স্বাভাবিকভাবেই আপনি প্রশ্ন করতে পারেন যে, নিজের ওপরে আবার জুলুম হয় কীভাবে!
আসলে আমরা অধিকাংশ মানুষ নিজের ওপরেই জুলুম করি।
স্রষ্টা এই দেহটাকে বানিয়েছেন আত্মার বাহন হিসেবে; আত্মার এক স্তর থেকে আরেক স্তরে গমনের বাহন হিসেবে। যখন আমরা এই দেহের যত্ন নিতে ভুলে যাই বা দেহের জন্যে ক্ষতিকর কাজ করি; যেমন সেই কাজ অস্বাস্থ্যকর খাবার হতে পারে; ক্ষতিকর পানীয় হতে পারে; বদ অভ্যাস হতে পারে।
এমনকি সময়মতো খাওয়া-দাওয়া না করাও হতে পারে। প্রয়োজনীয় যে উপাদান শরীরের সুস্থতার জন্যে প্রয়োজন, সেগুলো থেকে নিজেকে বঞ্চিত করাও হতে পারে।
অর্থাৎ যখন কেউ নিজের এবং অন্যের জন্যে ক্ষতিকর কাজ করে তখন স্রষ্টা অসন্তুষ্ট হন এবং তখনই একজন মানুষ স্রষ্টার বিরাগভাজন হয়। এবং তখন স্বাভাবিক নিয়মে প্রকৃতির যে শাস্তি এই শাস্তিটা তার ওপর নেমে আসে।
আমরা বালা-মুসিবত, বিপদ-আপদ-গজব এগুলোর জন্যে অন্যকে দোষারোপ করি। কিন্তু আল্লাহতায়ালা সূরা ফজরের (১৭-২০) নম্বর আয়াতে খুব সুস্পষ্টভাবে বলেছেন যে-
“না! এ কথা সত্য নয়। আসলে এটা তোমাদের কর্মফল। তোমরা এতিমের প্রতি সম্মানজনক আচরণ কর না, অভাবী অসহায়কে অন্নদানে-পরস্পরকে উৎসাহিত কর না, অন্যের উত্তরাধিকারের সম্পদ নিজেরা আত্মসাৎ কর, আর ধনসম্পত্তির প্রতি তোমাদের আকর্ষণ আসক্তিতে পরিণত হয়েছে।”
আসলে যখন মানুষ নিজেকে সুস্থ রাখার পরিবর্তে, সুস্থ জীবনাচারের পরিবর্তে শুধু ধনসম্পত্তি অর্থবিত্তের পেছনে ছোটে এবং সবকিছু সে নিজের জন্যে আত্মসাৎ করতে যায়, অন্যের দিকে তাকায় না; তখনই আসলে সমাজে-সংসারে বালা-মুসিবত বিপদাপদ-বিপর্যয় নেমে আসে।