নারীকে বলা হয় দশভুজা। কেননা সমান তালে ঘরের ও বাইরের কাজ সামলানোর ক্ষমতা রয়েছে নারীর।
তবে আধুনিক যুগে সংসার এবং ক্যারিয়ারের মাঝে ভারসাম্য রক্ষা করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় অধিকাংশ নারীকেই।
একজন নারী যদি আর্থিকভাবে আত্মনির্ভরশীল হতে চান তবে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
তবে চাকরিজীবী ও ক্যারিয়ারিস্ট হবার মাঝে একটি সূক্ষ্ম ফারাক রয়েছে।
একজন ক্যারিয়ারিস্টের ধ্যানজ্ঞান ক্যারিয়ার। তাই স্বাভাবিকভাবে পেশাই তার কাছে সবক্ষেত্রে প্রথম অগ্রাধিকার পায়। তবে একজন নারী ক্যারিয়ারিস্টকে অনেক কিছু সেক্রিফাইস করতে হয়। দুঃখজনক হলেও সত্য হচ্ছে এই সেক্রিফাইসের তালিকায় প্রথমেই থাকবে আপনার সন্তান ও পরিবার। কেননা একজন সফল ক্যারিয়ারিস্ট হতে হলে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও পারিবারকে পরিপূর্ণ সময় ও মনোযোগ দেয়া এক দুরূহ কাজ।
তাই, জব- ক্যারিয়ার- মা এই তিনের মাঝে সুস্পষ্ট পার্থক্যকে সামনে রেখে নারীরা সিদ্ধান্ত নিলে পরবর্তীতে চলার পথ হয়ে উঠবে সুগম।
একবিংশ শতাব্দীতে এসে সারা বিশ্ব যেখানে নারীর অধিকার আদায়ে সোচ্চার, আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে আরব দেশের ধু ধু মরুর প্রান্তরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল নারীর মর্যাদা ও সম্মান, অধিষ্ঠিত হয়েছিল নারীর শিক্ষার্জন ও উপার্জনের অধিকার।
বর্তমানে নারীদের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জিং পেশায় দেখে আমরা অনুপ্রাণিত হই। তবে এটা নতুন কিছু নয়। ১৪০০ বছর আগেও নারীরা রসুলুল্লাহর (স) নির্দেশে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, হয়েছেন শহিদ!
হযরত ওমরের শাসনামলে মদিনার মার্কেট ইন্সপেক্টার ছিলেন একজন নারী। বাজারের জিনিসপত্রের গুণগত মান ও দাম যাচাই করাই ছিল তার দায়িত্ব। মদিনাতে তার সাফল্য দেখে পরবর্তীতে তিনি মক্কাতেও একজন নারী মার্কেট ইন্সপেক্টার নিয়োগ করেন।
কর্মক্ষেত্রে নারীর সাফল্য কিন্তু অনেকটাই সহজাত। গবেষণায় দেখা গেছে, নারী কর্মীরা তাদের পুরুষ সহকর্মীদের তুলনায় বেশি মনোযোগী, সৎ, কর্মতৎপর ও সিরিয়াস। গবেষণায় আরো দেখা গেছে, নারীদের ক্ষেত্রে হারিয়ে যাওয়া মানিব্যাগ ফিরিয় দেয়ার হার ৫১%, পুরুষদের ক্ষেত্রে যা ৪২%!