২৫ বছর ধরে আমরা দেশকে নিয়ে যে মনছবি দেখে আসছি, আজকের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি সেদিকেই অগ্রসর হচ্ছে। এবং এই মনছবিকে বাস্তবায়িত করতে দেশের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে আমাদের সকলের। আসলে আমরা যে যেই কাজটা পারি সেটাতে আমাদের সেরাটা দেয়াই সত্যিকারের দেশপ্রেম।
এবং এর সাথে দেশের জন্যে যে দুটো কাজ আমরা এখন থেকে করতে পারি –
যখন একটি মানুষ একটি পরিবার একটি দেশ ভাবে যে সে পারে না, তখন সে কোনোভাবেই আর পেরে উঠে না। তাই আমরা যে পারি এবং পারব – এই বিশ্বাসের দায়িত্ব আমাদেরই।
তাই আসুন, আজ থেকে আমরা সচেতন হই, যে দেশের নামে কখনো কোনো নেতিবাচক কথা বলব না। যদি আশেপাশে কেউ বলেও, আমরা প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে নিব, অথবা বলব, যে আসুন আমরা প্রার্থনা করি, নিশ্চয়ই এটা ঠিক হয়ে যাবে।
শুদ্ধাচারী হিসেবে আমাদের পূর্বপুরুষদের সুনাম ছিল বিশ্বজুড়ে। কিন্তু ইংরেজ শোষণের ফলে আমাদের সেই পরিচয় আমরা ভুলতে বসেছি।
তাই আসুন, আমরা শুদ্ধাচার চর্চা শুরু করি এবং অন্যদের উদ্বুদ্ধ করি। কারণ শুদ্ধাচার চর্চা যদি আমাদের মধ্যে না থেকে, তাহলে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সুফল ভোগ করবে অল্প কিছু মানুষ। আর যদি আমরা ঘরে ঘরে শুদ্ধাচার চর্চা করতে পারি, তাহলে দেশের প্রত্যেকটা মানুষ ভালো থাকবে, প্রত্যেকে এই সুফল লাভ করবে।
শুদ্ধাচার দেশজুড়ে ছড়িয়ে দিতে শুরু করুন নিজেকে দিয়ে। শুদ্ধাচার বই সবসময় সাথে রাখুন। যখনই সময় পান, চোখ বুলিয়ে নিন। পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব ও সহকর্মীদেরও শুদ্ধাচার বই বা অ্যাপ পড়তে উদ্বুদ্ধ করুন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সবাই যে অস্ত্র হাতে যুদ্ধে নেমেছিলেন, তা নয়। কিন্তু সবাই তাদের সর্বস্ব দিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন। এমনকি কৃষকের সেই ছোট্ট মেয়েটিও যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তার সবচেয়ে মমতার, ভালবাসার এবং তার একমাত্র সম্বল – পোষা ছাগলটি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যে ত্যাগ করে।
স্বাধীনতার এই সুবর্ণ জয়ন্তীতে আসুন আমরাও সেই শিশুটির মতো নিজ নিজ ক্ষেত্র থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ি এবং একসাথে গড়ে তুলি আমাদের স্বপ্নের এই দেশকে।