র্যাংকিংয়ে ভারতের চেয়ে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ জয়ের উদ্দেশেই নেমেছিল মাঠে। শুরুতে বেশ ভালো খেলার পরেও প্রথমার্ধে এক গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে অস্কার ব্রুজোনের শিষ্যরা। দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে বিশ্বনাথ ঘোষের লাল কার্ডে যেন ম্যাচ থেকেই ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ। তবে সব নাটকীয়তা শেষে ১-১ গোলে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুই দল।
সমতায় ম্যাচ শেষ করলেও বেশ প্রশংসায় ভাসছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। পুরো ম্যাচ জুড়ে র্যাং কিংয়ের কোনো ছাপই পড়েনি বাংলাদেশের খেলায়। দলীয় এমন নৈপুণ্য বহুদিন দেখেনি দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। তাই তো জয়ের দেখা না পাওয়ার পরও বেশ উচ্ছ্বসিত দর্শকরা।
খেলা শেষ হওয়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় ওঠে প্রশংসার। পুরো দলের নৈপুণ্য আর চমৎকার খেলা নিয়ে লেখার জোয়ার শুরু হয় অনলাইনে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা নিয়েও আশাবাদী হয়ে ওঠেন দেশের ফুটবলপ্রেমীরা।
কবির য়াহমদ নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ড্রয়ে জয়ের আনন্দ পাচ্ছি। কারণ শক্তিতে- র্যাঙ্কিংয়ে ভারত আমাদের থেকে বেশ এগিয়ে। ম্যাচে প্রতিপক্ষের আক্রমণ রুখে দেওয়ার মাঝেই ব্যস্ত থাকেনি বাংলাদেশ। বরং যখনই সুযোগ পেয়েছে তখনই গোলের উদ্দেশ্যে ছুটেছে। এমনটা বহুকাল দেখা যায়নি।’
ইয়াসির মোহাম্মদ নামের একজন লিখেছেন, ‘ভারতের সাথে ১-১ গোলে ড্র। সুযোগ মিস না হলে জিততে পারতাম। তবুও আলহামদুলিল্লাহ। ওয়েলডান বয়েজ।’
এর আগে সোমবার (৪ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। শুরু থেকেই আক্রমণে দেখা যায় বাংলাদেশকে। তবে ভালো ফিনিশিং এর অভাবে বেশ কয়েকটি সুযোগ হারায় অস্কার ব্রুজোনের শিষ্যরা। এরপর পাল্টা আক্রমণে নামে ভারতও। ম্যাচের ২৭ মিনিটে সুনীল ছেত্রির গোলে এগিয়ে যায় ভারত। ৪০তম মিনিটে ডি-বক্সে ডুকে পড়েও গোলের সুযোগ হারান বিপলু আহমেদ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে কোলাকোকে পেছন থেকে টেনে ফেলে দেয়ায় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় বিশ্বনাথ ঘোষকে। এরপর ১০ জনের দল নিয়েই দাপটের সঙ্গে খেলতে থাকেন তপু বর্মণ-ইয়াসিন আরাফাতরা। ৭৪তম মিনিটে কর্ণার থেকে জামাল ভূঁইয়ার ক্রসকে ডাইভিং হেডে ভারতের জালে জড়ান ইয়াসিন আরাফাত। এরপরও বেশ কয়েকটি সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। এর ফলে ম্যাচ শেষে ১-১ গোলের ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় দুই দলকে।