বিসিবি’র ওপর ক্রিকেটারদের আস্থাহীনতার কারণেই সাকিব ও বোর্ড মুখোমুখি অবস্থানে। ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থার কাছে অসহায় খেলোয়াড়রা। যে কারণে এমন মন্তব্য করেছেন সাকিব আল হাসান।
সময় সংবাদকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।
ক্রিকেট অপারেশন্স থেকে শুরু করে এইচপি চেয়ারম্যান নাইমুর রহমান দুর্জয়ের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাকিব। এ বিষয়টাকে কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে মাশরাফী বলেন, ‘আমার মনে হয় না যে সাকিব দুর্জয় ভাইকে অ্যাটাক করে কথাটা বলেছে। ও যেটা বলেছে, এইচপি থেকে কি হচ্ছে? এখানে স্বাভাবিকভাবে এইচপি’র দায়িত্বে দুর্জয় ভাই আছে বলে মনে হচ্ছে উনাকে বলেছে। আমি আবারো বলছি, এখানে মিসকমিউনিকেশন ছাড়া আমি আর কিছু দেখতে পারছি না।’
বিসিবি’র মিটিংয়ের কথা বাইরে ফাঁস হয়ে যায় উল্লেখ করে মাশরাফী বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে ক্রিকেট বোর্ডে পাপন ভাইয়ের যেটা করা উচিৎ সেটা হচ্ছে, উনাদের যে কনফিডেনশিয়াল মিটিং হয়, সেই মিটিংয়ের তথ্য বাইরে ফাঁস করে তাদেরকে খুঁজে বের করা। বিসিবি’র কনফিডেনশিয়াল তথ্যগুলো বাইরে আগে চলে আসছে। এতে প্লেয়াররা দিনকে দিন অনিরাপদ বোধ করছে যে, তারাও যদি বিসিবি’কে কিছু বলে সেটাও বাইরে প্রকাশ হয়ে যাবে। বিসিবি তো ক্রিকেটারদের অভিভাবক, ওই জায়গাটাকে কন্ট্রোল করার জন্য আমি মনে করি পাপন ভাইকে এখনি কঠোর হওয়া উচিৎ।’
সাকিব এবং বোর্ডের মুখোমুখি ইস্যুটা আসলে কাম্য কিনা জানতে চাইলে মাশরাফী বলেন, ‘এ বিষয়টা কারোরই কাম্য না। আমি কথা বলছি, আমার কিছু যায় আসে না। আমি বিসিবি’র বেতনভুক্ত ক্রিকেটার না। আমারও বলার স্বাধীনতা আছে। বিসিবি’র বলার স্বাধীনতা আছে, যার যা মন চাই। কিন্তু সাকিব তো বিসিবি’র বেতনভুক্ত খেলোয়াড়, সো সাকিব কেন বলবে? এই প্রশ্নটা আসতেই পারে। কিন্তু আসছে কি জন্য সেটা আমাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। আসছে তো এই কারণে, একজন আরেকজনের প্রতি সম্মান কমে যাচ্ছে।
মাশরাফী আরও বলেন, ‘খেলোয়াড়রা ভাবছে যে, আমাদের সিকিউরিটি দেয়ার মতো কেউ নেই। একজন খেলোয়াড় কোনো সিরিজে ভাল খেলবেন, কোনো সিরিজে খারাপ খেলবেন এটাই স্বাভাবিক। আমরা যখন খারাপ খেলছি আমাদেরকে শাসন করবে বা যেটাই বলবে আমাদের ড্রেসিং রুমে বলবে বা একটা জায়গায় বলবে। সে জিনিসটা নিয়ে যখন বাইরে গিয়ে আবার কথা হচ্ছে, ফাঁস হচ্ছে তখনি তো প্লেয়াররা মনক্ষুণ্ন হয়। এই যে কমিউনিকেশন গ্যাপগুলো এবং প্লেয়াররা যে বুঝতে পারছে যে, আমাদের আস্থার যে সর্বোচ্চ জায়গা (বিসিবি) সেটাই নড়বড়ে অবস্থা হয়ে যাচ্ছে।’