1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন

ইতিহাসে নভেম্বর ২৬ গণিতবিদ যাদবচন্দ্র চক্রবর্তী মৃত্যুবরণ করেন। ।

  • সময় শনিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২১
  • ৮৯৬ বার দেখা হয়েছে

গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ৩৩০তম (অধিবর্ষে ৩৩১তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।

ঘটনাবলি

১৯২২ : দুই রঙ বিশিষ্ট টেকনিকালারে নির্মিত প্রথম ছবি ‘টোল অব দ্য সি’ মুক্তি পায়।
১৯৭৬ : ‘মাইক্রোসফট’ নামটি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোতে ট্রেড মার্ক হিসেবে নিবন্ধিত হয়।

জন্ম

১৮৮৫ : দেবেন্দ্র মোহন বসু, প্রখ্যাত বাঙালি বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান-প্রশাসক।
১৮৯৮ : কার্ল জিগলার, নোবেলজয়ী জার্মান রসায়নবিদ।
১৯১৯ : মুহম্মদ আবদুল হাই, ধ্বনি বিজ্ঞানী ও ভাষাতাত্ত্বিক।
১৯২১ : ভার্গিজ কুরিয়েন, ভারতে দুগ্ধ উৎপাদনে শ্বেত বিপ্লবের জনক।

মৃত্যু

১৯২৩ : গণিতবিদ যাদবচন্দ্র চক্রবর্তী
২০১৭ : বাংলাদেশি নৃত্যশিল্পী ও নৃত্যশিক্ষক রাহিজা খানম ঝুনু

যাদবচন্দ্র চক্রবর্তী

যাদবচন্দ্র চক্রবর্তী ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের বিশিষ্ট গণিতবিদ। ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘গণিত সম্রাট’ উপাধি দিয়েছিল।

জন্মগ্রহণ করেন ১৮৫৫ সালে তৎকালীন সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ থানার তেঁতুলিয়া গ্রামে। গণিতের এই জাদুকরের জীবনের সবটুকু জানা যায়নি। তবে সারা জীবন তিনি গণিতের সাধনা করে গেছেন, আত্মপ্রচার চাননি কখনো। এমনকি লেখেননি আত্মজীবনী।

যাদবের শৈশব কাটে নিজ এলাকাতেই। প্রাথমিক স্কুলে পড়ার সময় থেকেই তিনি গণিতে দক্ষতার প্রমাণ দেন। ১৮৭৬ সালে ১৫ টাকা বৃত্তি নিয়ে তিনি মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্যে যান কলকাতায়। তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজের বেতন পরিশোধ করা কষ্টসাধ্য হওয়ায় ক্যাথিড্রাল মিশন কলেজে পদার্থবিদ্যা ও রসায়নশাস্ত্র পড়েন। লেখাপড়ার খরচ চালাতেন ছাত্র পড়িয়ে। ১৮৮২ সালে তিনি গণিতে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হন।

পেশাজীবনের শুরু কলকাতা সিটি কলেজে। অধ্যাপনার সময় প্রবেশিকা পরীক্ষার্থীদের জন্যে পাটিগণিত রচনা শুরু করেন। তার ইংরেজিতে লেখা বইটি প্রকাশিত হয় ১৮৯০ সালে। বইটি প্রকাশিত হলে দেশের শিক্ষাজগতে বিপ্লব ঘটে যায়। বইটি বাংলা, হিন্দি, উর্দু, অসমিয়া, মারাঠি ও নেপালি ভাষায় অনূদিত হয়। তার লেখা বীজগণিত গ্রন্থ প্রকাশিত হয় ১৯১২ সালে। এ ছাড়া তিনি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্যে কয়েকটি বই প্রকাশ করেন। ১৮৮৭ সালে তিনি শিক্ষকতা থেকে অবসর নেন।

১৯১৬ সালে চলে আসেন সিরাজগঞ্জে। শহরের ধানবান্ধী এলাকায় বাড়ি নির্মাণ করে কর্মধারাকে এবার তিনি নতুন খাতে প্রবাহিত করতে সচেষ্ট হন। একসময় তিনি সিরাজগঞ্জ মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং জড়িয়ে পড়েন জনকল্যাণকর কাজের সঙ্গে।

১৯২৩ সালের ২৬ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

সূত্র : সংগৃহীত

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com