1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫২ অপরাহ্ন

ইতিহাসে ডিসেম্বর ১১ সাংবাদিক জহুর হোসেন চৌধুরী মৃত্যুবরণ করেন।

  • সময় শনিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৭৭৭ বার দেখা হয়েছে

গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ৩৪৫তম (অধিবর্ষে ৩৪৬তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।

ঘটনাবলি

১৬১৮ : রাশিয়া ও পোল্যান্ডের মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৮৫১ : স্ত্রী শিক্ষার প্রসার ও সমাজকল্যাণমূলক কাজের জন্যে বেথুন সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৪৬ : জাতিসংঘ শিশু তহবিল বা ইউনিসেফ প্রতিষ্ঠিত হয়।

জন্ম

১৮১০ : আলফ্রেড দুমুসে, ঊনবিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত কবি ও লেখক।
১৮৪৩ : রবার্ট কখ, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান জীব বিজ্ঞানী।
১৮৪৬ : অক্ষয়চন্দ্র সরকার, বাংলা সাহিত্যের কবি ও সাহিত্য সমালোচক।
১৯১১ : নাগিব মাহফুজ, নোবেল বিজয়ী মিশরীয় সাহিত্যিক।
১৯১৮ : আলেকজান্দার সোলঝেৎসিন, নোবেলজয়ী রুশ লেখক ।
১৯২২ : দিলীপ কুমার, ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা।
১৯২৪ : সমরেশ বসু (কালকূট), কথাসাহিত্যিক।
১৯২৮ : খান আতাউর রহমান, বাংলাদেশি চলচ্চিত্রাভিনেতা, সুরকার, গায়ক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা।
১৯৪২ : আনন্দশঙ্কর, বিশ্ববিখ্যাত বাঙালি সঙ্গীতজ্ঞ, ফিউশন মিউজিকের গুরু।

মৃত্যু

১৯৭১ : বাংলাদেশি সাংবাদিক আ. ন. ম. গোলাম মোস্তফা
১৯৭৮ : নোবেলজয়ী মার্কিন জীবরসায়নবিদ ভিনসেন্ট ড্যু ভিগনাউড
১৯৮০ : সাংবাদিক জহুর হোসেন চৌধুরী
১৯৮২ : আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রসায়নবিদ ড. প্রিয়দারঞ্জন রায়
২০০৬ : বাঙালি কবি বিনয় মজুমদার
২০১২ : ভারতের বাঙালি সঙ্গীতজ্ঞ ও কিংবদন্তি সেতার বাদক পণ্ডিত রবি শঙ্কর

দিবস

আন্তর্জাতিক পাহাড় দিবস।

জহুর হোসেন চৌধুরী

জহুর হোসেন চৌধুরী ছিলেন বাংলাদেশের সাহসী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ, সংবাদপত্র জগতের কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব। দৈনিক সংবাদের পাতায় তিনি ‘দরবার-ই-জহুর’ নামে যে কলাম লিখতেন, তা খুবই জনপ্রিয় ছিল। এসব নিবন্ধেরই বাছাই করা সঙ্কলন ‘দরবার-ই-জহুর’ নামে ১৯৮৫ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।

জন্মগ্রহণ করেন ১৯২২ সালের ২৭ জুন ফেনীর দাগনভুঁইয়া উপজেলার রামনগর গ্রামে। বাবা সাদাত হোসেন চৌধুরী ছিলেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। কর্মস্থল ছিল সিরাজগঞ্জ। সেখানেই এক উচ্চবিদ্যালয়ে জহুর হোসেন চৌধুরী শিক্ষা গ্রহণ করেন ও ’৩৮ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন। এরপর কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই ’৪০ সালে আইএ ও ’৪২ সালে ইতিহাসে অনার্সসহ বিএ পাস করেন।

সাংবাদিক জীবনের সূচনা হয় হাবীবুল্লাহ বাহার সম্পাদিত ‘বুলবুল’ পত্রিকায় ’৪৫ সালে। এরপর তিনি সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘দ্য স্টেটসম্যান’, ‘কমরেড’ ও ‘স্টার অব ইন্ডিয়া’ পত্রিকায়। ’৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর তিনি পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন এবং কিছুকাল সরকারি চাকরি করেন। পরে আবার সাংবাদিকতায় ফিরে আসেন এবং ‘উপাত্ত’ নামে একটি বাংলা পত্রিকা ও ইংরেজি দৈনিক ‘পাকিস্তান অবজারভার’-এর সম্পাদকীয় বিভাগে কাজ করেন। ’৫১ সালে দৈনিক ‘সংবাদ’-এ সহকারী সম্পাদক পদে যোগ দেন। ’৫৪ সালে তিনি এ পত্রিকার সম্পাদক নিযুক্ত হন।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর হামলা শুরু হওয়ার পর বংশাল রোডে ‘সংবাদ’ কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং পত্রিকার প্রকাশনা ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকে। পত্রিকা বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আজীবন ‘সংবাদ’-এর অন্যতম পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি ‘সংবাদ’-এর সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি নেন এবং এ প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশিত ‘কাউন্টার পয়েন্ট’ নামে একটি ইংরেজি সাময়িকীর সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

১৯৭৫ সালের শেষ দিকে তিনি ‘সংবাদ’-এ তাঁর বিখ্যাত কলাম ‘দরবার-ই-জহুর’ লিখতে শুরু করেন। কলামটি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে, ফলে পাঠকদের কাছে পত্রিকার চাহিদা বৃদ্ধি পায়। প্রথম দিকে কলামটি সপ্তাহে একবার প্রকাশিত হতো, পরে কর্তৃপক্ষের অনুরোধে জহুর হোসেন চৌধুরী সপ্তাহে দুই দিন কলামটি লিখতেন এবং শেষ পর্যন্ত তাই লিখে গেছেন। এ কলামে তিনি জাতীয়, আন্তর্জাতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বিভিন্ন বিষয়ে লিখতেন। তার সংবাদ বিশ্লেষণ, পর্যালোচনা ও মন্তব্য পাঠকদের মুগ্ধ করত। তিনি অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে যে কোনো বিষয়ে তার বক্তব্য ও মন্তব্য প্রকাশ করতেন।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের পুরোটাই সংবাদের প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপা হয়েছিল। খবরটির শিরোনাম ছিল, ‘এবার স্বাধীনতার সংগ্রাম’। এ শিরোনাম আর কোনো পত্রিকা দেয়নি। এ সাহসী শিরোনাম সাহসী সম্পাদক জহুর হোসেন চৌধুরীর কারণেই সম্ভব হয়েছিল। সাহসী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ জহুর হোসেন চৌধুরী অবিস্মরণীয়।

জহুর হোসেন ১৯৮১ সালে মরণোত্তর একুশে পদক লাভ করেন। দৈনিক সংবাদ তার স্মরণে প্রবর্তন করে ‘জহুর হোসেন স্মৃতিপদক’। ১৯৮০ সালের ১১ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

সূত্র : সংগৃহীত

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com