ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে, যুক্তরাষ্ট্রের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট নিকেট সনপাল বলেন, ‘যদিও রোগীরা এর পরে অনেকটা হালকা ও আরামদায়ক অনুভব করেন। তবে এর পেছনে কোনো বাস্তব প্রমাণ আমি খুঁজে পাইনি।’
এই ব্যাখ্যাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যান নিউ ইয়র্ক’য়ের সনদস্বীকৃত ‘ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্ট’ সামান্থা গাম্বিনো। তিনি বলেন, ‘কোষ্ঠকাঠিন্যের সময় অন্ত্রগুলো যেভাবে সংকুচিত হয় একইভাবে অনুভূতিগুলোও সংকুচিত হয়।’ মনস্তাত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যেতে পারে, হয়তো একারণেই মলত্যাগ করা মেজাজকে আরও ভালো রাখতে পারে।
‘যেহেতু ৭০ শতাংশ সেরোটোনিন অন্ত্রে সঞ্চিত থাকে, তাই কোষ্ঠকাঠিন্য হলে মন মেজাজ খারাপ হওয়া স্বাভাবিক।’ ডা. গাম্বিনো আরও বলেন, ‘সেরোটোনিন ‘সুখী হরমোন’ নামে পরিচিত। নিয়মিত মলত্যাগ কম অস্বস্তি সৃষ্টি করে এবং অন্ত্র থেকে নিয়মিত সেরোটোনিন নিঃসরণ নিশ্চিত করে যা মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখে।’
মলত্যাগ করা কষ্টসাধ্য হলে তা মেজাজের ওপরেও প্রভাব রাখে। ডা. গাম্বিনো’র ভাষায়, ‘কোষ্ঠকাঠিন্য উদ্বেগের জন্যে দায়ী। কারণ মলত্যাগের সময় চাপ সৃষ্টি হওয়া কেবল শরীর নয় মনের ওপরেও প্রভাব ফেলে। তাই মন শান্ত রাখতে পেট পরিষ্কার হওয়াটা জরুরি।’
অন্ত্র বা মলত্যাগের ওপর নিয়ন্ত্রণ না থাকা অনেকটা অসহায়ত্ব ও শক্তিহীন অনুভূত হতে পারে। এক্ষেত্রে অনেকেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে যান বলে জানান, ডা গাম্বিনো। ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেকটা দুসম্পর্কের ভাইবোনের মতো। যা মানুষের মনের ওপর খারাপ প্রভাব রাখে। তাই ডা. গাম্বিনোর মতে, মন ভালো রাখতে সঠিকভাবে পেট পরিষ্কার হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।