১৮১৫ : ফ্রান্স, ব্রিটেন, অস্ট্রিয়া, প্রুশিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় প্যারিস চুক্তি স্বাক্ষর।
১৮৩৭ : লিউনি ওয়াটারম্যান, ফাউন্টেন পেন বা ঝরনা কলমের আবিষ্কর্তা মার্কিন বিজ্ঞানী।
১৮৫৮ : সেলমা লাগেরল্যোফ, নোবেলজয়ী সুইডিশ লেখিকা।
১৯২০ : কালী বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলা চলচ্চিত্র ও নাট্যজগতের খ্যাতিমান অভিনেতা।
১৯৩২ : সুফিয়া আহমেদ, বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ ও ভাষাসৈনিক।
১৯৬৩ : টিমোথি গাওয়ারস, ফিল্ডস মেডাল বিজয়ী কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক।
১৯১০ : খ্যাতিমান রুশ লেখক লিও তলস্তয়।
১৯৩৯ : লোকসাহিত্য বিশারদ ও বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকার দীনেশচন্দ্র সেন।
১৯৮৪ : কবি ফয়েজ আহমদ।
১৯৯৯ : বাংলাদেশের প্রথিতযশা কবি, লেখক ও নারীবাদী সুফিয়া কামাল।
২০১০ : বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমান্ডার মীর শওকত আলী।
বিশ্ব শিশু দিবস
সুফিয়া আহমেদ ছিলেন বাংলাদেশি একজন শিক্ষাবিদ। তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী জাতীয় অধ্যাপক নির্বাচিত হন। তিনি একজন ভাষাসৈনিক ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্যে বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে।
জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩২ সালের ২০ নভেম্বর তদানীন্তন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) ফরিদপুর জেলায়। বাবা মুহম্মদ ইবরাহিম ছিলেন একজন বিচারপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। মা লুৎফুন্নেসা ইবরাহিম। সুফিয়া আহমেদের স্বামী ইশতিয়াক আহমেদ ছিলেন একজন বিচারক ও আইনজীবী। তাদের দুই সন্তান। ছেলে সৈয়দ রিফাত আহমেদ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক এবং মেয়ে রাইনা আহমেদ একজন চিকিৎসক।
প্রাইভেটে মেট্রিকুলেশন পাস করেন ১৯৪৮ সালে এবং পরে বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। ১৯৫০ সালে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে তিনি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে পড়াশুনা করেন। তিনি ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্য আইনের বিরুদ্ধে মিছিলকারী নারীদের মধ্যে একজন ছিলেন। তিনি ১৯৬০ সালে লন্ডন থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৬১ সালে লন্ডন থেকে পিএইচডি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নিজের বিভাগ ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে লেকচারার হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮৩ সালে তিনি অধ্যাপক হন। দেশের বাইরেও তিনি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাদান করেছেন। ইস্তানবুলের বসফরাস বিশ্ববিদ্যালয় এবং উইজকনসিনের মিলোউকির আলভার্নো কলেজের আমন্ত্রিত অধ্যাপকও ছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড অব ডিরেক্টরের সদস্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
একুশে পদক ছাড়াও তিনি ২০১৫ সালে সুফিয়া কামাল পুরস্কার লাভ করেন। ২০২০ সালের ৯ এপ্রিল রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র : সংগৃহীত