যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যার কথা আমি (জাতিসংঘ অধিবেশনে) তুলে ধরেছি। আমাদের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তারা নিজেরা আত্মঘাতী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে, ড্রাগ ট্রাফিকিং হচ্ছে। আবার কেউ কেউ নৌকায় উঠে মালয়েশিয়া যাবে বলে মাঝপথে হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা বিষয়গুলো ভালোভাবেই তুলে ধরেছি।
তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি জাতিসংঘের কাছে বারবারই তুলে ধরছি। কিন্তু রোহিঙ্গাদের কতটুকু ফেরত যেতে পারবে, সেটাই হলো সব থেকে বড় কথা। আজকে পাঁচটা বছর এরা আমাদের কাঁধে বোঝা হয়ে আছে। তাছাড়া যে বৈদেশিক সহযোগিতা আসত, সেটাও অনেকটা কমে এসেছে। যেহেতু তাদেরকে মানবিক কারণে আমরা আশ্রয় দিয়েছি, আশ্রিত যারা তাদের তো আমরা ঠেলে দিতে পারি না।
সরকারপ্রধান বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গেও আমরা আলোচনা করছি। তাদেরকেও বলছি, আপনাদের লোক আপনারা ফেরত নেন। আমরা তাদের সাথে কোনো সংঘাতে যাচ্ছি না। তাদের সাথে আলোচনা করে বুঝাতে চেষ্টা করছি যে, তাদের দেশের মানুষ পরদেশে পড়ে থাকবে, এটা ভালো কথা না। তাদের ফেরত নিয়ে যাওয়া উচিত। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র সফরে তার বিভিন্ন কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরেন।