২০-২২ আগস্ট টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে দেশের ১২টি জেলা বন্যায় প্লাবিত হয়। দেশের ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, কক্সবাজার, সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলা বন্যায় নিমজ্জিত হয়। এ অবস্থায় বিভিন্ন জেলায় বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ পৌছে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।
মৌলভীবাজার
২৫ আগস্ট ২০২৪ মৌলভীবাজারের বিভিন্ন স্থান—মৌলভীবাজার সদর, মনু নদীর পাড়, ফরেস্ট অফিস রোড, বড়শি জোড়া, শিমুল তুলা বাজার, চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের গুজারাই, রাজনগর উপজেলার বানারাই গ্রামের বন্যা কবলিত ১১৫টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
বন্যা কবলিত এলাকাগুলো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় মৌলভীবাজার সেলের কোয়ান্টিয়ারবৃন্দ (স্বেচ্ছাসেবক) ত্রাণ বিতরণের সুবিধার্থে আগে থেকেই দুর্গতদের মধ্যে টোকেন বিতরণ করেন। কিছু দুর্গম এলাকায় কোয়ান্টিয়াররা সরাসরি গিয়ে ত্রাণ বিতরণ করেন। আর বন্যার্তদের অধিকাংশই তাদের সুবিধাজনক সময়ে টোকেন দিয়ে মৌলভীবাজার সেল কার্যালয় থেকে ত্রাণের প্যাকেট সংগ্রহ করেন।
ত্রাণ হিসেবে প্রতি প্যাকেটে ছিল—তিন কেজি চাল, এক কেজি আলু, এক কেজি চিড়া, এক কেজি মুড়ি, এক কেজি গুড়, আধা কেজি পেঁয়াজ, আধা কেজি লবণ, আধা লিটার তেল, একটি গ্যাস লাইট, দুটি দিয়াশলাই এবং ছয়টি মোমবাতি ।
ত্রাণ বিতরণে উপস্থিত ছিলেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন সিলেট সেন্টারের অর্গানিয়ার-ইনচার্জ আহমেদ শরীফ, মৌলভীবাজার জেলার বিশিষ্ট সমাজসেবক ও লেখক ড. মোহাম্মদ আবু তাহের, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক এস এম ইলিয়াস, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আম্বরখানা শাখার মোমেন্টিয়ার এবং লতিফা-শফি চৌধুরী মহিলা ডিগ্রী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক শেখ আব্দুর রশিদ, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন সিলেট সেন্টারের কো-অর্গানিয়ার বদরুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. সায়মুর রহমান, ইউনিক কেয়ারগিভিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপক পরিচালক সুমন চৌধুরী, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন মৌলভীবাজার সেলের প্রধান দায়িত্বশীল মো. শরীফুল হাসান এবং কোয়ান্টিয়ারবৃন্দ।
কুমিল্লা
২৬ আগস্ট ২০২৪ সোমবার কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন কুমিল্লা শাখার উদ্যোগে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হয় জেলার বন্যা কবলিত চৌদ্দগ্রাম, নাঙলকোট ও বুড়িচং উপজেলার শতাধিক পরিবারের মাঝে।
ত্রাণ হিসেবে ছিল—বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্যালাইন, গামছা, মোমবাতি, গ্যাস লাইটার, স্যানিটারি ন্যাপকিন, সাবান, মশার কয়েল, লাইফ জ্যাকেট, হ্যান্ড মাইক ইত্যাদি। এতে কোয়ান্টিয়ার (স্বেচ্ছাসেবী) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কোয়ান্টাম পরিবারের সদস্য রাশিদা আকতার ও আব্দুল্লাহেল বাকী।
খাগড়াছড়ি
২৩, ২৫ ও ২৬ আগস্ট ২০২৪ কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন খাগড়াছড়ি সেলের উদ্যোগে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হয় খাগড়াছড়ি সদরের গঞ্জপাড়া, সিঙ্গিনালা, ইসলামপুর, মুসলিম পাড়া, জেলা পরিষদের পেছনে স্লুইস গেট এলাকা এবং দিঘীনালা উপজেলার মেরুং-এর কুমিল্লা পাড়ায় বন্যা কবলিত ১২০টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হয়।
বন্যা কবলিত এলাকাগুলো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় খাগড়াছড়ি সেলের কোয়ান্টিয়ারবৃন্দ (স্বেচ্ছাসেবক) ত্রাণ বিতরণের সুবিধার্থে আগে থেকেই দুর্গতদের মধ্যে টোকেন বিতরণ করেন। পরে সরাসরি গিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দেন।
ত্রাণ হিসেবে প্রতি প্যাকেটে ছিল—তিন কেজি চাল, দুই কেজি আলু, আধা কেজি ডাল, আধা কেজি পেঁয়াজ, আধা কেজি লবণ, আধা লিটার তেল, হলুদ ১০০ গ্রাম, মরিচ ১০০ গ্রাম, বিস্কুট এক প্যাকেট এবং একটি সাবান ।
ত্রাণ বিতরণে উপস্থিত ছিলেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন খাগড়াছড়ি সেলের আহ্বায়ক টিপু লাল নাথ, প্রো-কোয়ান্টিয়ার রাশেদুর রহমান, সাইফুদ্দিন আবু আনসারী মিঠু, সুদর্ষী আচার্যী রনি।