কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর তাজা গুলি (লাইভ রাউন্ড) ব্যবহার না করা এবং বৈষম্যবিরোদী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কের মুক্তির নির্দেশনা চাওয়ার রিটে শুনানি হচ্ছে না।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের বেঞ্চে রিটটির শুনানি চলছে। গত দুইদিন এ রিটে শুনানি হয়েছে। আজ বুধবারও (৩১ জুলাই) শুনানির কথা ছিল।

সে জন্য এদিন সকালে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনসহ অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ, মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরীসিহ আইন কর্মকর্তারা উপস্থিতি ছিলেন। রিটকারী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অনীক আর হক ও সারা হোসেন।
কিন্তু সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বেঞ্চ কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, কনিষ্ঠ বিচারপতি অসুস্থতার কারণে ছটিতে আছেন। শুনানি হবে না।
পরে উভয় পক্ষ এজলাস কক্ষ থেকে বের হয়ে আসেন।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর সরাসরি লাইভ রাউন্ড (তাজা গুলি) ব্যবহার না করার নির্দেশনা চেয়ে গত সোমবার (২৯ জুলাই) রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী। তাঁরা হলেন- আইনজীবী মানজুর-আল-মতিন এবং আইনুন্নাহার সিদ্দিকা।
আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিচালক, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানকে বিবাদী করা হয় রিটে।
আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সরাসরি তাজা গুলির ব্যবহার কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং তাজা গুলি ব্যবহার না করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, জানতে বিবাদীদের প্রতি রুল জারির আরজি জানানো হয় রিটে।
সেই সঙ্গে কথিত নিরাপত্তার নামে হেফাজতে নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে দ্রুত মুক্তি দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রিটে সে মর্মেও রুল চাওয়া হয়।
গত সোমবার (২৯ জুলাই) রিটে প্রথম দিন শুনানির পর রিটের আরজি সংশোধন করতে বলেন আদালত। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রুলের আরজি সংশোধন করা হয়। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূতভাবে আটকে রাখা হয়নি তা নিশ্চিত হতে তাঁদের আদালতের সামনে হাজির করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এই মর্মে রুল চাওয়া হয়।
এই ধারাবহিকতায় আজ বুধবার (৩১ জুলাই) অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের শুনানি করার কথা ছিল।