বাঙালি কবি ও সাহিত্যিক নবীনচন্দ্র দাশ মৃত্যুবরণ করেন।
গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ৩৫৫তম (অধিবর্ষে ৩৫৬তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।
১৯৯১ : কলম্বোতে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৯৩ : রাশিয়ায় নতুন সংবিধান প্রবর্তন।
১৮০১ : প্রসন্নকুমার ঠাকুর, সমাজ সংস্কারক।
১৮২৭ : রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, ভারতের বাঙালি কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং প্রবন্ধকার।
১৯১৭ : হাইনরিখ ব্যোল, নোবেলজয়ী জার্মান ঔপন্যাসিক।
১৯৩৪ : প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঙালি নেপথ্য সঙ্গীত শিল্পী ও বাংলা আধুনিক গানের জনপ্রিয় গায়িকা।
১৮০৭ : ইংরেজ মানবতাবাদী জন নিউটন।
১৯১৪ : বাঙালি কবি ও সাহিত্যিক নবীনচন্দ্র দাশ।
২০১১ : ভারতে পরমাণু কর্মসূচির অন্যতম ব্যক্তিত্ব, খ্যাতনামা পরমাণু বিজ্ঞানী পি কে আয়েঙ্গার।
নবীনচন্দ্র দাশ ছিলেন ঊনবিংশ শতকের বাংলা আখ্যান কাব্য রচয়িতাদের অন্যতম কবি।
জন্মগ্রহণ করেন ১৮৫৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ব্রিটিশ ভারতের অবিভক্ত বাংলার অধুনা বাংলাদেশের চট্টগ্রামের আলমপুরে। বাবা দীনদয়াল ওরফে মাগনদাস। তিনি প্রখ্যাত তিব্বতী ভাষাবিদ ও পরিব্রাজক রায়বাহাদুর শরচ্চন্দ্র দাশের অনুজ ছিলেন।
নবীনচন্দ্র কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে শিক্ষালাভ করেন। কৃতিত্বের সাথে এম.এ ও বি.এল পাশ করে প্রথমে চট্টগ্রাম কলেজে আইনের অধ্যাপক হন। পরে রংপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর হন।
প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াশোনার সময় থেকেই তিনি দুটি বাংলা মাসিক পত্রিকা ‘বিভাকর’ ও ‘প্রভাত’ সম্পাদনা করতেন। চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত তার ত্রৈমাসিক পত্রিকা ‘প্রভাত’ বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের মুখপত্রস্বরূপ ছিল। পরবর্তীকালে সংস্কৃত সাহিত্যের রত্নরাজি পদ্যে বঙ্গানুবাদ করেন।
উল্লেখযোগ্য কাব্যরচনাগুলো হলো ‘পিশাচোদ্ধার’, ‘অযোগ্য বিবাহ’, ‘কালিদাসের বিদ্যালাভ’, কয়েকটি সংস্কৃত কাব্যের মূলানুগ অনুবাদ করেন; যা হলো ‘রঘুবংশ’, ‘শিশুপাল বধ’, ‘কিরাতার্জুন’, ‘চারুচর্যাশতক’, ‘আকাশকুসুম কাব্য’, ‘শোকগীতি’।
সংস্কৃত কাব্য পদ্যে বঙ্গানুবাদ করায় নবদ্বীপ ও পূর্রস্থলির পণ্ডিত বর্গ ‘কবি গুণাকর’ এবং চট্টল ধর্মমণ্ডলী তাকে ‘বিদ্যাপতি’ উপাধিতে ভূষিত করে। এছাড়া তিনি ‘কাব্যরত্নাকর’ উপাধিও লাভ করেছিলেন।
১৯১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র: সংগৃহীত