শ্রমিক অসন্তোষ ও অস্থিরতার কারণে আগামী দুই মৌসুমে পোশাক রপ্তানির আদেশ ১০ থেকে ১৮ শতাংশ কমার আশঙ্কায় শিল্প মালিকরা। চলমান সংকটকে সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর ফায়দা হাসিলের পথ বলে মনে করছে বিজিএমইএ। আর শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মেনে নেয়ার পাশাপাশি আলোচনার তাগিদ শ্রমিক নেতাদের।
নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে গত চার দশকে রপ্তানি খাতের শীর্ষে, তৈরি পোশাক শিল্প। তবে, ছাত্র আন্দোলন ও বন্যায় আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত হওয়ায় ক্ষতির মুখে রপ্তানিকারকরা। এর সাথে শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে আবারো শঙ্কায় এ শিল্প। আশুলিয়া, গাজীপুর ও সাভারে দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিক আন্দোলন চলছে। তবে, ঠিক সময়ে বেতন-বোনাস দেওয়াসহ ন্যায্য দাবি পূরণ হলে শ্রমিক অসন্তোষ হতো না বলে মনে করেন নেতারা। আন্দোরনের কারণে রপ্তানি আদেশ কমার দায়ও নেবেন না তারা।
পোশাক শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘ওভারটাইম মজুরিটা আইন অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে দিতে হবে। সাত কর্ম দিবসের মধ্যে সেটা দিতে হবে। এটা দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। কোনো কারণে শ্রমিকের একটু দেরির জন্য অর্থাৎ ৫ মিনিটের দেরি জন্য তার বেতন কাটা যাবে না। শ্রমিকদের যে টিফিন বিল দেওয়া হচ্ছে তা খুবই অপ্রতুল।’
বিজিএমইএ বলছে, চলমান পরিস্থিতির কারণ শ্রমিক অসন্তোষ নয়, বরং স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্র। রাজনৈতিক অস্থিরতাকে কাজে লাগিয়ে এ শিল্প ধ্বংসের পাঁয়তারার অভিযোগ তাদের। সংকট সমাধান না হলে পাশের দেশে ক্রয়াদেশ চলে যাওয়ার শঙ্কায় তারা।
বিজিএমইএ সহ সভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, ‘যে অর্ডারটা এর মধ্যে হতে পারতো, সে অর্ডার ১৫ থেকে ১৮ শতাংশ যে সকল মালিকদের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পারছি যে আগামী তিন মাসের অর্ডার কিছুটা হলেও কমে গেছে বা চলে যাচ্ছে। শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা যদি দেওয়া যায় এবং মালিক শ্রমিক সম্পর্কের ভিত্তিতে আমরা এই প্রতিষ্ঠানগুলো চালায়।’
বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে অন্তর্বর্তী সরকারকে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর আহ্বান শিল্প উদ্যোক্তাদের।