চট্টগ্রামে বাঁশখালীতে বেতন-ভাতার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভে গুলির ঘটনায় ৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাঁশখালী উপজেলায় কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে এ ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- শুভ (২৩), মো. রাহাত (২৪), আহমদ রেজা (১৯) ও রনি হোসেন (২২)। চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিহত শ্রমিকের নাম হাবিবুল্লাহ (১৯)। বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল ইসলাম বিদ্যুৎকেন্দ্রে সংঘর্ষের কথা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ ঘটনায় আমাদের ৬ পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।’ বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শফিউর রহমান মজুমদার বলেন, ‘চারজনকে মৃত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। এ ছাড়া আহত ১২ জনকে আনা হলে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়েছে।’ এদিকে চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শীলব্রত বড়ুয়া বলেন, বাঁশখালী এলাকা থেকে ১০-১২ জন গুলিবিদ্ধ শ্রমিককে হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে একজনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘শ্রমিকদের বেশকিছু দাবি-দাওয়া ছিল। এসব তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দিতে চাচ্ছিল। শনিবার সকালে অসন্তোষ বাড়তে থাকে এবং পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে শ্রমীকদের সাথে স্থানীয় লোকজনও জড়িয়ে পড়েন।’ চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বকেয়া বেতনের দাবিতে গতকালও গণ্ডামারা ইউনিয়ন এলাকায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে। এ বিষয়ে বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু শ্রমিকরা বিক্ষোভের এক পর্যায়ে হামলা চালিয়েছে। শ্রমিকরা পুলিশের ওপর হামলা চালালে পুলিশ নিরুপায় হয়ে গুলি চালাতে বাধ্য হয়। এতে ৫ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতরে প্রায় ৫০ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।’ উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৪ঠা এপ্রিল গণ্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনা এলাকায় এ কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জায়গা অধিগ্রহণ নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছিলেন।