গুলশানে তরুণীর আত্মহত্যা: বসুন্ধরা গ্রুপের এমডির বিরুদ্ধে মামলা
সময়
মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২১
১৫৬৭
বার দেখা হয়েছে
দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী গ্রুপ বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সায়েম সোবহান আনভীর বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের ছেলে। রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে এক কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর ওই ছাত্রীর বোন সোমবার গভীর রাতে এই মামলা দায়ের করেন। গুলশান থানার উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মৃত ওই ছাত্রীর নাম মোসারাত জাহান মুনিয়া। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যার দিকে গুলশান ২ নম্বরের ১২০ নম্বর সড়কের ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়ার ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ।
মামলার বরাত দিয়ে উপকমিশনার বলেন, ‘মেয়েটির সঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের সম্পর্ক দুই বছর ধরে।আনভীর এক বছর মুনিয়াকে বনানীর ফ্লাটে রাখেন। পরে তানভীরের সঙ্গে মনোমালিন্য হলে মেয়েটি কুমিল্লায় চলে যায়। তবে মার্চ মাসে ঢাকায় এসে গুলশানের ফ্লাটে থাকা শুরু করেন মুনিয়া।’ তিনি বলেন, ‘২৩ এপ্রিল একটি ইফতার পার্টি হয় ওই বাসায়। ওই পার্টির ছবি ফেসবুকে আপলোড করা হলে মুনিয়ার সঙ্গে আনভীরের মনোমালিন্য হয়। পরে মুনিয়া তার বোন নুসরাত জাহানকে ফোন করে জানান, যে কোনো মুহূর্তে তার যে কোনো ঘটনা ঘটতে পারে। তাই দ্রুত কুমিল্লায় থেকে নুসরাতকে ঢাকায় আসতে বলেন। এ খবর পেয়ে সোমবার বিকেল চারটার দিকে নুসরাত ওই ফ্লাটে আসেন। কিন্তু দরজা খোলা পাননি। পরবর্তিতে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে শোবার ঘরে বোনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান নুসরাত।
তিনি বলেন, ‘সাক্ষ্য প্রমাণ হাতে আসলে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’ গুরুত্ব বিবেচেনায় গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলার তদন্ত করছেন জানিয়ে উপকমিশনার বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ফুটেজ বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি আসবে বলে জানান তিনি।’ এক প্রশ্নের জবাবে উপকমিশনার বলেন, ‘চুক্তিপত্র অনুযায়ী ওই ফ্লাটের মাসিকভাড়া ১ লাখ টাকা। এবং অগ্রিম দেয়া হয়েছে দুই লাখ টাকা। এরই মধ্যে দুই মাসের ভাড়া পরিশোধ করা হয়েছে।