1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ১২:৩০ পূর্বাহ্ন

বিদেশে পড়তে যাওয়ার মোড়কে আত্মপ্রতারিত হওয়ার গোমড় ফাঁস!

  • সময় মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৩১৮ বার দেখা হয়েছে

কোয়ান্টাম সবসময় অমঙ্গল ও অকল্যাণের ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক করে আসছে।
আজকেও আমরা বিদেশে পড়তে যাওয়ার মোড়কে আত্মপ্রতারিত হওয়ার বিষয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।

২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে ৫০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী বিদেশে পড়তে গেছে এবং গত ১৫ বছরে বাংলাদেশীদের বিদেশে পড়তে যাওয়ার প্রবণতা তিন গুণ বেড়েছে।

আসলে ইউরোপ আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্যে বিদেশি শিক্ষার্থীরা হলো দুধেল গাই। যত বেশিসংখ্যক স্টুডেন্ট আকৃষ্ট করা যায় তত মুনাফা।

২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ লাখ বিদেশি শিক্ষার্থী পড়তে গেছে যা তাদের অর্থনীতিতে যোগ করেছে ৩৪ বিলিয়ন ডলার। একই বছর কানাডা গাড়ি, গাড়ির খুচরা যন্ত্রাংশ ও বিমান রপ্তানি করে যত ডলার উপার্জন করেছে, তার চেয়ে বেশি আয় করেছে বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে, ২২ বিলিয়ন ডলার।

আর ইংল্যান্ড বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি ও আনুষঙ্গিক ফি বাবদ ৫২ বিলিয়ন ডলার আদায় করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ব্রিটিশ শিক্ষার্থীদের জন্যে বার্ষিক টিউশন ফি যেখানে নয় হাজার পাউন্ড, বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্যে এই ফি তিন থেকে চার গুণ বেশি।

বিদেশের বার্ষিক টিউশন ফি নিয়ে বৃটেনের পত্রিকা দি গার্ডিয়ান কী বলছে?
খোদ বৃটেনের পত্রিকা দি গার্ডিয়ান বলছে- ব্রিটিশ সরকার নিজ দেশের ছাত্রছাত্রীদের যে ভর্তুকি দিচ্ছে, সেটা আদায় করছে বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। গত চার অক্টোবর থেকে তারা বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা ফি হেলথ ইনস্যুরেন্স ফি এসব বাড়িয়েছে। বাড়ানোর কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত ১০০ কোটি পাউন্ড আদায় করা।

অতএব বুঝতেই পারছেন এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলো থেকে শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করার ব্যাপারে তারা কেন এত মরিয়া! অন্য বেনিয়ারা যেমন তাদের পণ্য বিক্রি করার জন্যে নানারকম প্রলোভন দেখায়, এই উচ্চ শিক্ষার বেনিয়ারাও একইভাবে পৃথিবীজুড়ে এই ধারণা ছড়িয়ে দিয়েছে যে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি না থাকলে জীবন বৃথা।

পাশ্চাত্য দেশগুলোর টোপগুলো কী?
প্রতিবছর বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের দূতাবাসের সহযোগিতায় আমাদের দেশে এডুকেশন ফেয়ার আয়োজন করে। বাংলাদেশে তরুণ-তরুণীদের শিক্ষিত জ্ঞানী ও যোগ্য করে তোলার মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তারা এসব মেলা আয়োজন করে না।

এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য একটাই- বিদেশি শিক্ষার্থীর একটা সাপ্লাই চেইন চালু রাখা। যাতে তাদের দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত হয়।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে জন্ম হার ক্রমশ কমছে। ফলে তাদের প্রচুর শ্রমিক দরকার।

তাদের টোপগুলোও খুব ইন্টারেস্টিং। তারা বলে, কানাডার ভালো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি নিতে খরচ হবে ৭৫ লাখ টাকা। পাশ করেই তুমি যে চাকরি পাবে বছরে বেতন হবে কমপক্ষে ৮০ লাখ টাকা। এক বছরেই তোমার টাকা উঠে আসবে। অতএব বিদেশি এমবিএ তোমার ক্যারিয়ার ও জীবনের জন্যে একটি চমৎকার বিনিয়োগ।

আসলে ফাঁকটা কোথায়? প্রথমত ওখানে উপার্জন যেমন বেশি, খরচও সমানুপাতিক হারে বেশি।

দ্বিতীয়ত, বিদেশে যারা পড়তে যায়, টিউশন ফি ও থাকা খাওয়ার খরচ যোগানোর সামর্থ্য অধিকাংশেরই থাকে না। এই গ্রুপ ঋণ করে। এই ঋণ হচ্ছে আসল ফাঁদের শুরু।

স্টুডেন্ট লোন এটা আরেক ব্যবসা। চাকরি পাওয়ার পর ২০-২৫ বছর পার হয়ে গেছে, স্টুডেন্ট লোনের কিস্তি শোধ করেই যাচ্ছে- ইংল্যান্ড-আমেরিকায় এরকম প্রচুর ঘটনা রয়েছে।

যারা স্টুডেন্ট লোন না নিয়ে পার্ট টাইম চাকরি করে থাকা খাওয়ার খরচ যোগায়, তাদের সস্তা শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তাদেরকে খুব কম বেতনে নিয়োগ দেয় স্থানীয়রা!

এক সরকারি অধ্যাপকের চোখে বিদেশ নিয়ে কল্পনা আর বাস্তবতার তফাৎ…
বিদেশ নিয়ে কল্পনা আর বাস্তবতার যে তফাৎ- এটা বলছিলেন কোয়ান্টাম পরিবারের একজন সদস্য। তিনি আমাদের দেশের একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন। ছোটবেলা থেকে আমেরিকা সম্পর্কে শুনতে শুনতে আট-দশজনের মতো তার মধ্যেও বিদেশের ব্যাপারে একধরনের মুগ্ধতা ছিল। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পাশ্চাত্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ৪০-৫০ পার্সেন্ট, বড়জোর ৮০ পার্সেন্ট টিউশন ফি মাফ করে।

তিনি মেধাবী ছাত্র ছিলেন। আমেরিকান একটি বিশ্ববিদ্যালয় ফুল স্কলারশিপ পেয়ে গেলেন।

লেখাপড়া শেষ করার পর স্বপ্নের দেশ আমেরিকায় স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার সম্ভাবনা ও নিরাপদ জীবনের হাতছানিতে প্রভাবিত হয়ে তিনি জায়গা জমি ফার্নিচার সব রেখে চলে গেলেন।

সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ঠিক করেছিলেন দেশে আর ফিরবেন না। আমেরিকায় স্থায়ী হবেন। গিয়ে দেখলেন ওখানে সন্তানের কোনো ভবিষ্যৎ নাই, বরং সন্তানের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হয়ে যাবে।

আমেরিকার কালচার হচ্ছে সন্তানের বয়স ১৮ হলেই মা-বাবার সাথে থাকবে না, স্বাধীন নাগরিক। তারা এতে অভ্যস্ত।

অধ্যাপক মহোদয় যেখানে থাকতেন, আরো নয়টি প্রবাসী পরিবার থাকত। প্রত্যেকেই একই স্বপ্ন নিয়ে এসছিল। সে কষ্ট করবে, প্রয়োজনে অড জব করে সন্তানদের লেখাপড়া করাবে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নিয়ে ভালো চাকরি করবে। আমেরিকার মূল স্রোতে জায়গা পাবে। এদের কারোরই স্বপ্নপূরণ হয় নি।

প্রবাসীদের সন্তানরা আমেরিকান হওয়ার চেষ্টা করছে! কিশোরী মেয়ে রাত ১২টার দিকে বাবাকে বলছে, “আমি বের হলাম। বাবা কোনো প্রশ্ন করতে পারছেন না”।

সে দেশের মন্ত্র হলো পারসুইট অব হ্যাপিনেস, ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের সুযোগ নাই।

পাঁচ বছরের শিশুসন্তান খেলতে গিয়ে বারান্দায় পড়ে রক্তাক্ত হয়েছে। প্রতিবেশী ৯১১-এ ফোন করল পুলিশ এসে শিশুটিকে অন্য জায়গায় দত্তক দিয়ে এলো। প্রবাসী মা-বাবা জানতেও পারল না সন্তান কোথায় আছে?

সে অধ্যাপক আরো খেয়াল করলেন, আমেরিকায় প্রচুর উদ্বাস্তু ছিন্নমূল মানুষ। বাংলাদেশের শহরগুলোতে গরিব লোকটা হয়তো বস্তিতে থাকে। তবু তার একটা ঘর আছে।

আমেরিকায় বহু দরিদ্র মানুষ ঘরহীন। সাধারণ মানুষ দিন আনে দিন খায়। পাঁচ দিন কঠোর পরিশ্রম করে। সপ্তাহের শেষে যখন বেতন পায় পুরো টাকা পাব বা ক্লাবে গিয়ে উড়িয়ে দেয়। যে কারণে হঠাৎ অসুস্থ হলে বা জরুরি প্রয়োজনে আমেরিকানরা ক্রেডিট কার্ডের শরণাপন্ন হয়।

৮০% পরিবার মাসের বাজার করার জন্যে ক্রেডিট কার্ডের ওপর নির্ভরশীল। এই ঋণের জাল থেকে কখনোই বের হতে পারে না। শুধু মাসে মাসে কিস্তি শোধ করে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো টিউশন ফি হয়তো মাফ করল, কিন্তু থাকা খাওয়ার খরচ যোগাতে অধিকাংশ অভিবাসী অড জব করে রেস্টুরেন্ট ফুয়েল স্টেশন সুপার শপ এসব জায়গায়। দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয় সাত আট ঘণ্টা এবং শ্রমিকের বসার সুযোগ নেই। এই সব অভিবাসীরা দেশে থাকা আত্মীয়-বন্ধুদের এসব অভিজ্ঞতা জানায় না, নানা কারণে গোপন করে।

নিউজিল্যান্ড নিয়ে এক বাঙালি ডাক্তারের বীভৎস অভিজ্ঞতা…
প্রিয় সুহৃদ! বাংলাদেশ থেকে একজন ডাক্তার উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্যে নিউজিল্যান্ড গিয়েছিলেন। সেদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আধুনিক পরিচ্ছন্ন শহর আর নাগরিকদের জন্যে সুযোগ সুবিধার বহর তাকে দারুণ মুগ্ধ করল।

মেডিকেলের ক্লাস শেষে ফেরার পথে রেস্টুরেন্ট ও ক্লাবে উপচে পড়া ভিড় দেখে তার আরো ভালো লাগল। এরা দিনভর কঠোর পরিশ্রম করে। তারপর রাতেও উৎফুল্লচিত্তে উৎসব করছে।

তার মনে হলো, এরাই তো আসলে সত্যিকারভাবে জীবনটাকে উপভোগ করছে। তিনি ঠিক করলেন ডিগ্রি নেয়ার পর তিনি নিউজিল্যান্ডেই সেটেল করবেন।

তার ভুলটা ভাঙল কর্মজীবনে প্রবেশ করে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে এসাইন করল ইমার্জেন্সি রুমে নাইট ডিউটি। প্রতি রাতেই ইমার্জেন্সি রুমে ভীষণ ব্যস্ততা। রাত ২টা ৩টায় শ্বেতাঙ্গ তরুণরা আসছে মারামারি করে কেউ মাথা ফাটিয়েছে কেউ বা মাতাল হয়ে গাড়ি চালাতে গিয়ে এক্সিডেন্ট করেছে, তার মাথার মগজ বের হয়ে গেছে। বিভৎস রক্তারক্তি।

বাংলাদেশি সেই ডাক্তার আরো খেয়াল করলেন, নিপীড়ন ও শ্লীলতাহানির শিকার হয়ে হাসপাতালে আসা তরুণীদের সংখ্যাও কম নয়।

তিনি বুঝলেন, নিউজিল্যান্ড তার বাইরের দিকটা যতই সাজিয়ে গুছিয়ে রাখুক, ভেতরের চিত্র অন্যরকম। মানুষগুলো আসলে বেশ দুঃখী। প্রাত্যহিক জীবনের দুঃখ ও স্ট্রেস ভুলে থাকার জন্যেই তারা রাতভর হৈ হুল্লোড় করে। বাইরে থেকে আকর্ষণীয় মনে হলেও এটা জীবনের জয়গান নয়। আর যাই হোক, এদেশে তিনি তার সন্তানদের বড় করতে চান না। তাই বিদেশের তল্পিতল্পা গুটিয়ে তিনি দেশে ফিরে এলেন।

কেন বাড়ছে এই বিদেশে পাড়ি জমানোর প্রবণতা?
একটা সময় বিদেশে পাড়ি জমানোর প্রবণতা কেবল নব্য ধনী পরিবারদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এখন উচ্চ মধ্যবিত্ত এমনকি মধ্যবিত্ত শ্রেণিও সন্তানকে বিদেশে পড়ানোর ব্যাপারে প্রবল আগ্রহী।

আসলে সমস্যাটা হলো- এদের অধিকাংশই ইউরোপ-আমেরিকায় খুঁটি গাড়ার আগে আমাদের এই অধ্যাপক সাহেব এবং ডাক্তার সাহেবের মতো খুব কাছে থেকে সেখানকার সামাজিক বাস্তবতা পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ পান না। আমেরিকা বা কানাডার ভিসা পেলে এরা মনে করে স্বর্গের টিকেট পেয়ে গেছে।

আমেরিকা বা কানাডার ভিসা মানেই কি স্বর্গের টিকেট?
এ নিয়ে মজার গল্প আছে-

এক লোক মারা গেছে। হিসেব করে দেখা গেল তার পাপ ও পুণ্যের ওজন সমান। তাকে অপশন দেয়া হলো- তুমি স্বর্গে বা নরকে যে-কোনোটায় যেতে পারো।

সে খুব চালাক লোক। দেবদূতকে জিজ্ঞেস করল, সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে জায়গা দুটো কেমন সেটা কী দেখার সুযোগ আছে?

দেবদূত বলল, হ্যাঁ ভিডিও ছেড়ে দিচ্ছি, দেখো, তবে সিদ্ধান্ত নেয়ার পর আর বদলাতে পারবে না।

লোকটি দেখে স্বর্গের বাসিন্দারা অনেক পরিশ্রম করছে। মলিন মুখে সব ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর নরকের বাসিন্দারা আনন্দে আত্মহারা। নাচ গানে মাতোয়ারা প্রচুর খাবার-দাবার! ব্যস! সে জানিয়ে দিল আমি নরকেই যেতে চাই।

দেবদূত জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি নিশ্চিত?

লোকটি বলল, একদম নিশ্চিত।

নরকে ঢুকেই সে হতভম্ব। সে দেখে উল্টো ব্যাপার। নরকের বাসিন্দারা হাড়ভাঙা খাটুনি করছে, তবুও পিঠে সপাসপ চাবুক মারছে প্রহরীরা। বিস্বাদ কটুগন্ধের একটা তরল জাতীয় খাবার ছাড়া আর কিছু তাদের খেতে দেয়া হচ্ছে না। সে-তো পড়িমরি করে পালাতে চাইল। কিন্তু পালানোর উপায় নাই।

লোকটি নরকের প্রহরীর কাছে জানতে চাইল কেন আমাকে ধোঁকা দেয়া হলো?

দারোয়ান একগাল হেসে বলল, বাছা! তুমি যেটা দেখেছ সেটা ছিল বিজ্ঞাপন, ট্রেলার।

তো ট্রেলার দেখে অনেকে মনে করে কোনোরকম আমেরিকা বা ইংল্যান্ড বা কানাডা একবার পৌঁছতে পারলেই হলো। স্বর্গে যেমন কোনো চিন্তা থাকে না। কোনোকিছুর অভাব থাকে না, ওখানে গেলেও আর কোনো সমস্যা থাকবে না।

বাস্তবতা কিন্তু ভিন্ন যারা বিদেশে পড়ার ব্যাপারে মরিয়া তাদের একটা বড় অংশের আশাভঙ্গ হয় সেখানে যাওয়ার পরে। এবং এগুলোর বহু রিপোর্ট বিভিন্ন সংবাদপত্রে বিভিন্ন সময় প্রকাশিত হয়েছে।

বিদেশে পড়তে যাবার আগে তিনটি করণীয় খেয়াল রাখুন
আপনি বলবেন তাহলে করণীয় কী?

করণীয় খুব সহজ।

এক, আপনি জেনে রাখুন, ফুল স্কলারশিপ বা পুরো টাকার আগাম ব্যবস্থা না থাকলে আপনি কখনোই পড়াশোনা শেষ করতে পারবেন না।

দুই, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো সাবজেক্টে প্রথম শ্রেণির ডিগ্রি লাভ করতে না পারলে ঐ ডিগ্রি বিদেশে বা দেশে কোথাও কোনো কাজে লাগবে না।

তিন, সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তায় যারা গেছেন, তাদের অধিকাংশের সন্তান ঐ সংস্কৃতিতে ভেসে মা-বাবা থেকে দূরে চলে গেছে।

এই বাস্তবতা সামনে রাখলে বিদেশে পড়াশোনা শতকরা ৯৫ জনের জন্যেই এক সোনার হরিণ, যা কোনোদিনই ছোঁয়া যায় না।

এখনই সময়- জীবনের জন্যে একটি মহৎ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করুন!
আসলে জীবনকে সুন্দর করতে হলে আপনার প্রয়োজন জীবনের লক্ষ্য। আগে ঠিক করুন- কেন আপনি বাঁচবেন। বাঁচার একটা সুনির্দিষ্ট কারণ থাকলে জীবন আপনার জন্যে অনেক সহজ হয়ে যাবে।

তাই জীবনের জন্যে একটি মহৎ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করুন। লক্ষ্যের পথে আন্তরিক প্রয়াস চালান। পুরো হৃদয় মন দিয়ে লক্ষ্যের পথে কাজ শুরু করলে স্রষ্টা আপনাকে সাহায্য করবেন। আপনি ভুল করতে নিলে স্রষ্টা আপনার ভুল শুধরে দেবেন। আপনি বাধার সম্মুখীন হলেও চারপাশ থেকে অযাচিত সহযোগিতা পাবেন। আপনি সফল হবেন। কোয়ান্টাম মেথড এই সত্য এই সাফল্য সূত্রের কথাই বলে আসছে ৩১ বছর ধরে।

জীবনের জন্যে একটি মহৎ লক্ষ্য স্থির করুন। আপনার জীবন কোয়ান্টামের মতো সফল ও বর্ণাঢ্য হোক। পরম করুণাময় সবসময় আমাদেরকে তাঁর রহমতের ছায়ায় রাখুন।

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com