কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের দাফন কার্যক্রমের অভিজ্ঞতায় এমন বেশ কিছু ঘটনাচিত্র উঠে এসেছে এবং আসছে – উচ্চপদস্থ ব্যাংক কর্মকর্তা, করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তালাবদ্ধ করে রাখা হয় তাকে। সেই ঘরেই তার মৃত্যু হয়।
সদ্য বাবা হারানো শোকাহত পরিবার, যাদের প্রতিবেশীরা ঘরবন্দী করে রেখেছিল পুরো পরিবারকে।
এক শিশু, যে প্রতিবেশীদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছে বাবার লাশ দাফনের জন্যে। সাড়া তো কেউ দেয়ই নি। বরং সন্ধ্যা পর্যন্ত না খেয়ে ছিল মৃতের পরিবারের সকলে, কেউ খোঁজও করে নি। এমনকি দাফন শেষ হবার পরও তাদের বাড়িতে কেউ খাবার পাঠায় নি। পরে স্বেচ্ছাসেবীরা তাদের খাবারের ব্যবস্থা করে।
এবারের কোরবানির ঈদে, যাদের সামর্থ্য আছে, তারা হয়তো পরিবারের সাথে ঈদের দিনটা ভালো কাটাবেন, দু চারটা ভালো রেঁধে খাবেন।
ওদিকে করোনার্তদের অনেকেই হয়তো থাকবেন না খেয়ে। ক্ষুধার যন্ত্রণায় কাতর হলেও পথে নামতে পারবে না চক্ষুলজ্জায়।
প্রতি বছর আমরা ধর্মীয় রীতি অনুসরণ করে কোরবানি দেই। কোরবানি অবশ্যই অন্যতম একটি পুণ্যের আমল।
কিন্তু বিশেষ পরিস্থিতিতে এবারের কোরবানির ঈদ আমাদের সামনে আরো বেশি পুণ্য লাভ করার সুযোগ এনে দিয়েছে।
তার আগে কোরআনে কোরবানির তাৎপর্য ও নির্দেশনাগুলো একটু ফিরে দেখা যাক।