দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, ‘আমরা যখনই কোনো দুর্নীতি কিংবা অনিয়মের তথ্য পাচ্ছি তখনই আমলে নিচ্ছি। অনুসন্ধানকালেই দুর্নীতিবাজদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে আদালতে আবেদন করা হয়। আদালতের আদেশ পাওয়ার পরপরই দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত সব সম্পদ ফ্রিজ করি।’
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেখুন, আমাদের ম্যান্ডেট হলো যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অর্থপাচার রোধ করা। কিন্তু মানুষের একটা ভুল ধারণা কাজ করে, সব দুর্নীতিই বুঝি আমাদের। সব অর্থপাচারই বুঝি আমাদের। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যদি অবৈধভাবে অর্থ পাচার করে, সেটি রোধ করাই আমাদের কাজ। অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী যদি অর্থ পাচার করে, সেটাও আমরা অনেক সময় আমলে নিই; যা নেওয়ার কথা সিআইডি, এনবিআর বা মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের। আমরা আমাদের কাজটুকু করে যাচ্ছি। দুর্নীতিবাজদের সম্পদ জব্দ করছি। আফজাল ও পাপলু—এঁদের বিরদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অর্থপাচারের বিষয়ে বেশি জোর দিচ্ছি।’
দুর্নীতিবাজদের হুঁশিয়ারি জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি করে পার পাওয়ার সুযোগ কেউ পাবে না। প্রতিটি অভিযোগ বিচার-বিশ্লেষণ করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুর্নীতি করে কেউ যেন শান্তিতে থাকতে না পারে, সে ব্যবস্থা কমিশন করছে। অতিলোভী ঘৃণ্য এসব অপরাধীর আইনের কাছে আত্মসমর্পণ অবশ্যই করতে হবে।
করোনাকালে ভয়াবহ পরিস্থিতির পর দুদক দুর্নীতি প্রতিরোধে কাজ করছে জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, “কভিডের কারণে আমরা যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি, সেটি পুনরুদ্ধারের জন্যে এবারের আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘শুদ্ধাচারই পুনরুদ্ধার’। আমরা সবাই যদি শুদ্ধাচার আচরণ করি, কাজ করি, তাহলে কিন্তু যে ক্ষতিতে আমরা নিমজ্জিত হয়েছি সেটি পুনরুদ্ধার করতে পারব। আসুন, আমরা সবাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হই। দুর্নীতির প্রতিবাদ করি। দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কট করি। এভাবেই সবাই মিলে যদি দুর্নীতিকে ঘৃণা করতে না পারি, তাহলে শুধু দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে দুর্নীতি দমন বা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।”
সূত্র: কালের কণ্ঠ