কোনো শর্ত না রেখে, কোনো পাওয়ার প্রত্যাশা না করে আন্তরিকভাবে কাউকে যে-কোনো জিনিস দেয়া যেতে পারে যা তার প্রয়োজন পূরণ করবে। এমন উপহার আল্লাহর কাছে অত্যন্ত পছন্দনীয়। আপনি বুঝতে পারছেন যে, একজনের একটা জিনিস খুব প্রয়োজন, সে কিনতে পারছে না। সে আপনার ছোট ভাই হতে পারে, ভাতিজা, মামা, খালা যে কেউ হতে পারে। আপনি বুঝতে পারছেন—এই জিনিসটা পেলে তার কাজে লাগবে, উপকার হবে। আপনি তাকে দিন। এটা তার প্রয়োজন পূরণ করবে, এটা হচ্ছে সত্যিকারের উপহার। এই উপহার ফাউন্ডেশন সবসময় উৎসাহিত করে।
আমরা গিফট নিয়ে যাই শুধু লোকলজ্জার কারণে। শুধু লোকভয় যে, না নিলে কী বলবে, না নিয়ে যাই কীভাবে।
চট্টগ্রামের এক ঘটনা – আমাদের এক দায়িত্বশীল বলছিলেন, গত ২০ বছর ধরে উনি স্ত্রীকে নিয়ে কোনো বিয়েতে যেতে পারতেন না।কারণ ওনার নিয়ম ছিল কোনো দাওয়াতে গেলে উনি গিফট নিতেন না। আর স্ত্রীর কথা হলো, গিফট না নিলে আমি তোমার সাথে যাব না। লোকে কী বলবে, মহিলা এসেছে এরকম সেজেগুজে—গিফট ছাড়া। কিন্তু ওয়ার্কশপে যখন আমরা সামাজিক উপহার বর্জনের কথা বললাম, তিনি খুব খুশি হলেন। স্ত্রীকে বললেন, এবার নিশ্চয়ই তুমি আমার সাথে একমত হবে। স্ত্রী–ও যেহেতু কোয়ান্টামের সদস্য, ওয়ার্কশপের আলোচনায় তিনিও উদ্বুদ্ধ হলেন।
২০ বছর পর প্রথমবারের মতো স্বামী–স্ত্রী একসাথে কোনো বিয়ের দাওয়াতে গেলেন। অথচ আগে স্বামী গেলে স্ত্রী যেতেন না, আর স্ত্রী গেলে গিফট নিয়ে যেতেন তাই স্বামী যেতেন না। এই বৃত্ত আমরা ভাঙতে পারি না কেন? শুধুমাত্র লোকে কী মনে করবে—লোকলজ্জা–লোকভয়। এই লোকভয়ের কারণে আমরা আমাদের বৃত্তে আটকে থাকি এবং এই লোকভয়টা মহিলাদের সবচেয়ে বেশি।