গতকাল বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) কার্যালয়ে ফোরাম সদস্যরা যেভাবে হট্টগোল করে পর্ষদের নেতৃত্ব অধিগ্রহণের চেষ্টা করেছে, তাতে দেশের বৃহত্তম রপ্তানি খাতের ভাবমূর্তি আরও ক্ষুণ্ন হয়েছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিএমইএ এ কথা বলেছে।
বিজিএমইএ বলেছে, এমন এক সময়ে তারা এই কাজ করেছে, যখন বিজিএমইএ বিদ্যমান পরিস্থিতি আমলে নিয়ে উত্তরণের পথনকশা করছে। গতকাল বেলা দুইটার দিকে সাধারণ সদস্যদের ব্যানারে ফোরামের শতাধিক নেতা-কর্মী স্মারকলিপি দিতে বিজিএমইএ কার্যালয়ে যান। সেখানে তাঁরা বিজিএমইএর নেতাদের সঙ্গে সহিংস আচরণ করেন; এমনকি নিরাপত্তা ফটক পেরিয়ে ভেতরে ঢুকে যান। তাঁরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। তাঁরা অবৈধভাবে বিজিএমইএর পর্ষদের নিয়ন্ত্রণ হাতে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
বলা হয়েছে, ফোরাম প্যানেলের সদস্যসহ শতাধিক ব্যক্তি বিজিএমইএ ভবনে প্রবেশ করেন। এঁদের মধ্যে ছিলেন সুরমা গার্মেন্টস লিমিটেডের মালিক ফয়সাল সামাদ, ফেব্রিকা নিট কম্পোজিটের মালিক মিজানুর রহমান, ম্যাগপাই কম্পোজিটের মালিক মজুমদার আরিফুর রহমান, ওয়েগা অ্যাপারেলসের মালিক মেসবাহ উদ্দিন আলি, অ্যামিটি ডিজাইন লিমিটেডের শেহাবুদ্দৌজা চৌধুরী, নেক্সাস সোয়েটার্সের রশিদ আহমেদ হোসেইনি, অনন্ত স্পোর্টসওয়্যারের ইনামুল হক খান। অন্যদের মধ্যে অনেকেই অপরিচিত।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকালের এই ঘটনা দেখে বিজিএমইএর পর্ষদ সদস্য ও কর্মীরা হতভম্ব হয়ে যান। এ ছাড়া হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে; এই ভিডিও দেখে বিজিএমইএর অনেক সাধারণ সদস্য দুঃখ পেয়েছেন।
বিজিএমইএ এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। যাঁরা দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সংস্কারকাজে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন, গতকালের হট্টগোলকারীরা তাঁদের সমগোত্রীয়।
গতকাল বিজিএমইএর বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের ওপর অনাস্থা জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন সাধারণ সদস্য ও ফোরামের সদস্যরা। তাঁরা স্মারকলিপি দিয়ে কমিটি ভেঙে দিতে বর্তমান পর্ষদকে চাপ দেন। বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনায় বেশ হট্টগোল হয়েছে।