শ্রেণিকক্ষে দুষ্টুমি করায় ১২ বছরের এক শিশুকে বেত দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন শিক্ষক। পেটানোর সময় শিক্ষকের নির্দেশে দুই ছাত্র শিশুটির হাত-পা চেপে রাখে।
কেন মারা হয়েছে জানতে অভিভাবকেরা এলে শিশুটির বাবাসহ চারজনকে একটি কক্ষে আটকে রেখে মারধর করেন এলাকাবাসী। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে। শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘটনাটি ঘটে গত ৪ ফেব্রুয়ারি, মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার একটি মাদ্রাসায়। ঘটনাটি সম্পর্কে ডাসার থানার ওসি এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে শিশুশিক্ষার্থীকে মারধরের সত্যতা পাওয়া যায়। শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। শিশু আইন ২০১৩-এর ৭০ ধারায় মামলা হয়। পরে শিক্ষার্থীর পরিবার শিক্ষকের সঙ্গে আপস করে। শিক্ষক জামিন পান। তিনি চাকরিতেও বহাল আছেন।
দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি দেওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে একটি পরিপত্র জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু শাস্তি বন্ধ হয়নি।
অভিভাবকেরা বলছেন, অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেত বা স্কেল দিয়ে শিক্ষার্থীদের মারার ঘটনা কম। তবে বাড়ির কাজ না আনা, লিখতে-পড়তে ভুল করা, দুষ্টুমি করার মতো কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিশুকে দাঁড় করিয়ে রাখা, চুল টানা, কান মলা, সহপাঠীদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে পাঠদানে বিরত রাখা, বকাঝকার করার মতো শাস্তি অহরহ দেওয়া হয়। আবার কোনো কোনো অভিভাবক শিশুদের শাসন করার জন্য কিছু ‘মারধরের’ প্রয়োজন আছে বলেও মনে করেন।