উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ভয়-আশঙ্কা মনোজগতে নেতিবাচক আবেগের ঝড় সৃষ্টি করে
প্রিয় সুহৃদ, আজকের সাদাকায়নে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি। আপনি জানেন যখন অস্থির সময় আসে, সেই অস্থির সময়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, ভয়-আশঙ্কা দুশ্চিন্তার বিস্তার মনোজগতে এক ধরনের নেতিবাচক আবেগের ঝড় সৃষ্টি করে। ব্রেনের কর্মকাঠামো বা ওয়ার্কিং স্ট্রাকচার অগোছালো বা এলোমেলো করে দেয়।
তখন আশঙ্কা পরিণত হতে পারে আতঙ্কে, অস্থিরতা পরিণত হতে পারে উত্তেজনায়, দুর্ব্যবহার বা প্রচণ্ড রাগ ক্ষোভ প্রকাশের মধ্য দিয়ে। উৎকণ্ঠা পরিণত হতে পারে বিষণ্নতায়। আসলে এই পুরো প্রক্রিয়াটাই হচ্ছে জৈব রাসায়নিক।
চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা একে ব্যাখ্যা করেছেন খুব সুন্দরভাবে। আপনি যখন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় আক্রান্ত হন তখন কিডনির অগ্রভাগে অবস্থিত এড্রিনাল গ্ল্যান্ড থেকে হরমোন নিঃসরণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। আপনি জানেন, এড্রিনাল গ্ল্যান্ড থেকে এড্রিনালিন, নরএড্রিনালিন ও কর্টিসল- এই তিনটি হরমোন নিঃসরণ হয়। এই হরমোন তিনটিকে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বলেন স্ট্রেস হরমোন।
ক্রমাগত উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বহু জটিল রোগের জন্ম দিতে পারে
অস্থিরতা উদ্বেগ উৎকণ্ঠা যত বেশি হবে এই হরমোনের নিঃসরণ তত বেশি হবে। এর ফলে আনুপাতিকভাবে হার্টবিট বেড়ে যায়, শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুততর হয়, রক্তচাপ বেড়ে যায়, শরীরের বিপাকক্রিয়ার হার বাড়ে।
চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বলেন, ক্রমাগত উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আশঙ্কা-দুশ্চিন্তা বা নেতিবাচক চিন্তায় ডুবে গেলে তা অনিদ্রা উচ্চ রক্তচাপ গ্যাস্ট্রিক আলসার হৃদরোগ ডায়াবেটিস ক্রনিক ব্যথাবেদনাসহ বহু জটিল রোগের জন্ম দিতে পারে।
তারা বলেন ৭০-৭৫ ভাগ রোগই মনোদৈহিক বা লাইফস্টাইল ডিজিজ অর্থাৎ ভুল জীবনদৃষ্টি বা ভুল জীবনাচারের পরিণতি।
উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বা ভয়ের চাপ যদি বেশি হয় তবে তা মানুষকে ট্রমাগ্রস্ত করে ফেলতে পারে। তার মানসিক স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতিও করতে পারে।
নিরাময় ধ্যানের মাধ্যমেও পেতে পারেন
আপনি প্রশ্ন করতে পারেন সবই বুঝলাম! কিন্তু এ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়টা কী?
উপায় অবশ্যই আছে কারণ স্রষ্টা প্রতিটি রোগের নিরাময় পাঠিয়েছেন। এই নিরাময় ওষুধের মাধ্যমে হতে পারে, দানের মাধ্যমে আসতে পারে, দোয়ার মাধ্যমে পেতে পারেন। অথবা ধ্যানের মাধ্যমেও পেতে পারেন।
আর উদ্বেগ উৎকণ্ঠাজনিত মনোদৈহিক জটিলতা নিরসনে ধ্যান বা যোগ মেডিটেশনের কার্যকারিতা এখন প্রশ্নাতীতভাবে প্রমাণিত। সারা পৃথিবীতে এর কার্যকারিতা একটি প্রতিষ্ঠিত সত্য।
মেডিটেশন স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণ সুস্থ ও স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসে
প্রিয় সুহৃদ, যখনই আপনি মেডিটেশন করেন, তখনই দেহে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাজনিত জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া সুস্থ স্বাভাবিকতায় ফিরে আসে। হার্টবিট স্বাভাবিক হয়, রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়ে আসে, শ্বাস-প্রশ্বাসে স্বাভাবিক ছন্দ চলে আসে, শরীরের বিপাকক্রিয়া নরমাল হয়ে যায়।
কারণ মেডিটেশন স্ট্রেস হরমোন- এড্রিনালিন নরএড্রিনালিন ও কর্টিসলের নিঃসরণ সুস্থ ও স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসে।
শুধু তাত্ত্বিকভাবে নয় নিজের জীবন থেকে তিনি এই সত্য উপলব্ধি করেছেন
অনেক বিশিষ্ট চিকিৎসাবিজ্ঞানী মেডিটেশনের উপকারিতা ও কার্যকারিতা নিয়ে গত ৬০ বছর ধরে গবেষণা করেছেন। এদের প্রায় সবাই গবেষক হিসেবে গবেষণা করেছেন। ব্যতিক্রম হচ্ছেন ডক্টর প্রফেসর ডাক্তার স্টিভেন লরিস।
বর্তমানে তিনি বেলজিয়ামের ইউনিভার্সিটি অব লিজের একটি গবেষক দলের প্রধান। নিউরোসায়েন্সের একজন নেতৃস্থানীয় ও সুপরিচিত গবেষক। তার গবেষণা হচ্ছে ভুক্তভোগীর গবেষণা। অর্থাৎ তিনি শুধু তাত্ত্বিকভাবে গবেষণা করেন নি, তিনি নিজের জীবন থেকে এই সত্যকে উপলব্ধি করেছেন।
“কোনো থেরাপি পিল অয়েন্টমেন্ট অপারেশন আমাকে কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে পারল না…”
তার ভাষায় “১৭ই আগস্ট ২০১২ মাথার ওপর আকাশ ভেঙে পড়ল, It was a real shock. একজন চিকিৎসাবিজ্ঞানী হিসেবে একজন বিজ্ঞানী হিসেবে যত জ্ঞান আমি অর্জন করেছিলাম, তার কিছুই আমার কোনো কাজে লাগল না। আমি নিজেকে দেখতে পেলাম একা। সাথে তিন জন সন্তান। একজনের বয়স সাত, একজনের ১১, একজনের ১৩।
ঐদিনটি পর্যন্ত আমি দীর্ঘসময় কাজ করতাম এবং যখনই সময় পেতাম, পরিবারের সাথে আমার ফ্রি টাইম কাটাতাম। I was completely lost emotionally.
আমি একজন পিতা কিন্তু সেইসাথে একজনের স্বামী। আমি ভাবতেই পারি নি আমার স্ত্রী আমাকে ডিভোর্স দেবে যা একজন মানুষ হিসেবে আমার সমস্ত অস্তিত্বকে গুঁড়িয়ে দিল। আমার জ্ঞান এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানের কোনো থেরাপি, কোনো পিল, অয়েন্টমেন্ট, অপারেশন আমার কষ্ট থেকে আমাকে মুক্তি দিতে পারল না। আমি সুস্থ জীবন থেকে বিচ্যুত হলাম। সিগারেট এবং অ্যালকোহল ধরলাম স্ট্রেস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে। কিন্তু এন্টিডিপ্রেসেন্ট পিল, স্লিপিং পিল কোনোটাই কাজে আসল না। আমি মানসিকভাবে হারিয়ে যেতে শুরু করলাম। জীবন একেবারে এলোমেলো হয়ে গেল।”
তিনি নিয়মিত যোগ মেডিটেশন শুরু করেন, এক সময় তার ডিপ্রেশন কেটে যায়
প্রিয় সুহৃদ, এসময় একজন শুভাকাঙ্ক্ষী তাকে মেডিটেশন চর্চার পরামর্শ দেন। তিনি যোগ মেডিটেশন শুরু করেন। একটু ভালো লাগতে শুরু করল। নিয়মিত চর্চা শুরু করেন। এক সময় তার ডিপ্রেশন কেটে যায়। তিনি আগের মতো প্রফুল্ল হয়ে ওঠেন।
তিনি বলেন, আমি অনুভব করতে পারলাম যে আসলে অতীত নিয়ে অভিযোগ করার কিছু নাই এবং ভবিষ্যৎ নিয়েও দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নাই। আমি বর্তমান মুহূর্তটাকে উপভোগ করতে শিখলাম। আমার বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধিৎসা মাথাচাড়া দিয়ে উঠল যখন প্রথম অণুজীব বিজ্ঞানী ডক্টর ম্যাথু রিকার্ডের সাথে দেখা হলো। যিনি ৩০ বছর ধরে মেডিটেশন চর্চা করছেন।
ব্রেনের বিজ্ঞানী হিসেবে নিউরোসায়েন্টিস্ট হিসেবে ল্যাবে কয়েকটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরে আমরা দেখলাম যে তার মস্তিষ্ক তার সমসাময়িক যারা তাদের চেয়ে অনেক উন্নত অনেক বলিষ্ঠ অনেক পুষ্ট।
মেডিটেশনের সময় তার নিউরাল নেটওয়ার্ক সমবয়সীদের চেয়ে অনেক অনেক ভালোভাবে কাজ করে
যখন ম্যাথু রিকার্ড মেডিটেশন করছেন ২৫০টিরও বেশি ইলেক্ট্রয়েড তার মাথার চারপাশে লাগানো হলো। এবং আমরা দেখলাম যখন তিনি মেডিটেশন করেন তার নিউরাল নেটওয়ার্ক তারই সমবয়সী অন্যদের নিউরাল নেটওয়ার্কের চেয়ে অনেক অনেক ভালোভাবে কাজ করে।
এবং এই দীর্ঘ গবেষণার ফলাফলই আমি আমার বইতে তুলে ধরেছি। তার বইয়ের নাম হচ্ছে ‘দি নো-ননসেন্স মেডিটেশন বুক- এ সায়েন্টিস্টস গাইড টু পাওয়ার অব মেডিটেশন’।
নিউরোসায়েন্টিস্ট প্রফেসর স্টিভেন লরিস বৈজ্ঞানিক গবেষণালব্ধ জ্ঞান দিয়ে মেডিটেশনের পাওয়ার সম্পর্কে যা উপলব্ধি করেছেন আমাদের সাধকরা অলি-বুজুর্গরা মুনি-ঋষিরা মেডিটেশনের ধ্যানের এই ক্ষমতা দেখেছেন হাজার হাজার বছর ধরে।
দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে মেডিটেশন এক অসাধারণ প্রক্রিয়া – ডক্টর স্টিভেন লরিস
কোয়ান্টাম মেথডে আমরা মেডিটেশনের এই ক্ষমতার কথাই বলে এসেছি ৩২ বছর ধরে।
ডক্টর স্টিভেন লরিস তার অভিজ্ঞতা থেকে বলেছেন যে, দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে মেডিটেশন এক অসাধারণ প্রক্রিয়া। ম্যাথু রিকার্ডের ব্রেনের ইমেজ পরীক্ষা করে তিনি দেখিয়েছেন যে নিয়মিত মেডিটেশনে ব্রেন কর্টেক্স ও ব্রেনের হিপ্পোক্যাম্পাসসহ বিভিন্ন অংশে গ্রে-ম্যাটার বাড়ে। ফলে একজন মানুষের মনোযোগায়নের সামর্থ্য বাড়ে স্মৃতিশক্তি শাণিত হয় ভাবাবেগ সংহত হয়।
এককথায় বলা যায় উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় এলোমেলো বা অগোছালো বা ডিটিউন্ড হয়ে যাওয়া ব্রেনের কর্মকাঠামো মেডিটেশনে রিটিউনড বা গোছালো সুবিন্যস্ত ও শক্তিশালী হয়।
মেডিটেশনকে ড. স্টিভেন লরিস বলেছেন ‘ব্রেনের ব্যায়াম’ হিসেবে। যেমন দৌড়ালে পায়ের পেশি শক্তিশালী হয় সাঁতারে হাত ও কাঁধের পেশি শক্তিশালী হয়, মেডিটেশন ব্রেনের কর্মকাঠামো সুবিন্যস্ত ও শক্তিশালী করে।
তাই প্রতিদিন নিয়মিত মেডিটেশন চর্চা করুন। আপনি দুশ্চিন্তামুক্ত থাকবেন প্রশান্ত থাকবেন ইতিবাচক থাকবেন। কোনো ভয়-আতঙ্ক-বিষণ্ণতা আপনার ধারে কাছে আসতে পারবে না। সমস্ত সমস্যা ও প্রতিকূলতাকে আপনি সুযোগ ও সম্ভাবনায় রূপান্তরিত করবেন।
আসলে মেডিটেশন শেখা খুব সহজ
আপনি হয়তো বলবেন, আমি তো মেডিটেশন শিখি নি, এখন কী করব? আসলে মেডিটেশন শেখা খুব সহজ। আমাদের ওয়েবসাইট quantummethod.org.bd থেকে কোয়ান্টাম মেথড বই ডাউনলোড করে নিন আপনার স্মার্টফোনে। কোয়ান্টাম মেথড অ্যাপস ইনস্টল করে নিন অডিও দিয়ে মেডিটেশন করতে পারবেন আর তাছাড়া আমাদের মেডিটেশনের সহায়ক প্রচুর বই অডিও ভিডিও রয়েছে ফ্রি ডাউনলোড করার জন্যে।
নিজেকে হালকা করতে পাঁচ-ছয় বার আবেশন প্রক্রিয়ায় দম নিন
আপনি আবার বলতে পারেন, যে মেডিটেশন শুরু করার আগে নিজেকে হালকা করার মাথার জ্যামটাকে কমানো বা বুকটাকে হালকা করার কী কিছু আছে?
আছে। আসলে সবকিছুই আছে! পাঁচ-ছয় বার শুধু আপনি আবেশন প্রক্রিয়ায় দম নিন। দেখুন বেশ হালকা লাগবে। আবেশন প্রক্রিয়ায় দম নেয়া বা এবডোমিনাল ব্রিদিং আসলে খুব সহজ। আপনি এখনই চর্চা করতে পারেন-
একটু সোজা হয়ে বসুন, একটু চোখ বন্ধ করুন। নাক দিয়ে ধীরে ধীরে দম নিন। দম নেবেন পেটে অর্থাৎ দম নেয়ার সময় ওপরের পেট ফুলবে। ছাড়বেন মুখ দিয়ে। দম নিতে যে সময়টুকু নেবেন, ছাড়তে সময় নেবেন একটু বেশি।
শুরু করুন এবং দম নিতে নিতে ভাববেন প্রকৃতি থেকে তরতাজা প্রাণশক্তি আপনার ফুসফুসে প্রবেশ করছে শরীরে প্রবেশ করছে। এবং শরীরের যত দূষিত পদার্থ রয়েছে, টক্সিন রয়েছে দম ছাড়তে ছাড়তে ভাববেন শরীরের ভেতর থেকে সমস্ত দূষিত পদার্থ সমস্ত টক্সিন বেরিয়ে যাচ্ছে বাতাসের সাথে।
নাক দিয়ে দম নিন- ধীরে ধীরে নিন। দম নেয়ার সময় ওপরের পেট ফুলবে ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে দম ছাড়ুন। দম নেবেন নাক দিয়ে, নেবেন পেটে অর্থাৎ পেট ফুলবে, ছাড়বেন মুখ দিয়ে।
নাক দিয়ে দম নিন, দম নিতে নিতে ভাবুন ফিল করুন যে প্রকৃতি থেকে অফুরন্ত প্রাণশক্তি আপনার ভেতরে প্রবেশ করছে। মুখ দিয়ে দম ছাড়তে ছাড়তে ভাবুন শরীরের সকল দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যাচ্ছে।
নাক দিয়ে দম নিন। দম নেবেন পেটে, ছাড়বেন মুখ দিয়ে। মুখ দিয়ে দম ছাড়ুন। নাক দিয়ে দম নিন নেবেন পেটে মুখ দিয়ে আস্তে আস্তে দম ছাড়ুন।
যখনই অস্থিরতা অনুভব করছেন, তিন চার মিনিট এই দমের চর্চা করুন
এবার চোখ মেলুন। দেখুন, হালকা লাগছে। যখনই কোনোরকম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা অনুভব করবেন, অস্থিরতা অনুভব করবেন, অন্যকিছু করার সুযোগ না থাকলে মেডিটেশনের সুযোগ না থাকলে স্রেফ তিন চার মিনিট পাঁচ মিনিট এই দমের চর্চা করুন। নাক দিয়ে নেবেন। ওপরের পেট ফুলবে, ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে দম ছাড়বেন। দম নিতে নিতে ভাববেন প্রকৃতি থেকে অফুরন্ত প্রাণশক্তি শরীরের প্রবেশ করছে আর মুখ দিয়ে দম ছাড়তে ছাড়তে ভাববেন শরীরের সকল দূষিত পদার্থ সমস্ত টক্সিন দমের সাথে বেরিয়ে যাচ্ছে।
তাহলেই আপনি হালকা ফিল করতে পারবেন। আর কখনো যদি ভয় অনুভব করেন, অটোসাজেশন দেবেন। আমি বিশ্বাসী আমি সাহসী আমি পারি আমি করব আমার জীবন আমি গড়ব। মনে মনে এই অটোসাজেশন দিতে থাকবেন। আমি বিশ্বাসী আমি সাহসী আমি পারি আমি করব আমার জীবন আমি গড়ব।
যখন নিয়মিত মেডিটেশন করবেন, আপনি নিজের ভেতরে গভীর আত্মবিশ্বাস অনুভব করবেন…
যখন নিয়মিত এই অটোসাজেশন দেবেন নিয়মিত মেডিটেশন করবেন তখন আপনি নিজের ভেতরে একটা আত্মবিশ্বাস অনুভব করবেন এবং সেই বিশ্বাস নিজের ওপরে, সেই বিশ্বাস স্রষ্টার ওপরে- আল্লাহ বলেন ভগবান বলেন ঈশ্বর বলেন গড বলেন যে নামেই ডাকেন, তাঁর প্রতি একটা গভীর বিশ্বাস আপনি অনুভব করবেন এবং আপনার ভেতর থেকে সমস্ত ভয়-আশঙ্কা এগুলো দূর হয়ে যাবে। কারণ সমস্ত কল্যাণের মালিক হচ্ছেন তিনি এবং তিনি যে-কোনো অকল্যাণ দূর করে দিতে পারেন।
সবসময় সমাজের সব স্তরের মানুষের সাথে মিশুন। নিয়মিত সাদাকায়নে আসুন। দুর্গত যে-কোনো মানুষের যে-কোনো কল্যাণে সাহায্য করার সুযোগ নিজ উদ্যোগে গ্রহণ করুন। যোগ মেডিটেশনকে নিজের জীবনাচারের অংশে পরিণত করুন। আপনি দুশ্চিন্তামুক্ত থাকবেন, প্রশান্ত থাকবেন। পরম করুণাময় আমাদের সবার সহায় হোন।
[০২ আগস্ট ২০২৪ সাদাকায়নের জন্যে ২৯ জুলাই ২০২৪ তারিখে গুরুজীর প্রদত্ত বক্তব্য]