাণে আছে তাও দেখেন। চোখের পানি ও মাতৃদুগ্ধ নিয়েও তিনি বিশ্লেষণ করেন।

১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের রসায়ন শাখার সভাপতি, ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব কাল্টিভেশন অব সায়েন্সের আজীবন সদস্য ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটের ফেলো ছিলেন। ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে বিশুদ্ধ রসায়ন বিভাগের ‘স্যার রাসবিহারী ঘোষ অধ্যাপক’ ও ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে রসায়ন বিভাগের প্রধান হন।

১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নেন। তবে তার পরও তার কাজ থেমে থাকেনি। সি.এস.আই.আর-এর আর্থিক সহায়তায় ছাত্রদের নিয়ে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি গবেষণায় লিপ্ত থেকেছেন। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ১৪ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন

 

সূত্র: সংগৃহীত

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com